সম্পাদকীয়
ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজির অভিযোগ নতুন নয়। নেত্রকোনায় অটোরিকশাচালকেরা যখন এই হয়রানি বন্ধের জন্য সড়ক অবরোধ করেছিলেন, তখন বোঝা গিয়েছিল তাঁদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। নইলে ট্রাফিক পুলিশকে অল্পবিস্তর ঘুষ দিতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। দুঃখজনক হলেও সত্য, সেভাবেই টিকে থাকে অনিয়মগুলো। চকচকে আইনে সাধারণ মানুষের যে নিরাপত্তা, অধিকার ইত্যাদির বয়ান আছে, তার সঙ্গে যাপিত জীবনকে মেলানো যাবে না।
যাদের হাতে ক্ষমতা থাকে, তারা তার ব্যবহার না করে অপব্যবহার করে যখন, তখনই সংকট তৈরি হয়। অনিয়ম গড়ে উঠতে শুরু করলে একসময় সেটাকেই নিয়ম বলে মনে হয়। আর তখন দুর্নীতি, ঘুষ বাড়তে থাকে। আমাদের সরকারি অফিসগুলোতে স্বাভাবিকভাবে প্রক্রিয়া মাফিক কাজ হয়েছে—এমন নজির কি খুঁজে পাওয়া যায়? অন্য কথা বাদ থাক, খোদ সরকারি চাকরি শেষে নিজের পেনশন পাওয়ার জন্য কতবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে ধরনা দিতে হয়, সে রকম হাজারটা গল্প কি আমাদের জানা নেই? কাক কাকের মাংস খায় না, কিন্তু সরকারি আমলা তার ‘সাবেক’ কলিগকেও ছাড় দেন না।
নেত্রকোনার ঘটনাটি খুবই সরল। পুলিশের দুই কর্মকর্তা তাঁদের ইচ্ছেমতো চাঁদাবাজি করে চলছিলেন। কেন তাঁদের চাঁদা দিতে হবে, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। রাস্তায় অটোরিকশা নিয়ে বের হলেই বিদ্যুতের গতিতে তাঁরা হাজির হতেন। চাঁদা দেওয়া না হলে নানাভাবে নির্যাতন চালাতেন। বহুদিন ধরেই অটোরিকশাচালকদের ওপর চাঁদাবাজির ডান্ডা রেখে আখের গুছিয়ে নিচ্ছিলেন এ দুই ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা। আমাদের ধারণা, মৃদু গোপন চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কেউই হয়তো মুখ খুলতেন না, এটাকে নিয়তি বলে মেনে নিতেন, যদি না এ দুই কর্মকর্তা চাঁদাবাজি নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা করতে গিয়ে মারধরের ঘটনা না ঘটাতেন। সংঘবদ্ধ মানুষ এক হলে যে বড় চাঁদাবাজেরাও থমকে দাঁড়ায়, তার নজির হলো এ দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ নিয়ে এক তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে।
কিন্তু যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি, তা হলো এ দুই চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে আসলেই কি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে? নিলে কেমন হবে সেই ব্যবস্থা? শাস্তি শেষ হলেই আবার ডিউটি পালনের নামে তাঁরা দুজন চাঁদাবাজি শুরু করবেন না, তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? দুই কর্মকর্তার চাঁদাবাজির কথা উল্লেখ করে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বারবার জানানো সত্ত্বেও তাঁরা তো এদের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত করেননি, শাস্তি দেননি। এখন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পড়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের টনক নড়ল। তাহলে কি চাঁদাবাজির সঙ্গে মারপিট যোগ না হওয়া পর্যন্ত চাঁদাবাজি বন্ধ হবে না?
এসব ব্যাপারে পুলিশ বিভাগের স্বচ্ছতা খুব জরুরি, কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে তার প্রয়োগ খুব একটা দেখা যায় না। পুলিশ যে জনগণ তথা সব মানুষের বন্ধু, সেটা মুখে বললে হবে না, কাজে প্রমাণ দিতে হবে। দেখা যাক এ দুই কর্মকর্তাকে নিয়ে পুলিশ বিভাগ কী করে!
ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজির অভিযোগ নতুন নয়। নেত্রকোনায় অটোরিকশাচালকেরা যখন এই হয়রানি বন্ধের জন্য সড়ক অবরোধ করেছিলেন, তখন বোঝা গিয়েছিল তাঁদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। নইলে ট্রাফিক পুলিশকে অল্পবিস্তর ঘুষ দিতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। দুঃখজনক হলেও সত্য, সেভাবেই টিকে থাকে অনিয়মগুলো। চকচকে আইনে সাধারণ মানুষের যে নিরাপত্তা, অধিকার ইত্যাদির বয়ান আছে, তার সঙ্গে যাপিত জীবনকে মেলানো যাবে না।
যাদের হাতে ক্ষমতা থাকে, তারা তার ব্যবহার না করে অপব্যবহার করে যখন, তখনই সংকট তৈরি হয়। অনিয়ম গড়ে উঠতে শুরু করলে একসময় সেটাকেই নিয়ম বলে মনে হয়। আর তখন দুর্নীতি, ঘুষ বাড়তে থাকে। আমাদের সরকারি অফিসগুলোতে স্বাভাবিকভাবে প্রক্রিয়া মাফিক কাজ হয়েছে—এমন নজির কি খুঁজে পাওয়া যায়? অন্য কথা বাদ থাক, খোদ সরকারি চাকরি শেষে নিজের পেনশন পাওয়ার জন্য কতবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে ধরনা দিতে হয়, সে রকম হাজারটা গল্প কি আমাদের জানা নেই? কাক কাকের মাংস খায় না, কিন্তু সরকারি আমলা তার ‘সাবেক’ কলিগকেও ছাড় দেন না।
নেত্রকোনার ঘটনাটি খুবই সরল। পুলিশের দুই কর্মকর্তা তাঁদের ইচ্ছেমতো চাঁদাবাজি করে চলছিলেন। কেন তাঁদের চাঁদা দিতে হবে, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। রাস্তায় অটোরিকশা নিয়ে বের হলেই বিদ্যুতের গতিতে তাঁরা হাজির হতেন। চাঁদা দেওয়া না হলে নানাভাবে নির্যাতন চালাতেন। বহুদিন ধরেই অটোরিকশাচালকদের ওপর চাঁদাবাজির ডান্ডা রেখে আখের গুছিয়ে নিচ্ছিলেন এ দুই ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা। আমাদের ধারণা, মৃদু গোপন চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কেউই হয়তো মুখ খুলতেন না, এটাকে নিয়তি বলে মেনে নিতেন, যদি না এ দুই কর্মকর্তা চাঁদাবাজি নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা করতে গিয়ে মারধরের ঘটনা না ঘটাতেন। সংঘবদ্ধ মানুষ এক হলে যে বড় চাঁদাবাজেরাও থমকে দাঁড়ায়, তার নজির হলো এ দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ নিয়ে এক তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে।
কিন্তু যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি, তা হলো এ দুই চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে আসলেই কি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে? নিলে কেমন হবে সেই ব্যবস্থা? শাস্তি শেষ হলেই আবার ডিউটি পালনের নামে তাঁরা দুজন চাঁদাবাজি শুরু করবেন না, তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? দুই কর্মকর্তার চাঁদাবাজির কথা উল্লেখ করে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বারবার জানানো সত্ত্বেও তাঁরা তো এদের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত করেননি, শাস্তি দেননি। এখন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পড়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের টনক নড়ল। তাহলে কি চাঁদাবাজির সঙ্গে মারপিট যোগ না হওয়া পর্যন্ত চাঁদাবাজি বন্ধ হবে না?
এসব ব্যাপারে পুলিশ বিভাগের স্বচ্ছতা খুব জরুরি, কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে তার প্রয়োগ খুব একটা দেখা যায় না। পুলিশ যে জনগণ তথা সব মানুষের বন্ধু, সেটা মুখে বললে হবে না, কাজে প্রমাণ দিতে হবে। দেখা যাক এ দুই কর্মকর্তাকে নিয়ে পুলিশ বিভাগ কী করে!
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪