আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ২৮ মার্চ কুড়িগ্রাম সফরে আসছেন। বাংলাদেশ ও ভুটান সরকারের যৌথ উদ্যোগে (জিটুজি) কুড়িগ্রামে প্রস্তাবিত ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’-এর নির্ধারিত স্থান পরিদর্শনে আসছেন তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে এটিই হবে কুড়িগ্রামে প্রথম কোনো বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের সফর।
জেলার বিশিষ্টজনেরা বলছেন, ভুটানের রাজার কুড়িগ্রাম সফর বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। তাঁর সফর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের অন্যতম দরিদ্র এই জেলার আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও বাণিজ্যিক বিকাশে মাইলফলক সৃষ্টি করবে। যৌথ এই অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে কুড়িগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জোন হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। শিল্পায়ন ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন করতে পারলে আগামী এক দশকের মধ্যে কুড়িগ্রাম এই অঞ্চলে সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে আবির্ভূত হবে।
তাছাড়া নদ-নদী ও চরাঞ্চলবিধৌত এ জেলায় কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাত করার কারখানাসহ শিল্পায়নের সুযোগ সৃষ্টি হবে। কুড়িগ্রাম-ভুটান বাণিজ্যিক এই সম্পর্কের পাশাপাশি ভারতের সেভেন সিস্টার খ্যাত অঞ্চলগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে কুড়িগ্রাম একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জোন হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।
এ বিষয়ে একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত কুড়িগ্রামের বিশিষ্ট আইনজীবী-সমাজকর্মী এসএম আব্রাহাম লিংকন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই ভুটানের রাজাকে কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন। অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে মানুষের কাছে কুড়িগ্রাম একটি লাভজনক এলাকায় পরিণত হবে।
দেশের দরিদ্রতম জেলার ‘অপবাদ’ ঘুচে যাবে জানিয়ে জেলার বিশিষ্ট এই আইনজ্ঞ ও রাজনীতিক বলেন, ‘এ জেলায় এখন গৃহকর্মী পাওয়া যায় না। এখানকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী বাইরে কাজ করতে যায়। তার মানে এখানকার মানুষ অলস নয়। কাজের সুযোগ পেলে তাঁরা কাজ করেন। আমি মনে করি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কর্মের এই সুযোগ সৃষ্টি কুড়িগ্রামের দারিদ্র্যের মানচিত্র বদলে দেবে। যখন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে, তখন মানসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণে নাগরিকের চেষ্টা থাকবে। মানুষ আরও উন্নত জীবনে যাবে।’
লিংকন বলেন, ‘ভুটান আসছে মানে এটি একটি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। এটিকে ধরে কুড়িগ্রাম একটি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বড় অ্যাভিনিউ হতে যাচ্ছে। এই জেলা একটি আন্তর্জাতিক গেটওয়ে হবে, আন্তর্জাতিক হাব হিসেবে কাজ করবে। জেলার সার্বিক চিত্র বদলে যাবে। সামগ্রিকভাবে একটি জাগরণ হবে। তবে সবকিছুর জন্য যোগাযোগব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করতে হবে। রেল, নৌ, সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি চালু করে আকাশপথের যোগাযোগও সহজ করতে হবে। সবকিছু মিলে আগামী এক দশকে রংপুর অঞ্চলে কুড়িগ্রাম একটি লিডিং রোল নেবে বলে মনে করছি।’
কুড়িগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আব্দুল আজিজ মিয়া বলেন, ‘অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে কুড়িগ্রামে বেকারত্বের দুঃখ ঘুচে যাবে। বাইরে থেকে যদি ইনভেস্টমেন্ট হয়, বায়াররা আসেন তাহলে ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠবে, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। ব্যাপক প্রচার ও প্রসার লাভ করলে এখানে মাল্টিপল ডেভেলপমেন্ট হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাসে লন্ডনে ভুটানের রাজা ও রানির সঙ্গে বৈঠকে কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই সরকারের যৌথ উদ্যোগে ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপনের জন্য জেলা শহরের ধরলা ব্রিজের পূর্বে কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী সড়কের পাশে অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে জেলা প্রশাসন ও বেজা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সদরের ভোগডাঙা ইউনিয়নের মাধবরাম মৌজার অন্তর্ভুক্ত ১৩৩ দশমিক ৯২ একর খাসজমি অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। ধরলা ব্রিজের পূর্বপ্রান্তে সৈয়দ ফজলুল করিম (রহ.) জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার উত্তর-পূর্বদিকে এই খাস জমির অবস্থান। প্রয়োজনে ওই স্থানে জমি অধিগ্রহণেরও সুযোগ রয়েছে।
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ২৮ মার্চ কুড়িগ্রাম সফরে আসছেন। বাংলাদেশ ও ভুটান সরকারের যৌথ উদ্যোগে (জিটুজি) কুড়িগ্রামে প্রস্তাবিত ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’-এর নির্ধারিত স্থান পরিদর্শনে আসছেন তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে এটিই হবে কুড়িগ্রামে প্রথম কোনো বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের সফর।
জেলার বিশিষ্টজনেরা বলছেন, ভুটানের রাজার কুড়িগ্রাম সফর বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। তাঁর সফর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের অন্যতম দরিদ্র এই জেলার আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও বাণিজ্যিক বিকাশে মাইলফলক সৃষ্টি করবে। যৌথ এই অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে কুড়িগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জোন হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। শিল্পায়ন ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন করতে পারলে আগামী এক দশকের মধ্যে কুড়িগ্রাম এই অঞ্চলে সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে আবির্ভূত হবে।
তাছাড়া নদ-নদী ও চরাঞ্চলবিধৌত এ জেলায় কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাত করার কারখানাসহ শিল্পায়নের সুযোগ সৃষ্টি হবে। কুড়িগ্রাম-ভুটান বাণিজ্যিক এই সম্পর্কের পাশাপাশি ভারতের সেভেন সিস্টার খ্যাত অঞ্চলগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে কুড়িগ্রাম একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জোন হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।
এ বিষয়ে একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত কুড়িগ্রামের বিশিষ্ট আইনজীবী-সমাজকর্মী এসএম আব্রাহাম লিংকন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই ভুটানের রাজাকে কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন। অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে মানুষের কাছে কুড়িগ্রাম একটি লাভজনক এলাকায় পরিণত হবে।
দেশের দরিদ্রতম জেলার ‘অপবাদ’ ঘুচে যাবে জানিয়ে জেলার বিশিষ্ট এই আইনজ্ঞ ও রাজনীতিক বলেন, ‘এ জেলায় এখন গৃহকর্মী পাওয়া যায় না। এখানকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী বাইরে কাজ করতে যায়। তার মানে এখানকার মানুষ অলস নয়। কাজের সুযোগ পেলে তাঁরা কাজ করেন। আমি মনে করি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কর্মের এই সুযোগ সৃষ্টি কুড়িগ্রামের দারিদ্র্যের মানচিত্র বদলে দেবে। যখন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে, তখন মানসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণে নাগরিকের চেষ্টা থাকবে। মানুষ আরও উন্নত জীবনে যাবে।’
লিংকন বলেন, ‘ভুটান আসছে মানে এটি একটি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। এটিকে ধরে কুড়িগ্রাম একটি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বড় অ্যাভিনিউ হতে যাচ্ছে। এই জেলা একটি আন্তর্জাতিক গেটওয়ে হবে, আন্তর্জাতিক হাব হিসেবে কাজ করবে। জেলার সার্বিক চিত্র বদলে যাবে। সামগ্রিকভাবে একটি জাগরণ হবে। তবে সবকিছুর জন্য যোগাযোগব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করতে হবে। রেল, নৌ, সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি চালু করে আকাশপথের যোগাযোগও সহজ করতে হবে। সবকিছু মিলে আগামী এক দশকে রংপুর অঞ্চলে কুড়িগ্রাম একটি লিডিং রোল নেবে বলে মনে করছি।’
কুড়িগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আব্দুল আজিজ মিয়া বলেন, ‘অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে কুড়িগ্রামে বেকারত্বের দুঃখ ঘুচে যাবে। বাইরে থেকে যদি ইনভেস্টমেন্ট হয়, বায়াররা আসেন তাহলে ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠবে, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। ব্যাপক প্রচার ও প্রসার লাভ করলে এখানে মাল্টিপল ডেভেলপমেন্ট হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাসে লন্ডনে ভুটানের রাজা ও রানির সঙ্গে বৈঠকে কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই সরকারের যৌথ উদ্যোগে ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপনের জন্য জেলা শহরের ধরলা ব্রিজের পূর্বে কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী সড়কের পাশে অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে জেলা প্রশাসন ও বেজা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সদরের ভোগডাঙা ইউনিয়নের মাধবরাম মৌজার অন্তর্ভুক্ত ১৩৩ দশমিক ৯২ একর খাসজমি অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। ধরলা ব্রিজের পূর্বপ্রান্তে সৈয়দ ফজলুল করিম (রহ.) জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার উত্তর-পূর্বদিকে এই খাস জমির অবস্থান। প্রয়োজনে ওই স্থানে জমি অধিগ্রহণেরও সুযোগ রয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে