আজাদুল আদনান, ঢাকা
গত বছরের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর দেশে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। একপর্যায়ে সংকটাপন্ন রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে দেশের প্রতিটি জেলায় নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) স্থাপনের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে করোনার প্রায় দুই বছরে দেশে জরুরি সেবার পরিধি বাড়লেও বাস্তবায়িত হয়নি সেই নির্দেশনা। এখন পর্যন্ত ৩১ জেলায় আইসিইউ ইউনিট চালু করা যায়নি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনে স্বাস্থ্য বিভাগের গাফিলতি ও পরিকল্পনা ঘাটতিকে দায়ী করছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। তাঁরা বলছেন, করোনাকালে আইসিইউ সেবার প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। এই সময়ে বয়স্ক ও আগে থেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীর জন্যই আইসিইউ ছিল অত্যাবশ্যক। এ ছাড়া শুধু করোনায় আক্রান্তরা নন, সংকটাপন্ন যেকোনো রোগীর জন্যই এই সেবার প্রয়োজন।
পারিবারিক বিরোধের জেরে গত ২৭ অক্টোবর মামা ফজলু প্যাদাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তাঁর ভাগনে। সংকটাপন্ন ফজলুকে নেওয়া হয় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে। কিন্তু আইসিইউ না থাকায় পাঠানো হয় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে। শুধু ফজলু নন, জেলার ১২ লাখ মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে ছুটে আসেন এই হাসপাতালে। তবে সেখানেও জায়গা না হলে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে রোগীদের যেতে হয় রাজধানী ঢাকায়।
দক্ষিণের এ জেলার চিত্র যেন সারা দেশের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শুধু ঢাকা মহানগরীর সরকারি অন্তত চারটি হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা নেই। এ ছাড়া সারা দেশের ৪৫টি হাসপাতাল ও ৩১টি জেলায় এই সুবিধা নেই। পূর্ণাঙ্গ হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) নেই ৭৫টি হাসপাতালে, যেখানে করোনা রোগীদের চিকিৎসা চলছে। এ ছাড়া অন্যান্য বিভাগে কমবেশি থাকলেও আইসিইউ নেই বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কোনো জেলায়।
এদিকে করোনাকালেই ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে দুই দফায় পাঁচটি আইসিইউ ও ১৫টি এইচডিইউ স্থাপন করা হয়। কিন্তু জনবলের অভাবে এখনো সেগুলো চালু করা যায়নি। হাসপাতালটির একজন চিকিৎসক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু যন্ত্রপাতি থাকলেই তো আর হবে না, লোকবল দরকার। ওষুধসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়ার কথা। কিন্তু একাধিকবার চিঠি দিয়েও তা পাওয়া যায়নি।’
অথচ গত বছরের ২ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী সব জেলায় আইসিইউ ইউনিট স্থাপনের নির্দেশ দেন। দেশের অন্তত ১০টি জেলা সদর হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অবকাঠামোগত জটিলতা,দক্ষ জনবলের অভাব, অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট ও চিকিৎসক-সংকটসহ নানা অব্যবস্থাপনায় হাসপাতালগুলোতে জরুরি সেবাও প্রায় বন্ধের পথে।
নওগাঁ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি আইসিইউ ইউনিট করতে হলে সবার আগে অপরিহার্য দক্ষ লোকবল। কিন্তু এটাই প্রধান সংকট। সদর হাসপাতালগুলোতে অবকাঠামো তো নেই, সেই সঙ্গে পদও নেই।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট বলছে, করোনার শুরুতে দেশে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আইসিইউ শয্যা ছিল ৩৮১টি। সেখান থেকে বর্তমানে আইসিইউ শয্যা বেড়ে হয়েছে এক হাজার ২৩৩টি, যার অর্ধেকের বেশি (৭৭৬টি) ঢাকা মহানগরীতে, ঢাকার বাইরে ৪৪৯টি। এ ছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ৪২১টি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো) ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া বলেন, যে সমস্ত জেলায় এসব সুবিধা নেই সেগুলোর নানা জটিলতা রয়েছে। তবে ৩০টি জেলায় আইসিইউ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০টির কাজ চলমান রয়েছে।
যেকোনো সংকটাপন্ন রোগীর জন্যই আইসিইউ দরকার উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক কর্মকর্তা অধ্যাপক মোজাহেরুল হক বলেন, ‘নির্দেশ থাকার পরও কেন এত দিনেও হলো না (আইসিইউ), তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে তদন্ত হওয়া উচিত। একই সঙ্গে আইসিইউ স্থাপনের গতি বাড়াতে হবে। কারণ, ওমিক্রন দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং এটি বেড়ে গেলে দেশে আবারও সংকটাপন্ন রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে।’
গত বছরের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর দেশে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। একপর্যায়ে সংকটাপন্ন রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে দেশের প্রতিটি জেলায় নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) স্থাপনের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে করোনার প্রায় দুই বছরে দেশে জরুরি সেবার পরিধি বাড়লেও বাস্তবায়িত হয়নি সেই নির্দেশনা। এখন পর্যন্ত ৩১ জেলায় আইসিইউ ইউনিট চালু করা যায়নি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনে স্বাস্থ্য বিভাগের গাফিলতি ও পরিকল্পনা ঘাটতিকে দায়ী করছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। তাঁরা বলছেন, করোনাকালে আইসিইউ সেবার প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। এই সময়ে বয়স্ক ও আগে থেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীর জন্যই আইসিইউ ছিল অত্যাবশ্যক। এ ছাড়া শুধু করোনায় আক্রান্তরা নন, সংকটাপন্ন যেকোনো রোগীর জন্যই এই সেবার প্রয়োজন।
পারিবারিক বিরোধের জেরে গত ২৭ অক্টোবর মামা ফজলু প্যাদাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তাঁর ভাগনে। সংকটাপন্ন ফজলুকে নেওয়া হয় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে। কিন্তু আইসিইউ না থাকায় পাঠানো হয় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে। শুধু ফজলু নন, জেলার ১২ লাখ মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে ছুটে আসেন এই হাসপাতালে। তবে সেখানেও জায়গা না হলে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে রোগীদের যেতে হয় রাজধানী ঢাকায়।
দক্ষিণের এ জেলার চিত্র যেন সারা দেশের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শুধু ঢাকা মহানগরীর সরকারি অন্তত চারটি হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা নেই। এ ছাড়া সারা দেশের ৪৫টি হাসপাতাল ও ৩১টি জেলায় এই সুবিধা নেই। পূর্ণাঙ্গ হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) নেই ৭৫টি হাসপাতালে, যেখানে করোনা রোগীদের চিকিৎসা চলছে। এ ছাড়া অন্যান্য বিভাগে কমবেশি থাকলেও আইসিইউ নেই বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কোনো জেলায়।
এদিকে করোনাকালেই ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে দুই দফায় পাঁচটি আইসিইউ ও ১৫টি এইচডিইউ স্থাপন করা হয়। কিন্তু জনবলের অভাবে এখনো সেগুলো চালু করা যায়নি। হাসপাতালটির একজন চিকিৎসক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু যন্ত্রপাতি থাকলেই তো আর হবে না, লোকবল দরকার। ওষুধসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়ার কথা। কিন্তু একাধিকবার চিঠি দিয়েও তা পাওয়া যায়নি।’
অথচ গত বছরের ২ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী সব জেলায় আইসিইউ ইউনিট স্থাপনের নির্দেশ দেন। দেশের অন্তত ১০টি জেলা সদর হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অবকাঠামোগত জটিলতা,দক্ষ জনবলের অভাব, অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট ও চিকিৎসক-সংকটসহ নানা অব্যবস্থাপনায় হাসপাতালগুলোতে জরুরি সেবাও প্রায় বন্ধের পথে।
নওগাঁ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি আইসিইউ ইউনিট করতে হলে সবার আগে অপরিহার্য দক্ষ লোকবল। কিন্তু এটাই প্রধান সংকট। সদর হাসপাতালগুলোতে অবকাঠামো তো নেই, সেই সঙ্গে পদও নেই।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট বলছে, করোনার শুরুতে দেশে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আইসিইউ শয্যা ছিল ৩৮১টি। সেখান থেকে বর্তমানে আইসিইউ শয্যা বেড়ে হয়েছে এক হাজার ২৩৩টি, যার অর্ধেকের বেশি (৭৭৬টি) ঢাকা মহানগরীতে, ঢাকার বাইরে ৪৪৯টি। এ ছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ৪২১টি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো) ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া বলেন, যে সমস্ত জেলায় এসব সুবিধা নেই সেগুলোর নানা জটিলতা রয়েছে। তবে ৩০টি জেলায় আইসিইউ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০টির কাজ চলমান রয়েছে।
যেকোনো সংকটাপন্ন রোগীর জন্যই আইসিইউ দরকার উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক কর্মকর্তা অধ্যাপক মোজাহেরুল হক বলেন, ‘নির্দেশ থাকার পরও কেন এত দিনেও হলো না (আইসিইউ), তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে তদন্ত হওয়া উচিত। একই সঙ্গে আইসিইউ স্থাপনের গতি বাড়াতে হবে। কারণ, ওমিক্রন দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং এটি বেড়ে গেলে দেশে আবারও সংকটাপন্ন রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে