আমিনুল হক, ফুলছড়ি (গাইবান্ধা)
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশের তৈরি শিল্প। একদিকে বাড়তি দাম, অপরদিকে পুঁজি সংকটে বাধ্য হয়েই মহাজনদের খপ্পরে পড়তে হয়েছে এর কারিগরদের। তা ছাড়া বর্তমানে বাঁশের তৈরি পণ্যের তেমন কদর নেই। নানা কারণে বাঁশশিল্পের কারিগরদের এখন দুর্দিন। এতকিছুর পরেও অনেকে এ শিল্পের ওপর ভর করে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করছেন।
জানা যায়, উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাউশি চাটাইপাড়া, কাতলামারী; কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ঘোলদহ, সৈয়দপুর, পাকারমাথা, মদনেরপাড়া; উদাখালী ইউনিয়নের সিংড়িয়া ও উদাখালীসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা পৈতৃক সূত্রেই এই পেশার সঙ্গে জড়িত। এসব জায়গায় বাঁশশিল্পের তৈরি সব সামগ্রী গ্রামীণ জনপদের মানুষ গৃহস্থালি ও কৃষিতে ব্যবহার করতেন। বাসাবাড়িতে প্রায় সবখানেই চোখে পড়ত নানান রকমের বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র। তা ছাড়া এখানকার উৎপাদিত পণ্য গাইবান্ধা জেলাসহ দিনাজপুর, রংপুর, সান্তাহার, পাবনা, বগুড়া এবং দেশের অন্যান্য স্থানে সরবরাহ হতো।
এখন সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে এসব চিরচেনা চিত্র। মাঝেমধ্যে গ্রামীণ উৎসব ও মেলাগুলোতে বাঁশশিল্পের কারিগরদের তৈরি টোপা, হোঁচা, তারকী, কুলা চাটাই, খলুই, ধামা, ঠোনা, পাল্লা, মোড়া, মই ঝাড়নি, চালন ইত্যাদি চোখে পড়লেও আগেরমতো চাহিদা নেই।
প্লাস্টিক ও বিভিন্ন ধরনের কাঠের বোর্ড সামগ্রীর কদর বেড়ে যাওয়ায় বাঁশশিল্পের চাহিদা এখন তলানিতে। এ ছাড়া আগের মতো জাতের বাঁশের চাষ না হওয়ায় কাঁচামালের ঘাটতির কারণেও দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়ছে বাঁশশিল্প। তাই দূরের হাট-বাজার থেকে এখন বাঁশ সংগ্রহ করে আনতে হয়।
উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাউশি গ্রামের দক্ষ বাঁশশিল্পের কারিগর সোলেকা বেগম বলেন, ‘সারা দিন বাড়ির সগলাই মিলি কাজ করি এক শ ট্যাকার বেশি আয় হয় না। আগত বাঁশের দাম কম আছিল, চাউল-ডাইলের দাম কম আছিল, সে তুলনায় আয় বেশি আছিল। তখন ভালোয় আছিলাম। এখন খাবার জোগাইতে ফতুর হওয়া নাগে, ছোল-পৈল মানুষ করমো কেমন করি।’
কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের বাঁশশিল্পের কারিগর জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, ‘একসময় দেশের বিস্তীর্ণ জনপদে চাষ হতো বাঁশের, যা দিয়ে আমাদের পূর্বপুরুষ তৈরি করত নিত্যদিনের গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত ও শৌখিন আসবাবপত্র। আর এসব আসবাবপত্র বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ করতেন তাঁরা। তাই আমরাও এই পেশার সঙ্গে জড়িত।’
ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ বলেন, বাঁশশিল্প টিকিয়ে রাখতে হলে এর কারিগরদের পুঁজি সংকটের সমাধান করা জরুরি। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশের তৈরি শিল্প। একদিকে বাড়তি দাম, অপরদিকে পুঁজি সংকটে বাধ্য হয়েই মহাজনদের খপ্পরে পড়তে হয়েছে এর কারিগরদের। তা ছাড়া বর্তমানে বাঁশের তৈরি পণ্যের তেমন কদর নেই। নানা কারণে বাঁশশিল্পের কারিগরদের এখন দুর্দিন। এতকিছুর পরেও অনেকে এ শিল্পের ওপর ভর করে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করছেন।
জানা যায়, উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাউশি চাটাইপাড়া, কাতলামারী; কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ঘোলদহ, সৈয়দপুর, পাকারমাথা, মদনেরপাড়া; উদাখালী ইউনিয়নের সিংড়িয়া ও উদাখালীসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা পৈতৃক সূত্রেই এই পেশার সঙ্গে জড়িত। এসব জায়গায় বাঁশশিল্পের তৈরি সব সামগ্রী গ্রামীণ জনপদের মানুষ গৃহস্থালি ও কৃষিতে ব্যবহার করতেন। বাসাবাড়িতে প্রায় সবখানেই চোখে পড়ত নানান রকমের বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র। তা ছাড়া এখানকার উৎপাদিত পণ্য গাইবান্ধা জেলাসহ দিনাজপুর, রংপুর, সান্তাহার, পাবনা, বগুড়া এবং দেশের অন্যান্য স্থানে সরবরাহ হতো।
এখন সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে এসব চিরচেনা চিত্র। মাঝেমধ্যে গ্রামীণ উৎসব ও মেলাগুলোতে বাঁশশিল্পের কারিগরদের তৈরি টোপা, হোঁচা, তারকী, কুলা চাটাই, খলুই, ধামা, ঠোনা, পাল্লা, মোড়া, মই ঝাড়নি, চালন ইত্যাদি চোখে পড়লেও আগেরমতো চাহিদা নেই।
প্লাস্টিক ও বিভিন্ন ধরনের কাঠের বোর্ড সামগ্রীর কদর বেড়ে যাওয়ায় বাঁশশিল্পের চাহিদা এখন তলানিতে। এ ছাড়া আগের মতো জাতের বাঁশের চাষ না হওয়ায় কাঁচামালের ঘাটতির কারণেও দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়ছে বাঁশশিল্প। তাই দূরের হাট-বাজার থেকে এখন বাঁশ সংগ্রহ করে আনতে হয়।
উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাউশি গ্রামের দক্ষ বাঁশশিল্পের কারিগর সোলেকা বেগম বলেন, ‘সারা দিন বাড়ির সগলাই মিলি কাজ করি এক শ ট্যাকার বেশি আয় হয় না। আগত বাঁশের দাম কম আছিল, চাউল-ডাইলের দাম কম আছিল, সে তুলনায় আয় বেশি আছিল। তখন ভালোয় আছিলাম। এখন খাবার জোগাইতে ফতুর হওয়া নাগে, ছোল-পৈল মানুষ করমো কেমন করি।’
কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের বাঁশশিল্পের কারিগর জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, ‘একসময় দেশের বিস্তীর্ণ জনপদে চাষ হতো বাঁশের, যা দিয়ে আমাদের পূর্বপুরুষ তৈরি করত নিত্যদিনের গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত ও শৌখিন আসবাবপত্র। আর এসব আসবাবপত্র বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ করতেন তাঁরা। তাই আমরাও এই পেশার সঙ্গে জড়িত।’
ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ বলেন, বাঁশশিল্প টিকিয়ে রাখতে হলে এর কারিগরদের পুঁজি সংকটের সমাধান করা জরুরি। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে