গাছে গাছে শজনে ফুল ইঙ্গিত বাম্পার ফলনের

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২২, ০৬: ৪৮
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২২, ১৪: ৫৬

চলতি মৌসুমে জয়পুরহাট সদরসহ বিভিন্ন গ্রাম-মহল্লার পতিত জমি, উঠান, বাগানসহ রাস্তার দুপাশের সারি সারি গাছে এখন শোভা পাচ্ছে শজনে ফুল; যা শজনের বাম্পার ফলনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত অনুকূলে থাকলে শজনের বাম্পার ফলন হবে বলে ধারণা করছেন কৃষক ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।

সদর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা যেমন পাঁচবিবি, কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলাতেও জমি কিংবা রাস্তার ধারে চোখে পড়ছে শজনে ফুল।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, জেলার ১৫১ হেক্টর অকৃষি ও পতিত জমিতে এবার শজনে চাষ হয়েছে। কাটা ডাল পুঁতে দিলেই নতুন গাছ জন্ম নেয়। তাই জেলায় প্রতিবছরই একটু একটু করে শজনের চাষ বাড়ছে।

সদর উপজেলার পুরানাপৈলের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন খন্দকার জানান, তিনি তাঁর পতিত জমিতে শজনেগাছ লাগিয়েছেন। সেগুলোতে এবার ভালো ফুল এসেছে। এগুলোর কোনো যত্ন নেননি তিনি। তারপরও ভালো ফলের আশা করছেন তিনি।

সদর উপজেলার করিম নগর গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বাড়ির উঠানে, রাস্তার পাশে এবং জমির আইলে বেশ কিছু শজনেগাছ লাগিয়েছি। প্রতিবছর কাটা ডাল মাটিতে পুঁতে দিই। তাতে প্রতিবছর গাছের সংখ্যা বাড়ে। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে কিছু শজনে বিক্রিও করি। তাতে সংসারে বাড়তি আয় হয়।’

জেলা আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রাশেদ মোবারক জুয়েল বলেন, বিভিন্ন সবজিতে যে পুষ্টিগুণ থাকে, কেবল শজনেতেই সেই পুষ্টিগুণ বিদ্যমান। তাই এটিকে ‘পুষ্টির ডিনামাইট’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শজনে চাষে খরচ হয় না বললেই চলে। এতে পানি ও ওষুধের প্রয়োজন হয় না। তবে একটু যত্ন নিলে ফলন বাড়ে। বর্তমান আবহাওয়া শজনের জন্য ভালো। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত