সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা
এখন শ্রাবণ। বর্ষার ভরা মৌসুম। কিন্তু এবার যেন চলছে অনাবৃষ্টির কাল। গত দুই-তিন দিন সামান্য বৃষ্টি হলেও তাতে ধানের চারা রোপণের জন্য দরকারি কাদামাটি তৈরি দূরের কথা, জমি ভেজেইনি ঠিকমতো। এতে আমন আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।
কম বৃষ্টির হতাশা এড়াতে কেউ কেউ পানি সেচ দিয়ে জমি তৈরির চেষ্টা করছেন। কিন্তু এতে যোগ হয়েছে বাড়তি খরচের চিন্তা। আবার গ্রামে বিদ্যুৎ এই আসে এই যায়। লোডশেডিংয়ের এমন যন্ত্রণায় বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল সেচেও ভরসা পাচ্ছেন না কৃষকেরা।
রংপুরের তারাগঞ্জের মেনানগর গ্রামের কৃষক আনারুল ইসলাম বলেন, ‘আমন হওছে মাংনা আবাদ। কিন্তু দুই তিন বছর থাকি তাক আর হওছে না। দ্যাওয়ার পানি না হওয়ায় এবারও মুই শ্যালো মেশিন দিয়া ধান নাগাছুন। এ্যালা ফির ইউরিয়ার দামও বাড়াইল। আবাদের খরচ বাড়ি গেল। ধানের দাম না বাড়লে তো লোকসান খাবার নাগবে।’
শুধু বৃষ্টি আর বিদ্যুতের খামখেয়ালিতে সীমিত নেই চাষির ঝামেলা। কৃষিশ্রমিক মেলে কম। শ্রমিকের মজুরিও বেশি অনেক এলাকায়। তার ওপর বাড়ল সারের দাম। চাষিদের অভিযোগ, খুচরা বাজারে সরকারনির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রির কথা থাকলেও সেটি মানছেন না অনেক খুচরা ব্যবসায়ী। এতে এবার আমন চাষাবাদে বিঘাপ্রতি এক থেকে দেড় হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে ঋণ বাড়ারও ঝুঁকি আছে। সব মিলিয়ে আমন নিয়ে কৃষকের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ।
এমন পরিস্থিতিতে আমন রোপণ করবেন কি না, দ্বিধায় আছেন কৃষক এরশাদুল হক। বললেন, ‘লোকসানের ভয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না আমন লাগানোর।’
আবহাওয়া বিভাগের হিসাবে, এবার জুনে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এই জুলাইয়ে গত ৪২ বছরের একই মাসের গড় বৃষ্টিপাতের তুলনায় ৫৭ দশমিক ৬ ভাগ বৃষ্টি কম হয়েছে। জুলাই মাসে ২১ হাজার ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টি আশা করা হলেও আসলে হয়েছে ৯ হাজার ৬৯ মিলিমিটার।
গত বুধবার নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কৃষকেরা আমনের জমিতে হাল দিচ্ছেন। কেউ জমির আল কোদাল দিয়ে সোজা করছেন। অনেকে সার ছিটাচ্ছেন। তৈরি জমিতে পানি সেচ দিয়ে ভিজিয়ে রাখছেন। এসব শেষে কেউবা চারা রোপণও শুরু করেছেন। তবে তুলনামূলক বৃষ্টি কম হওয়ায় এ বছর জেলার বেশির ভাগ মাঠেও সেচ দিয়ে ধান আবাদ চলছে।
সারের দাম বাড়ায় চিন্তিত সদর উপজেলার বটতলা এলাকার কৃষক খালেকুজ্জামান। তিনি জানালেন, এখন প্রতি কেজিতে বাড়তি ছয় টাকা করে গুনতে হচ্ছে। সরকার যে দাম বেঁধে দেয়, সেই দামে খুচরা বাজারে ব্যবসায়ীরা সার বিক্রি করে না জানিয়ে তিনি বললেন, কেজিতে দুই-এক টাকা বেশি না দিলে সার পাওয়া যায় না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি আমন মৌসুমে ৫৯ দশমিক শূন্য ৩ লাখ হেক্টর জমি থেকে ১ কোটি ৫৯ লাখ টন ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছে সরকার। কিন্তু অনাবৃষ্টি, লোডশেডিং ও সারের মূল্যবৃদ্ধিতে এই লক্ষ্য পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে যথেষ্ট।
তবে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ইউরিয়া সারের দাম বাড়ার ফলে ফসলের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
সার্বিক অবস্থায় নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক গবেষণা পরিচালক এম আসাদুজ্জামান বলেন, আমন বৃষ্টিনির্ভর ফসল। সরকারি হিসাবে আর ১০ দিনের মধ্যে ধান রোপণ করতে হবে। শুধু রোপণ নয়, ধানের চারা বেড়ে ওঠার সময় সেপ্টেম্বর নাগাদও জমিতে পানি থাকতে হবে। সময়মতো বৃষ্টি না হলে এই ধানে ঝুঁকি থাকে।
ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমানোর জন্য দাম কেজিতে ছয় টাকা বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালে ধান রোপণের এই সময়ে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া ঠিক হয়নি বলে মনে করেন বিআইডিএসের সাবেক এই গবেষণা পরিচালক। তাঁর ভাষায়, ‘অনাবৃষ্টিতে কৃষক যখন ধান লাগাতেই পারছিল না, নিত্যপণ্যের বাজার চড়া, তখন এ ধরনের ঘোষণায় তাঁদের ওপর একরকম মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে। পরিমাণ যাই হোক, মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা সার কেনার এই বাড়তি টাকা তাঁরা কোথায় পাবেন?’
বৃষ্টি কম হওয়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকলে আগামী বোরো মৌসুমেও চাষাবাদে ঝুঁকি থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দিল্লি থেকে করা ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনাবৃষ্টির কারণে বিশ্ববাজারে চালের অন্যতম বড় রপ্তানিকারক ভারতেও চলতি মৌসুমে ১৩ শতাংশ ফলন কম হবে। ফলন কম হলে বাংলাদেশের বাজারেও আগামীতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির মহাসচিব ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে কৃষিতে। এর সঙ্গে কৃষি উপকরণের বাড়তি দাম যোগ হলে কৃষকের তেমন লাভ হয় না। বিভিন্ন কারণে আমন ধানের চাষের এলাকা কমে গেলে ধান উৎপাদন কমে যাওয়ারও ঝুঁকি থাকে। উৎপাদন কম হলে ভোক্তাকে বেশি দামে চাল কিনতে হবে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের মাঠপর্যায় থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশে কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সমন্বিত তৎপরতা জরুরি।
অনাবৃষ্টি ও সারের বাড়তি দামের সমস্যায় কৃষকের জন্য সমাধান কী হতে পারে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কম পানি ও কম সার ব্যবহার করেও যে চাষাবাদ করা যায়, সে বিষয়ে কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং উদ্বুদ্ধ করা দরকার।
আসাদুজ্জামান বলেন, সরকার ১৩ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও উদ্বুদ্ধ করার জন্য ১৩ বছর নেহাত কম সময় নয়।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন আজকের পত্রিকার নওগাঁ ও তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি]
এখন শ্রাবণ। বর্ষার ভরা মৌসুম। কিন্তু এবার যেন চলছে অনাবৃষ্টির কাল। গত দুই-তিন দিন সামান্য বৃষ্টি হলেও তাতে ধানের চারা রোপণের জন্য দরকারি কাদামাটি তৈরি দূরের কথা, জমি ভেজেইনি ঠিকমতো। এতে আমন আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।
কম বৃষ্টির হতাশা এড়াতে কেউ কেউ পানি সেচ দিয়ে জমি তৈরির চেষ্টা করছেন। কিন্তু এতে যোগ হয়েছে বাড়তি খরচের চিন্তা। আবার গ্রামে বিদ্যুৎ এই আসে এই যায়। লোডশেডিংয়ের এমন যন্ত্রণায় বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল সেচেও ভরসা পাচ্ছেন না কৃষকেরা।
রংপুরের তারাগঞ্জের মেনানগর গ্রামের কৃষক আনারুল ইসলাম বলেন, ‘আমন হওছে মাংনা আবাদ। কিন্তু দুই তিন বছর থাকি তাক আর হওছে না। দ্যাওয়ার পানি না হওয়ায় এবারও মুই শ্যালো মেশিন দিয়া ধান নাগাছুন। এ্যালা ফির ইউরিয়ার দামও বাড়াইল। আবাদের খরচ বাড়ি গেল। ধানের দাম না বাড়লে তো লোকসান খাবার নাগবে।’
শুধু বৃষ্টি আর বিদ্যুতের খামখেয়ালিতে সীমিত নেই চাষির ঝামেলা। কৃষিশ্রমিক মেলে কম। শ্রমিকের মজুরিও বেশি অনেক এলাকায়। তার ওপর বাড়ল সারের দাম। চাষিদের অভিযোগ, খুচরা বাজারে সরকারনির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রির কথা থাকলেও সেটি মানছেন না অনেক খুচরা ব্যবসায়ী। এতে এবার আমন চাষাবাদে বিঘাপ্রতি এক থেকে দেড় হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে ঋণ বাড়ারও ঝুঁকি আছে। সব মিলিয়ে আমন নিয়ে কৃষকের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ।
এমন পরিস্থিতিতে আমন রোপণ করবেন কি না, দ্বিধায় আছেন কৃষক এরশাদুল হক। বললেন, ‘লোকসানের ভয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না আমন লাগানোর।’
আবহাওয়া বিভাগের হিসাবে, এবার জুনে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এই জুলাইয়ে গত ৪২ বছরের একই মাসের গড় বৃষ্টিপাতের তুলনায় ৫৭ দশমিক ৬ ভাগ বৃষ্টি কম হয়েছে। জুলাই মাসে ২১ হাজার ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টি আশা করা হলেও আসলে হয়েছে ৯ হাজার ৬৯ মিলিমিটার।
গত বুধবার নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কৃষকেরা আমনের জমিতে হাল দিচ্ছেন। কেউ জমির আল কোদাল দিয়ে সোজা করছেন। অনেকে সার ছিটাচ্ছেন। তৈরি জমিতে পানি সেচ দিয়ে ভিজিয়ে রাখছেন। এসব শেষে কেউবা চারা রোপণও শুরু করেছেন। তবে তুলনামূলক বৃষ্টি কম হওয়ায় এ বছর জেলার বেশির ভাগ মাঠেও সেচ দিয়ে ধান আবাদ চলছে।
সারের দাম বাড়ায় চিন্তিত সদর উপজেলার বটতলা এলাকার কৃষক খালেকুজ্জামান। তিনি জানালেন, এখন প্রতি কেজিতে বাড়তি ছয় টাকা করে গুনতে হচ্ছে। সরকার যে দাম বেঁধে দেয়, সেই দামে খুচরা বাজারে ব্যবসায়ীরা সার বিক্রি করে না জানিয়ে তিনি বললেন, কেজিতে দুই-এক টাকা বেশি না দিলে সার পাওয়া যায় না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি আমন মৌসুমে ৫৯ দশমিক শূন্য ৩ লাখ হেক্টর জমি থেকে ১ কোটি ৫৯ লাখ টন ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছে সরকার। কিন্তু অনাবৃষ্টি, লোডশেডিং ও সারের মূল্যবৃদ্ধিতে এই লক্ষ্য পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে যথেষ্ট।
তবে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ইউরিয়া সারের দাম বাড়ার ফলে ফসলের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
সার্বিক অবস্থায় নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক গবেষণা পরিচালক এম আসাদুজ্জামান বলেন, আমন বৃষ্টিনির্ভর ফসল। সরকারি হিসাবে আর ১০ দিনের মধ্যে ধান রোপণ করতে হবে। শুধু রোপণ নয়, ধানের চারা বেড়ে ওঠার সময় সেপ্টেম্বর নাগাদও জমিতে পানি থাকতে হবে। সময়মতো বৃষ্টি না হলে এই ধানে ঝুঁকি থাকে।
ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমানোর জন্য দাম কেজিতে ছয় টাকা বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালে ধান রোপণের এই সময়ে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া ঠিক হয়নি বলে মনে করেন বিআইডিএসের সাবেক এই গবেষণা পরিচালক। তাঁর ভাষায়, ‘অনাবৃষ্টিতে কৃষক যখন ধান লাগাতেই পারছিল না, নিত্যপণ্যের বাজার চড়া, তখন এ ধরনের ঘোষণায় তাঁদের ওপর একরকম মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে। পরিমাণ যাই হোক, মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা সার কেনার এই বাড়তি টাকা তাঁরা কোথায় পাবেন?’
বৃষ্টি কম হওয়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকলে আগামী বোরো মৌসুমেও চাষাবাদে ঝুঁকি থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দিল্লি থেকে করা ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনাবৃষ্টির কারণে বিশ্ববাজারে চালের অন্যতম বড় রপ্তানিকারক ভারতেও চলতি মৌসুমে ১৩ শতাংশ ফলন কম হবে। ফলন কম হলে বাংলাদেশের বাজারেও আগামীতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির মহাসচিব ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে কৃষিতে। এর সঙ্গে কৃষি উপকরণের বাড়তি দাম যোগ হলে কৃষকের তেমন লাভ হয় না। বিভিন্ন কারণে আমন ধানের চাষের এলাকা কমে গেলে ধান উৎপাদন কমে যাওয়ারও ঝুঁকি থাকে। উৎপাদন কম হলে ভোক্তাকে বেশি দামে চাল কিনতে হবে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের মাঠপর্যায় থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশে কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সমন্বিত তৎপরতা জরুরি।
অনাবৃষ্টি ও সারের বাড়তি দামের সমস্যায় কৃষকের জন্য সমাধান কী হতে পারে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কম পানি ও কম সার ব্যবহার করেও যে চাষাবাদ করা যায়, সে বিষয়ে কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং উদ্বুদ্ধ করা দরকার।
আসাদুজ্জামান বলেন, সরকার ১৩ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও উদ্বুদ্ধ করার জন্য ১৩ বছর নেহাত কম সময় নয়।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন আজকের পত্রিকার নওগাঁ ও তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি]
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে