সন্তানের সঙ্গে প্রথম মা দিবস

শিহাব আহমেদ
আপডেট : ১৪ মে ২০২৩, ১০: ৪৭
Thumbnail image

আজ মা দিবস। মায়েদের দিন। পরীমণির ছেলে রাজ্য। বয়স ১০ মাস। আর মাহিয়া মাহির ছেলে ফারিশ। বয়স ২ মাস হতে চলল। মা হওয়ার পর এবারই তাঁদের প্রথম মা দিবস। এই দিনের অনুভূতি জানালেন নতুন দুই মা পরীমণি ও মাহিয়া মাহি। তাঁদের কথা শুনলেন শিহাব আহমেদ

সন্তান ফারিশের সঙ্গে মাহিয়া মাহিঅপেক্ষায় আছি কবে ফারিশ আমাকে মা বলে ডাকবে
মাহিয়া মাহি (
অভিনেত্রী ও ফারিশের মা)

‘পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অনুভূতি হচ্ছে মা হওয়ার অনুভূতি। সে অনুভূতির মধ্যেই ভেসে বেড়াচ্ছি। যখন আমার ছেলের মুখ দেখি তখন মনে হয়, আমার আর কিছুর প্রয়োজন নেই। ও আমার পাশে থাকলেই হবে। অপেক্ষায় আছি কবে ফারিশ (মাহির ছেলে) আমাকে মা বলে ডাকবে। সেদিন যে কী করব তা আমি জানি না।’ এভাবেই মা হওয়ার পর প্রথম মা দিবস উপলক্ষে কথাগুলো বলছিলেন মাহিয়া মাহি।

দুই মাস হতে চলেছে মাহির ছেলে মো. মোসাইব আরোশ সামসুদ্দিন ফারিশ সরকারের বয়স। ছেলে হওয়ার পর জীবনের সংজ্ঞাটাই বদলে গেছে মাহির কাছে। মাহি জানান, ‘ফারিশ আসার পর থেকে পুরোপুরি আমার জীবনটা বদলে গেছে। ওকে খাওয়াচ্ছি, ঘুম পাড়াচ্ছি, না ঘুমালে ওর সঙ্গে জেগে থাকছি, খেলা করছি, একটু কান্না করলেই টেনশন হচ্ছে। সব সময় খেয়াল রাখছি কোথাও যেন সমস্যা না হয়। এককথায় ফারিশকেন্দ্রিক হয়ে গেছে আমার জীবন।’

স্বাভাবিকভাবেই মা হওয়ার পর দৈনন্দিন রুটিনেও পরিবর্তন এসেছে ঢালিউডের অগ্নিকন্যা মাহির। আগে মন চাইলে যখন-তখন ঘুরতে বেরিয়ে পড়তেন। সেটা আর এখন করতে পারেন না। কোথাও গেলে ছেলেকেও সঙ্গে নিতে হয়। বুঝতে পেরেছেন, এখন মন চাইলেই সব করতে পারবেন না মাহি।

এ ছাড়া মা দিবসে আরও একটি কথা জানালেন মাহি। সেটি হলো, মা হওয়ার পর নিজের মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান আরও বেড়ে গেছে তাঁর। বুঝতে পারছেন, নিজের মাও তাঁর জন্য কত কষ্ট করেছেন। তাই তো আগের মতো মায়ের সঙ্গে আর অভিমান করেন না। মাকে শুধু ভালোবাসতে চান এ চিত্রনায়িকা।

ছেলেকে নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করলেও ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর জন্য মন কাঁদে মাহির। এ বছরের শেষের দিকে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে কাজে ফিরতে চান তিনি।

সন্তান রাজ্যর সঙ্গে পরীমণিসন্তান জন্ম দিলেই মায়ের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না
পরীমণি (অভিনেত্রী ও রাজ্যর মা)

মা হওয়ার পর পৃথিবীটাই যেন বদলে গেছে পরীমণির। ছেলে শামীম মুহাম্মদ রাজ্যর জন্মের পর থেকে পরীর সমস্ত চিন্তা ছেলেকে ঘিরে। পরীমণির দৈনন্দিন রুটিনেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। রাজ্যর সময়ের সঙ্গেই নিজের সময় মিলিয়ে নিয়েছেন পরী। রাজ্য যখন ঘুমায়, পরীও তখন একটু ঘুমিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ছেলে জেগে থাকলে তাঁরও ঘুম উড়ে যায়। এমনিভাবে ছেলেকে নিয়ে হাসি আর আনন্দে কাটছে পরীমণির সময়। যেখানেই যাচ্ছেন, সঙ্গে থাকছে রাজ্য।এক মুহূর্ত যেন চোখের আড়াল করতে চান না।

রাজ্য যখনঘুমায়, পরীও তখন একটুঘুমিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।ছেলে জেগে থাকলে তাঁরও ঘুম উড়ে যায়। এমনিভাবে ছেলেকে নিয়ে হাসি আর আনন্দে কাটছে পরীমণির সময়। যেখানেইযাচ্ছেন, সঙ্গে থাকছে রাজ্য।এক মুহূর্ত যেন চোখের আড়াল করতে চান না। 

ছেলেকে নিজের পুরোটা সময় দিতে এখনো পরীমণি ফিরছেন না ক্যামেরার সামনে। তবে নতুন সিনেমা মুক্তির প্রচারে ছেলেকে নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন দর্শকের কাছে। পরী মনে করেন, এ সময়টা শুধু তাঁর ছেলে রাজ্যর। পরীমণি বলেন, ‘সন্তান জন্ম দিলেই একজন মায়ের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। আমার জীবনের এ সময়টা পুরোপুরি আমার রাজ্যর। ক্যামেরার সামনে এখন আমি দাঁড়াতে পারব না। কারণ মানসিক, শারীরিক ও পারিপার্শ্বিক সব মিলিয়ে আমি প্রস্তুত না। সবাই ভালোবেসে কাজে ফেরার যে চাপটা দিচ্ছে, সেটি আরও কিছু সময় পরে নিতে চাই। তবে যখন আমার সিনেমা রিলিজ হচ্ছে, রাজ্যকে সামলে যতটুকু পারছি সিনেমার প্রচারণায় আমার দিক থেকে শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

এদিকে মা দিবস উপলক্ষে ১৯ মে মুক্তি পাচ্ছে পরীমণির নতুন সিনেমা ‘মা’। পরী যখন এ সিনেমার শুটিং করেন, তখন তিনি অন্তঃসত্ত্বা। তাই তো সিনেমাটি ছেলে রাজ্যকে উপহার দিতে চান অভিনেত্রী। পরীর ভাষ্যে, ‘সিনেমাটি কেমন হয়েছে, কেমন অভিনয় করেছি কিংবা কেমন চলবে, সে সবে যেতে চাই না। মা সিনেমার পুরো জার্নিটা ফ্রেমবন্দী করে রাখতে চাই এবং আমি আমার রাজ্যকে এটা গিফট করতে চাই যে তুমিও ছিলে আমার সাথে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত