Ajker Patrika

কর্ম আর উদ্যমের অনন্য এক উদ্যোক্তা

ফারুক মেহেদী, ঢাকা
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২২, ১২: ৫৪
কর্ম আর উদ্যমের অনন্য এক উদ্যোক্তা

স্বপ্নবাজ মানুষেরা সীমাহীন স্বপ্নের ফেরি করে বেড়ান। তাঁরা নিজেদের আয়ু নিয়ে ভাবেন না। সীমিত সময়ের মধ্যেই আলো ছড়াতে চান চারপাশে। মৃত্যু অবধারিত জেনেও মানুষ, সমাজ আর দেশের প্রয়োজনে একের পর এক কল্যাণমুখী কাজ আর উদ্যোগে জড়িয়ে ফেলেন নিজেকে। ব্যক্তি আর পরিবারের গণ্ডি ছাড়িয়ে নিজেকে নিয়ে যান অন্য উচ্চতায়। আমাদের চারপাশের এমন ক্ষণজন্মা দুর্লভ মানুষদের একজন মো. নাছির উদ্দীন। ডেনিম পণ্য তথা জিনস রপ্তানির অন্যতম প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক গ্রুপ তথা প্যাসিফিক জিনসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। সম্প্রতি তিনি না ফেরার দেশে চলে গেছেন। তিনি চলে গেছেন ঠিকই, তবে তাঁর দীর্ঘ জীবনের শ্রম-ঘাম, উদ্যম আর উদ্ভাবনী কর্মের স্মৃতিচিহ্ন থেকে গেছে অমলিন।

১৯৫০ সালে চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া এ শিল্পোদ্যোক্তা জীবনের পথপরিক্রমায় যা করে গেছেন, তা রীতিমতো বিস্ময়কর। ১৯৭০ সালে পড়াশোনা শেষ করে পারিবারিক আমদানি–রপ্তানি ব্যবসায় জড়িয়ে বৈচিত্র্যময় ব্যবসা ও উদ্যোগে সমৃদ্ধ করেছেন নিজেকে। স্টিল, লোহা, সিরামিক শিল্প এবং জাহাজভাঙা শিল্পসহ কত কিছু যে তিনি করেছেন! একপর্যায়ে তিনি ব্যবসায় বৈচিত্র্য আনার অংশ হিসেবে ১৯৮৪ সালে এনজেডএন গার্মেন্টস, এনজেডএন ফ্যাশন ওয়্যার এবং ডায়মন্ড ফ্যাশন ওয়্যার (প্রা.) লি. নামে তিনটি পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তৈরি পোশাকশিল্পে পদার্পণ করেন।

ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নাছির উদ্দীন ১৯৯৩ সালে চট্টগ্রাম ইপিজেডে প্যাসিফিক জিনস নামে অত্যাধুনিক তৈরি পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর আর তাঁকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ওই ইপিজেডেই নিজের যোগ্যতা ও নেতৃত্বগুণে একে একে ছয়টি শিল্পকারখানা স্থাপন করেন। তাঁর প্রতিটি শিল্পকারখানা উন্নত প্রযুক্তি, নান্দনিক শিল্পমান, পরিবেশবান্ধব কর্মপরিবেশের অনন্য নজির স্থাপন করে ক্রমেই এগিয়ে চলেছে। এসব কারখানার উৎপাদিত পণ্য চলে যাচ্ছে বিশ্বের ২৫টি দেশে। তাঁর প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৩৫ হাজারের মতো মানুষ কাজ করে জীবন নির্বাহ করছেন। সরকারও বিপুল রাজস্ব পাচ্ছে। বর্তমানে প্যাসিফিক জিনস গ্রুপ পোশাক রপ্তানি খাতে অনন্য অবদান রাখছে।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে নাছির উদ্দীন ১২ বার জাতীয় রপ্তানি ট্রফি অর্জনসহ সরকারের বিজনেস পারসন অব দ্য ইয়ার এবং বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি মর্যাদা পেয়েছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ইপিজেড ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানসহ বহু সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যুক্ত ছিলেন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও। এ কল্যাণকামী শিল্পোদ্যোক্তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন এম এ জি ওসমানীসহ ৮ জন

কনের বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে হৃদ্‌রোগে বরের মৃত্যু

বগুড়ায় মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ছাদ থেকে পড়ে নার্সিং শিক্ষার্থীর মৃত্যু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত