গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে ওঠানামা করতে হয় যাত্রীদের। এতে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ছাড়া প্রাণহানিও ঘটছে। ঝুঁকি এড়াতে নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব থাকলেও নেই কোনো নজরদারি।
গতকাল সোমবার দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটে দেখা যায়, ছোট-বড় যানবাহনের পাশাপাশি রয়েছে যাত্রীদেরও ভিড়। ঘাটে থাকা ফেরিতে দ্রুত গাড়িগুলো উঠে যাচ্ছে। ফেরি ভরে যাওয়ার পর ঘাট ছেড়ে পন্টুন ও ফেরির দূরত্ব থাকলেও ফেরির পকেট গেট দিয়ে লাফিয়ে উঠছে অনেকেই। অপরদিকে ঘাটে ফেরি ভেড়ার পর র্যাম নামানোর আগেই লাফিয়ে নামছেন অনেকেই। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে প্রাণহানির মতো দুর্ঘটনা।
বেলা ১১টার সময় ৫ নম্বর ফেরিঘাটে ভেড়ে রো রো ফেরি শাহ জালাল। ঘাটে ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে র্যাম না নামাতেই যাত্রীরা নামতে শুরু করে। কেউ নামছে পকেট গেট দিয়ে লাফিয়ে আবার কেউ নামছে ফেরির রেলিং টপকে। ফেরি আনলোড হওয়ার পর আবার লোড হয়। ফেরিতে গাড়ি লোড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু যাত্রীকেও উঠতে দেখা যায়।
এ সময় ফেরিতে উঠতে দৌড়াচ্ছিলেন কয়েকজন যুবক। কেন দৌড়াচ্ছেন জিজ্ঞেস করতেই তাঁরা বলেন, ভাই, এখন আমাদের সময় নাই, ফেরি ছেড়ে দিচ্ছে, তাড়াতাড়ি উঠতে হবে;’ বলে চলে যান।
রো রো ফেরি শাহ জালাল থেকে রেলিং টপকিয়ে নামেন যশোরের আবদুল আহাদ খান। কেন ঝুঁকি নিয়ে এভাবে নামলেন–জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভাই, ফেরি ভেড়ার পর র্যাম নামাতে একটু দেরি হয়। পকেট গেট দিয়ে অনেকেই নামছেন, সেখানে ভিড় দেখে এখান দিয়ে টপকে নামছি।’
জরুরি এমন কী কাজ যার জন্য এভাবে ঝুঁকি নিয়ে নামতে হলো? জবাবে তিনি বলেন, ‘তেমন কোনো কাজ নাই, শুধু আগে নামার জন্যই এভাবে নামা।’
এ সময় ফেরির পন্টুনে টিকিট বিক্রেতা সেলিম খান বলেন, ‘প্রতিনিয়ত ফেরিঘাট থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে ওঠানামা করে। আবার কখনো ফেরি ঘাটে ভিড়তে না ভিড়তেই যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে ওঠানামা করে। যে কারণে অনেক সময় যাত্রীদের ব্যাগ, লাগেজসহ অনেক কিছুই নদীতে পড়ে যায়।’
এর আগে গত বুধবার মধ্যরাতে ফেরির সঙ্গে পন্টুনের ধাক্কায় মোজাফফর হোসেন ওরফে নান্নু (৭০) নামের এক বৃদ্ধ পদ্মা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুরের সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকার পদ্মা নদী থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। মোজাফফর হোসেনের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চৌরহাস কলোনি এলাকার ফুলতলা গ্রামে।
ফেরি ছেড়ে দেওয়ার পরও কেন গেট খোলা থাকে? এমন প্রশ্নের জবাবে শাহ জালাল ফেরির লস্কর মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা গাড়ি লোড করে ফেরি ছেড়ে দিই। অনেক সময়ই গেটগুলো বন্ধ করা হয়; তবে দুই-একবার ভুলে আটকানো হয় না। তবে উচিত গেটগুলো খেয়াল করে বন্ধ করে রাখা।’
দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ফেরির র্যাম ওঠানোর পর যাত্রী ওঠা নিষেধ থাকলেও যাত্রীরা তা মানে না। যাত্রীদের অসাবধানতার কারণেই গত বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে ফেরির পকেট দিয়ে নদীতে পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তবে নৌ-পুলিশ সদস্যরা এ ধরনের পরিস্থিতি দেখলে সতর্ক করে থাকেন।
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে ওঠানামা করতে হয় যাত্রীদের। এতে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ছাড়া প্রাণহানিও ঘটছে। ঝুঁকি এড়াতে নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব থাকলেও নেই কোনো নজরদারি।
গতকাল সোমবার দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটে দেখা যায়, ছোট-বড় যানবাহনের পাশাপাশি রয়েছে যাত্রীদেরও ভিড়। ঘাটে থাকা ফেরিতে দ্রুত গাড়িগুলো উঠে যাচ্ছে। ফেরি ভরে যাওয়ার পর ঘাট ছেড়ে পন্টুন ও ফেরির দূরত্ব থাকলেও ফেরির পকেট গেট দিয়ে লাফিয়ে উঠছে অনেকেই। অপরদিকে ঘাটে ফেরি ভেড়ার পর র্যাম নামানোর আগেই লাফিয়ে নামছেন অনেকেই। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে প্রাণহানির মতো দুর্ঘটনা।
বেলা ১১টার সময় ৫ নম্বর ফেরিঘাটে ভেড়ে রো রো ফেরি শাহ জালাল। ঘাটে ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে র্যাম না নামাতেই যাত্রীরা নামতে শুরু করে। কেউ নামছে পকেট গেট দিয়ে লাফিয়ে আবার কেউ নামছে ফেরির রেলিং টপকে। ফেরি আনলোড হওয়ার পর আবার লোড হয়। ফেরিতে গাড়ি লোড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু যাত্রীকেও উঠতে দেখা যায়।
এ সময় ফেরিতে উঠতে দৌড়াচ্ছিলেন কয়েকজন যুবক। কেন দৌড়াচ্ছেন জিজ্ঞেস করতেই তাঁরা বলেন, ভাই, এখন আমাদের সময় নাই, ফেরি ছেড়ে দিচ্ছে, তাড়াতাড়ি উঠতে হবে;’ বলে চলে যান।
রো রো ফেরি শাহ জালাল থেকে রেলিং টপকিয়ে নামেন যশোরের আবদুল আহাদ খান। কেন ঝুঁকি নিয়ে এভাবে নামলেন–জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভাই, ফেরি ভেড়ার পর র্যাম নামাতে একটু দেরি হয়। পকেট গেট দিয়ে অনেকেই নামছেন, সেখানে ভিড় দেখে এখান দিয়ে টপকে নামছি।’
জরুরি এমন কী কাজ যার জন্য এভাবে ঝুঁকি নিয়ে নামতে হলো? জবাবে তিনি বলেন, ‘তেমন কোনো কাজ নাই, শুধু আগে নামার জন্যই এভাবে নামা।’
এ সময় ফেরির পন্টুনে টিকিট বিক্রেতা সেলিম খান বলেন, ‘প্রতিনিয়ত ফেরিঘাট থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে ওঠানামা করে। আবার কখনো ফেরি ঘাটে ভিড়তে না ভিড়তেই যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে ওঠানামা করে। যে কারণে অনেক সময় যাত্রীদের ব্যাগ, লাগেজসহ অনেক কিছুই নদীতে পড়ে যায়।’
এর আগে গত বুধবার মধ্যরাতে ফেরির সঙ্গে পন্টুনের ধাক্কায় মোজাফফর হোসেন ওরফে নান্নু (৭০) নামের এক বৃদ্ধ পদ্মা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুরের সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকার পদ্মা নদী থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। মোজাফফর হোসেনের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চৌরহাস কলোনি এলাকার ফুলতলা গ্রামে।
ফেরি ছেড়ে দেওয়ার পরও কেন গেট খোলা থাকে? এমন প্রশ্নের জবাবে শাহ জালাল ফেরির লস্কর মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা গাড়ি লোড করে ফেরি ছেড়ে দিই। অনেক সময়ই গেটগুলো বন্ধ করা হয়; তবে দুই-একবার ভুলে আটকানো হয় না। তবে উচিত গেটগুলো খেয়াল করে বন্ধ করে রাখা।’
দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ফেরির র্যাম ওঠানোর পর যাত্রী ওঠা নিষেধ থাকলেও যাত্রীরা তা মানে না। যাত্রীদের অসাবধানতার কারণেই গত বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে ফেরির পকেট দিয়ে নদীতে পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তবে নৌ-পুলিশ সদস্যরা এ ধরনের পরিস্থিতি দেখলে সতর্ক করে থাকেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪