Ajker Patrika

ভাঙা বাঁধে জলাবদ্ধ জমি

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২২, ১৩: ৫৮
ভাঙা বাঁধে জলাবদ্ধ জমি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বন্যার পানি নেমে গেলেও এখনো তলিয়ে আছে ৪৪৫ হেক্টর কৃষি জমি। এ ছাড়া পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে অর্ধশত পরিবার।

কৃষকেরা জানান, উপজেলার চাক্তাবাড়ি এলাকায় চার বছর আগে চাক্তাবাড়ি-ধনারচর-রাজীবপুর বেড়িবাঁধের ১৭ মিটার অংশ ভেঙে যায়। এরপর তা আর মেরামত না করায় পানি ঢুকে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জমি তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ৭২০ কৃষক। তাঁরা দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কারসহ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানিয়েছেন।

গতকাল রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, চাক্তাবাড়ি সুইট মোড় থেকে কর্তিমারী মাস্টারপাড়া এলাকায় জমিতে পানি থই থই করছে। এতে চলাচল করছে নৌকা। বন্যার সময় বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে এখানে পানি ঢুকে গোটা এলাকা প্লাবিত হয়ে আছে।

পাশের ধনারচর নতুনগ্রামে একটি সেতুর মুখ বন্ধ করে বসতি নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে কর্তিমারী বাজার এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে স্থাপনা। এতে করে তলিয়ে যাওয়া জমির পানি বের হতে পারছে না।

চাক্তাবাড়ির জাহিদ হোসেন জানান, প্রতিবছর বন্যার পানি বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে ঢুকে আর বের হয় না। পানি জমে থাকায় তাঁর তিন বিঘা জমিতে আবাদ করতে পারছেন না। এ অবস্থা চললে সরিষা, আমনসহ কোনো আবাদই করা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা তাঁর।

একই গ্রামের কৃষক তারা মিয়া বলেন, বাড়ির চারপাশে পানি জমে থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শিশুদের নিয়ে খুব চিন্তায় আছেন। ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার করতে হচ্ছে তাঁর পরিবারটিকে।

স্থানীয় কৃষক মজিবর রহমান, আজিবর রহমান, আলী আকবরসহ অনেকে অভিযোগ করেন, চার বছর আগে বন্যার পানিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলেও তা আজও মেরামত করা হয়নি। এতে প্রতিবছর বন্যার সময় পানি ঢুকছে। ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় চাষাবাদ করা যাচ্ছে না।

স্থানীয় যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল কালাম জানান, চার বছরে ধরে এ অবস্থা চললেও বেড়িবাঁধের দেখভালের দায়িত্বে যাঁরা আছেন তাঁরা এটি মেরামতের কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। ফলে বছরের বেশির ভাগ সময় জমিতে পানি জমে থাকে।

রৌমারীর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আফসার আলী বলেন, ওই এলাকার ৭২৫ কৃষকের ৪৪৫ হেক্টর আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে নষ্ট হয়েছে ১১০ হেক্টর জমির আউশ ধান, পাটসহ সবজি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী জানান, কৃষকদের পুনর্বাসনে কোনো প্রণোদনা বরাদ্দ না আসায় ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা যাচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন এম এ জি ওসমানীসহ ৮ জন

কনের বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে হৃদ্‌রোগে বরের মৃত্যু

বগুড়ায় মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ছাদ থেকে পড়ে নার্সিং শিক্ষার্থীর মৃত্যু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত