কাজল সরকার, হবিগঞ্জ
বৈশাখ ও বর্ষা মৌসুম এলেই হবিগঞ্জে বজ্রপাতে মৃত্যুর আতঙ্ক বেড়ে যায়। এ সময় হাওর এলাকায় বজ্রপাতে প্রাণহানি ঘটলেও চলতি বছর বাড়ির আঙিনাতে বজ্রপাতে কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক বেড়েছে কয়েক গুণ। এদিকে বজ্রপাত মোকাবিলায় তালের চারা রোপণের সরকারি নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণসচেতনতা সৃষ্টি, হাওরে তালের চারা রোপণ এবং ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপন করলে বজ্রপাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, দুই মাসে হবিগঞ্জে বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মৃত্যু ঘটে বাড়ির আঙিনায়। পয়লা বৈশাখ বাড়ির উঠানে পেঁপে পাড়তে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যায় বানিয়াচং উপজেলার চান্দের মহল্লা গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ঝুমা আক্তার। একই দিন হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান আরও দুজন।
সাধারণ মানুষ বলছেন, বজ্রপাত এখন গ্রামের মানুষের কাছে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বজ্রপাত ঘটলেই কোনো-না কোনো মানুষের ওপর পড়ছে। এ অবস্থায় গ্রামের মানুষ এখন প্রয়োজনীয় কাজেও হাওরে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ঝিলুয়া গ্রামের বাসিন্দা সুবল দাস বলেন, ‘অখন কিতা যে শুরু হইছে বুঝি না। মেঘ আইলই দৌড়া যে বাড়িত আইমু এই সুযোগটাও নাই। মেঘ আইতে না আইতেই ঠাডা (বজ্রপাত) শুরু হইয়া যায়। যেদিনই মেঘ আয় শুনি ঠাডায় মানুষ মরছে। আমরাত অখন বন্দে (হাওরে) যাইতে ভয় পাই।’
বানিয়াচং উপজেলার সাঙ্গর গ্রামের কৃষক মনু মিয়া বলেন, ‘আগে কত ঠাডা পরত, কিন্তু মানুষ মরত না। অখন ঠাডা খালি মানুষের ওপরে পরে। কারণ বন্দে যে পিলার আছিল, ইতা চুরি হইয়া গেছে। ইতা থাকলে অত ঠাডা পরলেনানে।’
এদিকে বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে গণসচেতনতা বাড়াতে ও হাওরে তালের চারা রোপণে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিলেও হবিগঞ্জে এ উদ্যোগ একেবারেই দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গ্রামীণ সড়কে টিআর-কাবিকার মাধ্যমে তালের চারা রোপণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। অথচ হবিগঞ্জে ৫ বছরেও তার বাস্তবায়ন নেই। এমনকি একটি তালগাছ রোপণেরও তথ্য নেই জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখায়। কর্মকর্তাদের দাবি, উপজেলা প্রশাসন থেকে তালগাছ লাগানোর কোনো তথ্য তাদের কাছে আসেনি।
লাখাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আলী নূর বলেন, ‘গ্রামীণ সড়কে শুধু তালগাছ লাগালে হবে? এর পরিচর্যা করতে হবে। দেখা যাবে লাখ টাকা খরচ করে তালগাছ লাগানো হয়েছে, কিন্তু কিছুদিন পর একটি গাছও নেই। এর জন্য প্রথমে প্রয়োজন তালগাছের পরিচর্যা ও রক্ষার নিশ্চয়তা। আর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ দায়িত্ব নিয়ে তালগাছ লাগালে কাজে আসবে। না হলে শুধু শুধু অর্থ অপচয়।’
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল হক শাকিল বলেন, ‘বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত এই মৃত্যু ঠেকাতে সরকারকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। বজ্রপাত সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি হাওরে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপন করতে হবে।’
অধ্যাপক আরও বলেন, হাওরে বেশি বেশি তালের চারা রোপণ করতে হবে। একই সঙ্গে শহরের উঁচু ভবনগুলোতে বজ্রনিরোধক ডিভাইস স্থাপন করলে বজ্রপাতে প্রাণহানি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, ‘ইতিমধ্যে বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি হাওরে তালের চারা রোপণ এবং ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত এসব কার্যক্রম শুরু হবে। তখন বজ্রপাতে প্রাণহানি কমে আসবে।’
বৈশাখ ও বর্ষা মৌসুম এলেই হবিগঞ্জে বজ্রপাতে মৃত্যুর আতঙ্ক বেড়ে যায়। এ সময় হাওর এলাকায় বজ্রপাতে প্রাণহানি ঘটলেও চলতি বছর বাড়ির আঙিনাতে বজ্রপাতে কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক বেড়েছে কয়েক গুণ। এদিকে বজ্রপাত মোকাবিলায় তালের চারা রোপণের সরকারি নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণসচেতনতা সৃষ্টি, হাওরে তালের চারা রোপণ এবং ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপন করলে বজ্রপাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, দুই মাসে হবিগঞ্জে বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মৃত্যু ঘটে বাড়ির আঙিনায়। পয়লা বৈশাখ বাড়ির উঠানে পেঁপে পাড়তে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যায় বানিয়াচং উপজেলার চান্দের মহল্লা গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ঝুমা আক্তার। একই দিন হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান আরও দুজন।
সাধারণ মানুষ বলছেন, বজ্রপাত এখন গ্রামের মানুষের কাছে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বজ্রপাত ঘটলেই কোনো-না কোনো মানুষের ওপর পড়ছে। এ অবস্থায় গ্রামের মানুষ এখন প্রয়োজনীয় কাজেও হাওরে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ঝিলুয়া গ্রামের বাসিন্দা সুবল দাস বলেন, ‘অখন কিতা যে শুরু হইছে বুঝি না। মেঘ আইলই দৌড়া যে বাড়িত আইমু এই সুযোগটাও নাই। মেঘ আইতে না আইতেই ঠাডা (বজ্রপাত) শুরু হইয়া যায়। যেদিনই মেঘ আয় শুনি ঠাডায় মানুষ মরছে। আমরাত অখন বন্দে (হাওরে) যাইতে ভয় পাই।’
বানিয়াচং উপজেলার সাঙ্গর গ্রামের কৃষক মনু মিয়া বলেন, ‘আগে কত ঠাডা পরত, কিন্তু মানুষ মরত না। অখন ঠাডা খালি মানুষের ওপরে পরে। কারণ বন্দে যে পিলার আছিল, ইতা চুরি হইয়া গেছে। ইতা থাকলে অত ঠাডা পরলেনানে।’
এদিকে বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে গণসচেতনতা বাড়াতে ও হাওরে তালের চারা রোপণে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিলেও হবিগঞ্জে এ উদ্যোগ একেবারেই দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গ্রামীণ সড়কে টিআর-কাবিকার মাধ্যমে তালের চারা রোপণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। অথচ হবিগঞ্জে ৫ বছরেও তার বাস্তবায়ন নেই। এমনকি একটি তালগাছ রোপণেরও তথ্য নেই জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখায়। কর্মকর্তাদের দাবি, উপজেলা প্রশাসন থেকে তালগাছ লাগানোর কোনো তথ্য তাদের কাছে আসেনি।
লাখাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আলী নূর বলেন, ‘গ্রামীণ সড়কে শুধু তালগাছ লাগালে হবে? এর পরিচর্যা করতে হবে। দেখা যাবে লাখ টাকা খরচ করে তালগাছ লাগানো হয়েছে, কিন্তু কিছুদিন পর একটি গাছও নেই। এর জন্য প্রথমে প্রয়োজন তালগাছের পরিচর্যা ও রক্ষার নিশ্চয়তা। আর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ দায়িত্ব নিয়ে তালগাছ লাগালে কাজে আসবে। না হলে শুধু শুধু অর্থ অপচয়।’
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল হক শাকিল বলেন, ‘বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত এই মৃত্যু ঠেকাতে সরকারকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। বজ্রপাত সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি হাওরে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপন করতে হবে।’
অধ্যাপক আরও বলেন, হাওরে বেশি বেশি তালের চারা রোপণ করতে হবে। একই সঙ্গে শহরের উঁচু ভবনগুলোতে বজ্রনিরোধক ডিভাইস স্থাপন করলে বজ্রপাতে প্রাণহানি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, ‘ইতিমধ্যে বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি হাওরে তালের চারা রোপণ এবং ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত এসব কার্যক্রম শুরু হবে। তখন বজ্রপাতে প্রাণহানি কমে আসবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে