আমন ধান ঘরে তোলার শেষ সময়ে ব্যস্ত কমলগঞ্জের কৃষকেরা। বাড়ির আঙিনায় ধান শুকানো ও সেদ্ধ করে গোলায় তুলছেন তাঁরা। এদিকে চলতি মৌসুমে আমন ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এ বছর আমন চাষ হয়েছে ১৭ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদিত চালের লাখ মাত্রা ৪৯ হাজর ৪৬ মেট্রিক টন। এখন পর্যন্ত ৮০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধান ঘরে তুলে বোরো ধান চাষ করার জন্য কৃষকেরা দ্রুত আমন ধান ঘরে তুলছেন।

কৃষকেরা জানান, আমন রোপণের পর ধান গাছে নানা পোকার আক্রমণ উপেক্ষা করে চলতি মৌসুমে ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে দামও মোটামুটি ভালো। অনেক কৃষকের ধান ঘরে তোলা শেষ হয়েছে। আবার অনেকের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। বিশেষ করে গ্রামগুলোতে কৃষকেরা ধান গোলায় তুলছেন উৎসব মুখর পরিবেশে।

উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কৃষক ছলিমা বেগম বলেন, ‘এ বছর ফসল ভালো হয়েছে। আমার পরিবারের সবাই মিলে ধান রোদে শুকিয়ে গোলায় তুলছি। কয়েক দিনের মধ্যে ধান ঘরে তোলা শেষ হবে।’

শমশেরনগর ইউনিয়নের কৃষক আমির আলী বলেন, ‘এবার চার একর জমিতে ধান চাষ করি। ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে দাম ভালো পাব আশা করি।’

আমির আলী আরও বলেন, ‘চাষের শুরুতে পোকার আক্রমণে কিছুটা ফসল নষ্ট হয়েছিল। ঘরে ধান তোলা প্রায় শেষ হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে বোরোধানের জমি প্রস্তুত করব।’

কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনি খান বলেন, এ উপজেলায় আমন ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ পর্যন্ত ৮০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। তবে এ অঞ্চলের বেশ কিছু কৃষকেরা ধান কেটে বোরো চাষাবাদ করেন এ জন্য দ্রুত ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত তাঁরা।

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকেরা এবার খুশি। ধানের দামও ভালো আছে। এ ছাড়া কৃষি অফিস থেকে সব সময় কৃষকদের সহযোগিতা করা হয়েছে।