রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি কলেজে ২৩ বছর ধরে ছাত্র সংসদের কোনো কার্যক্রম নেই। অথচ প্রতিবছরই ভর্তি এবং বিভিন্ন বিভাগের ফরম পূরণের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ বাবদ নেওয়া হচ্ছে ২৫ টাকা করে। আর কলেজের সাবেক ছাত্ররা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংসদের নির্বাচন না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটছে না। অধিকার বাস্তবায়নে কোনো সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে জোরালো আওয়াজ তুলতে পারছেন না ছাত্ররা। তবে কলেজ প্রশাসন এ জন্য রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের জটিলতাকেই দায়ী করেন।
সৈয়দপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার তো আর ফি আদায় করতে নিষেধ করেনি। সরকারি বিধি অনুসারে অন্যান্য তহবিলের মতোই ছাত্র সংসদের ফি আদায় করা হচ্ছে। আদায়কৃত ফি ওই তহবিলেই রয়েছে। ওখান থেকে ১ টাকাও খরচ করার কোনো সুযোগ নেই।’
অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল মান্নান আরও বলেন, ‘আমি এ কলেজে নতুন। ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো আবেদন আমার কাছে আসেনি। আবেদন পেলে শিক্ষক পরিষদ নেতা, প্রত্যেক ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা করা হবে।’
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রাচীন এ বিদ্যাপীঠে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয় মাত্র ৪টি। ১৯৯৯ সালে শেষবার ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। পরবর্তীকালে ছাত্র সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন না হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানা যায়, বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ। যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে, সেই দলের ছাত্র সংগঠন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপের কারণে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। ছাত্র সংসদের ক্ষমতা অন্য রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের হাতে চলে যাবে—এমন আশঙ্কায় নির্বাচনের বিরোধিতা করা হয়।
অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আল-আমিন বলে, ‘ছাত্র সংসদ বাবদ আমাদের নিয়মিত ফি দিতে হচ্ছে। কিন্তু কোনো সেবা বা সুবিধা ভোগ করতে পারছি না আমরা।’
কলেজে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান বসুনিয়া বলেন, ‘ছাত্রসংসদ নির্বাচন দেওয়ার জন্য ইতিপূর্বে আমরা আন্দোলন করেছি। আশ্বাস দিলেও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না কলেজ কর্তৃপক্ষের।’
আসাদুজ্জামান আরও বলে, ‘ছাত্র সংসদের মূল উদ্দেশ্য নেতৃত্বের বিকাশ। ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কথা বলা। ছাত্র সংসদ না থাকায় একদিকে শিক্ষিত নেতা তৈরি হচ্ছে না, অন্যদিকে ছাত্রদের অধিকার নিয়েও কথা বলার কেউ থাকছে না। আমরা চাই দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিয়ে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ও কলেজে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রাখার ব্যবস্থা করা হোক।’
সৈয়দপুর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিফাত সরকার বলেন, ‘ছাত্র সংসদ না থাকায় কলেজটিতে প্রাচীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কমিটিও নেই দীর্ঘদিন। শিক্ষাঙ্গন থেকে জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দেবে—এমন রাজনৈতিক নেতা উঠে আসে ছাত্র সংসদ থেকেই। এ অঞ্চলের ছাত্র রাজনীতির সূতিকাগার হিসেবে পরিচিতি সৈয়দপুর সরকারি কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া জরুরি।’
ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুস সবুর আলম বলেন, ‘ছাত্র সংসদ যখন ছিল, তখন কলেজে একটি গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত ছিল। এরপর কোনো রাজনৈতিক চর্চা না থাকায় যোগ্য তরুণ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হতে পারছে না।’
ছাত্র সংসদের আরেক সাবেক ভিপি উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা ফিরোজ বলেন, ‘কলেজ কর্তৃপক্ষকে ছাত্রসমাজের চাহিদার গুরুত্ব দিতে হবে। ছাত্র সংসদ না থাকার কারণে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে কলেজ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আমরা হতাশ।’
নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি কলেজে ২৩ বছর ধরে ছাত্র সংসদের কোনো কার্যক্রম নেই। অথচ প্রতিবছরই ভর্তি এবং বিভিন্ন বিভাগের ফরম পূরণের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ বাবদ নেওয়া হচ্ছে ২৫ টাকা করে। আর কলেজের সাবেক ছাত্ররা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংসদের নির্বাচন না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটছে না। অধিকার বাস্তবায়নে কোনো সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে জোরালো আওয়াজ তুলতে পারছেন না ছাত্ররা। তবে কলেজ প্রশাসন এ জন্য রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের জটিলতাকেই দায়ী করেন।
সৈয়দপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার তো আর ফি আদায় করতে নিষেধ করেনি। সরকারি বিধি অনুসারে অন্যান্য তহবিলের মতোই ছাত্র সংসদের ফি আদায় করা হচ্ছে। আদায়কৃত ফি ওই তহবিলেই রয়েছে। ওখান থেকে ১ টাকাও খরচ করার কোনো সুযোগ নেই।’
অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল মান্নান আরও বলেন, ‘আমি এ কলেজে নতুন। ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো আবেদন আমার কাছে আসেনি। আবেদন পেলে শিক্ষক পরিষদ নেতা, প্রত্যেক ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা করা হবে।’
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রাচীন এ বিদ্যাপীঠে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয় মাত্র ৪টি। ১৯৯৯ সালে শেষবার ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। পরবর্তীকালে ছাত্র সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন না হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানা যায়, বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ। যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে, সেই দলের ছাত্র সংগঠন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপের কারণে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। ছাত্র সংসদের ক্ষমতা অন্য রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের হাতে চলে যাবে—এমন আশঙ্কায় নির্বাচনের বিরোধিতা করা হয়।
অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আল-আমিন বলে, ‘ছাত্র সংসদ বাবদ আমাদের নিয়মিত ফি দিতে হচ্ছে। কিন্তু কোনো সেবা বা সুবিধা ভোগ করতে পারছি না আমরা।’
কলেজে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান বসুনিয়া বলেন, ‘ছাত্রসংসদ নির্বাচন দেওয়ার জন্য ইতিপূর্বে আমরা আন্দোলন করেছি। আশ্বাস দিলেও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না কলেজ কর্তৃপক্ষের।’
আসাদুজ্জামান আরও বলে, ‘ছাত্র সংসদের মূল উদ্দেশ্য নেতৃত্বের বিকাশ। ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কথা বলা। ছাত্র সংসদ না থাকায় একদিকে শিক্ষিত নেতা তৈরি হচ্ছে না, অন্যদিকে ছাত্রদের অধিকার নিয়েও কথা বলার কেউ থাকছে না। আমরা চাই দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিয়ে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ও কলেজে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রাখার ব্যবস্থা করা হোক।’
সৈয়দপুর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিফাত সরকার বলেন, ‘ছাত্র সংসদ না থাকায় কলেজটিতে প্রাচীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কমিটিও নেই দীর্ঘদিন। শিক্ষাঙ্গন থেকে জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দেবে—এমন রাজনৈতিক নেতা উঠে আসে ছাত্র সংসদ থেকেই। এ অঞ্চলের ছাত্র রাজনীতির সূতিকাগার হিসেবে পরিচিতি সৈয়দপুর সরকারি কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া জরুরি।’
ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুস সবুর আলম বলেন, ‘ছাত্র সংসদ যখন ছিল, তখন কলেজে একটি গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত ছিল। এরপর কোনো রাজনৈতিক চর্চা না থাকায় যোগ্য তরুণ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হতে পারছে না।’
ছাত্র সংসদের আরেক সাবেক ভিপি উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা ফিরোজ বলেন, ‘কলেজ কর্তৃপক্ষকে ছাত্রসমাজের চাহিদার গুরুত্ব দিতে হবে। ছাত্র সংসদ না থাকার কারণে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে কলেজ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আমরা হতাশ।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে