চারঘাট প্রতিনিধি
চারঘাটে কাঁচা ইট প্রস্তুত করা থাকলেও কয়লার দাম বাড়ায় পোড়াতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট ভাটা মালিকেরা। বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে লাখ লাখ কাঁচা ইট তৈরি করে রাখা হয়েছে। নভেম্বর মাসের আগেই ইট পোড়ানোর সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছিল। কিন্তু কয়লা সংকটে পোড়ানোর কাজ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়ছেন ভাটা মালিকেরা।
উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, চারঘাটে ১০টি ইটভাটা রয়েছে। এ সব ইটভাটার সঙ্গে জড়িত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার শ্রমিক। ইট পোড়ানোর মৌসুমে ৩-৪ মাস কাজ করেই তাঁদের সারা বছরের রুটি-রোজগার হয়। অথচ এখনো ইটভাটাগুলোতে আগুন দেওয়ার উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। কয়লার দাম বাড়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ভাটা মালিকেরা জানান, গত বছর এক হাজার ইটের দাম ছিল সাত থেকে সাড়ে আট হাজার টাকা। এক টন কয়লার দাম ছিল ৯ হাজার থেকে ১১ হাজার টাকা। এ বছর টনপ্রতি কয়লার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ থেকে ২৩ হাজার টাকা। খরচ দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ায় এবার প্রতি হাজার ইট ১১ থেকে ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হবে। এত দাম দিয়ে ক্রেতারা ইট কিনবেন কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তাঁরা।
ইটভাটা মালিক আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর নভেম্বর মাসের শুরুতেই ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজ শুরু করি। কিন্তু এবার এখনো কয়লা জোগাড় করতে পারিনি। এ অবস্থায় কবে নাগাদ ভাটা চালু করতে পারব এখনো জানি না।’
ইটভাটার শ্রমিক মিনারুল ইসলাম জানান, ছোটবেলা থেকেই পেশা হিসেবে ইটভাটার কাজকে বেছে নিয়েছেন তিনি। অন্য কাজ তেমন পারেন না। প্রতিবছর ইট পোড়ার মৌসুমে ৩-৪ মাস কাজ করে সেই আয় দিয়ে সারা বছর সংসার চালান। কিন্তু চলতি বছর এখনো ভাটায় কাজ শুরু না হওয়ায় চিন্তিত তিনি।
রুবেল আলী নামের আরেক শ্রমিক বলেন, ‘যখন কাজ ছিল না তখন ভাটা মালিকদের কাছ থেকে আমরা অনেকেই অগ্রিম টাকা নিয়েছি। কাজ করে পরিশোধ করব। এখন ভাটার কাজ না হলে আমাদের পরিবার নিয়ে মহাবিপদে পড়তে হবে। ভাটা না চললে আমরা হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ব।’
এ বিষয়ে উপজেলার প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার জিয়াউর রহমান বলেন, সরকারি ও বেসরকারি অনেকগুলো উন্নয়নকাজ চলমান আছে। নতুন ইটের অপেক্ষায় কাজ ধীর গতিতে চলছে। কিন্তু নতুন ইট কবে বের হবে তারও ঠিক নেই। তা ছাড়া কয়লার কারণে ইটের দাম বাড়লে প্রকল্প ব্যয়ও বাড়বে। এদিকে, যাঁরা নতুন বাড়ি তৈরি করবেন ইটের কারণে তাদেরও খরচ বেড়ে যাবে।’
ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিবার রহমান বলেন, কয়লার দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। এ ছাড়া জ্বালানি তেলের দামও বেড়ে গেছে। ফলে হতাশ হয়ে পড়েছেন মালিকেরা। অনেক ঠিকাদারকে কমদামে ইট দেওয়ার জন্য অগ্রিম টাকাও নিয়েছেন অনেক ইটভাটার মালিক। এখন কয়লা সংকট ও জ্বালানির অতিরিক্ত খরচের কারণে মালিকেরা ভাটা চালু করবে কিনা দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছেন।
চারঘাট উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি একরামুল হক টিপু বলেন, এবার শুরুতেই কয়লার দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় ইট পোড়াতে খরচও অনেক বাড়বে। আমরা প্রচুর অর্থ খরচ করে লাখ লাখ কাঁচা ইট কেটে রেখেছি। কিন্তু এখন পোড়াতে না পেরে লোকসানের আশঙ্কায় আছি।
চারঘাটে কাঁচা ইট প্রস্তুত করা থাকলেও কয়লার দাম বাড়ায় পোড়াতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট ভাটা মালিকেরা। বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে লাখ লাখ কাঁচা ইট তৈরি করে রাখা হয়েছে। নভেম্বর মাসের আগেই ইট পোড়ানোর সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছিল। কিন্তু কয়লা সংকটে পোড়ানোর কাজ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়ছেন ভাটা মালিকেরা।
উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, চারঘাটে ১০টি ইটভাটা রয়েছে। এ সব ইটভাটার সঙ্গে জড়িত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার শ্রমিক। ইট পোড়ানোর মৌসুমে ৩-৪ মাস কাজ করেই তাঁদের সারা বছরের রুটি-রোজগার হয়। অথচ এখনো ইটভাটাগুলোতে আগুন দেওয়ার উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। কয়লার দাম বাড়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ভাটা মালিকেরা জানান, গত বছর এক হাজার ইটের দাম ছিল সাত থেকে সাড়ে আট হাজার টাকা। এক টন কয়লার দাম ছিল ৯ হাজার থেকে ১১ হাজার টাকা। এ বছর টনপ্রতি কয়লার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ থেকে ২৩ হাজার টাকা। খরচ দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ায় এবার প্রতি হাজার ইট ১১ থেকে ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হবে। এত দাম দিয়ে ক্রেতারা ইট কিনবেন কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তাঁরা।
ইটভাটা মালিক আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর নভেম্বর মাসের শুরুতেই ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজ শুরু করি। কিন্তু এবার এখনো কয়লা জোগাড় করতে পারিনি। এ অবস্থায় কবে নাগাদ ভাটা চালু করতে পারব এখনো জানি না।’
ইটভাটার শ্রমিক মিনারুল ইসলাম জানান, ছোটবেলা থেকেই পেশা হিসেবে ইটভাটার কাজকে বেছে নিয়েছেন তিনি। অন্য কাজ তেমন পারেন না। প্রতিবছর ইট পোড়ার মৌসুমে ৩-৪ মাস কাজ করে সেই আয় দিয়ে সারা বছর সংসার চালান। কিন্তু চলতি বছর এখনো ভাটায় কাজ শুরু না হওয়ায় চিন্তিত তিনি।
রুবেল আলী নামের আরেক শ্রমিক বলেন, ‘যখন কাজ ছিল না তখন ভাটা মালিকদের কাছ থেকে আমরা অনেকেই অগ্রিম টাকা নিয়েছি। কাজ করে পরিশোধ করব। এখন ভাটার কাজ না হলে আমাদের পরিবার নিয়ে মহাবিপদে পড়তে হবে। ভাটা না চললে আমরা হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ব।’
এ বিষয়ে উপজেলার প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার জিয়াউর রহমান বলেন, সরকারি ও বেসরকারি অনেকগুলো উন্নয়নকাজ চলমান আছে। নতুন ইটের অপেক্ষায় কাজ ধীর গতিতে চলছে। কিন্তু নতুন ইট কবে বের হবে তারও ঠিক নেই। তা ছাড়া কয়লার কারণে ইটের দাম বাড়লে প্রকল্প ব্যয়ও বাড়বে। এদিকে, যাঁরা নতুন বাড়ি তৈরি করবেন ইটের কারণে তাদেরও খরচ বেড়ে যাবে।’
ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিবার রহমান বলেন, কয়লার দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। এ ছাড়া জ্বালানি তেলের দামও বেড়ে গেছে। ফলে হতাশ হয়ে পড়েছেন মালিকেরা। অনেক ঠিকাদারকে কমদামে ইট দেওয়ার জন্য অগ্রিম টাকাও নিয়েছেন অনেক ইটভাটার মালিক। এখন কয়লা সংকট ও জ্বালানির অতিরিক্ত খরচের কারণে মালিকেরা ভাটা চালু করবে কিনা দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছেন।
চারঘাট উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি একরামুল হক টিপু বলেন, এবার শুরুতেই কয়লার দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় ইট পোড়াতে খরচও অনেক বাড়বে। আমরা প্রচুর অর্থ খরচ করে লাখ লাখ কাঁচা ইট কেটে রেখেছি। কিন্তু এখন পোড়াতে না পেরে লোকসানের আশঙ্কায় আছি।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৭ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে