বানারীপাড়ার বেশির ভাগ পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে

আব্দুল আউয়াল, বানারীপাড়া
Thumbnail image

গত ২০ বছরে বরিশালের বানারীপাড়া পৌর শহরের অধিকাংশ পুকুর ভরাট হয়ে গেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী শত বছরের পুরোনো পুকুরও। এসব পুকুর ভরাটে 
নিয়ম-নীতির তোয়াক্কাও করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ আছে।

মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০ বছর আগে শুধু পৌরসভার মধ্যেই পুকুর ছিল প্রায় ৩০০। কিন্তু এর মধ্যে অল্প কিছুই এখন টিকে আছে। পুকুর বা জলাশয় ভরাট করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নেওয়ার বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এসব পুকুর ব্যক্তিগত হওয়ায় কখনো প্রয়োজন আবার অপ্রয়োজনেও অনেকেই বালু বা মাটি ফেলে ভরাট করছেন। পৌর শহরের এসব পুকুরের ঘাটলা বিশেষ করে গরমের সময়

শিশু-কিশোর থেকে সব বয়সী মানুষে গম গম করত। বানারীপাড়া ডাকবাংলো-সংলগ্ন শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বড় পুকুরটি থেকে বিয়ের অনুষ্ঠানসহ হিন্দুদের বিভিন্ন পূজাপার্বণে নারীরা দল বেঁধে কলসি নিয়ে পানি সংগ্রহ করতেন। কালের বিবর্তনে এসব দৃশ্য আর চোখে পড়ে না। পুকুর বিলুপ্তির ফলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাস্তাঘাট। আবার পৌর এলাকায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সময়মতো পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায় না।

বানারীপাড়া উপজেলার সমাজসেবক মনিরুজ্জামান (মনির) বলেন, বানারীপাড়ায় আগে অনেক পুকুর ছিল। তা এখন ক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে। পুকুর না থাকার কারণে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

বানারীপাড়া পৌরসভার সামনে সদ্য পুকুর ভরাটকারী মো. রিপন ঢালীর কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘পুকুর থাকাটা ভালো। তবে আমি যে পুকুরটি ভরাট করেছি তা মজা পুকুর বা ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছিল।’

পৌর মেয়র সুভাষ চন্দ্র শীল বলেন, পৌরসভার আওতাধীন যেসব পুকুর রয়েছে সেগুলো ভরাট করতে পৌরসভা থেকে অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি ছাড়া কোনো পুকুর বা জলাশয় ভরাট করা যাবে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন কুমার সাহা বলেন ঐতিহ্য রক্ষার্থে ভরাট হওয়া পুকুর প্রয়োজনে পুনরুদ্ধার করা হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত