তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রী এলাকার প্রধান সড়কে গেলেই চোখে পড়ে বিশাল আকারের একটি শপিং মল কাম আবাসিক ভবন। প্লট নম্বর এল-১/এ, নাম ‘ইস্টার্ন বনবিথী অ্যাপার্টমেন্ট’। বহুতল এ স্থাপনাটি এলাকাবাসীর কাছে ১০ তলা মার্কেট নামে বেশি পরিচিত। দেড় যুগ আগে নির্মাণ করা এ স্থাপনায় ২৪০টি ফ্ল্যাট এবং প্রায় ৫৩০টি দোকান রয়েছে। এসব ফ্ল্যাট ও দোকান বিক্রি থেকে কমপক্ষে ৪০০ কোটি টাকা আয় করে আবাসন প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন হাউজিং। কিন্তু যে জমিতে স্থাপনাটি করা হয়েছে, তা সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত। ফলে ভবনটিতে তৈরি হওয়া দোকান আর ফ্ল্যাট বিক্রি করলেও মালিকানাসংক্রান্ত জটিলতায় ক্রেতাদের নামে রেজিস্ট্রেশন করে দিতে পারেনি ইস্টার্ন হাউজিং কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ভুলবশত মহানগর জরিপে খাস খতিয়ানভুক্ত হয়েছে। দেওয়ানি আদালতের মাধ্যমে তারা মালিকানা ফিরে পেতে চেষ্টা করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দক্ষিণ বনশ্রীর মেরাদিয়া মৌজায় ঢাকা সিটি জরিপের ৫৯৩৭ নম্বর দাগের প্রায় ৫ একর ৯২ শতক জমি সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত। নিয়ম অনুযায়ী, খাস খতিয়ানভুক্ত জমি সরকারি হলেও এর প্রায় পুরোটাই ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দখলে। এই ৫ একরের মধ্যে সিএস দাগ নম্বর ছিল ১০৩১ এবং আরএস ১৮৭৯ ও ১৮৭৮ দাগে ৯১ শতাংশ জমিও রয়েছে। মূলত এসব খাসজমিতেই ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মালিকানাধীন ‘ইস্টার্ন বনবিথী অ্যাপার্টমেন্ট’ নির্মাণ করা হয়েছে।
১০ তলা এই ভবনে ফ্ল্যাট রয়েছে ২৪০টি, আর দোকান আছে কমবেশি ৫৩০টি। এসব ফ্ল্যাটের প্রতিটি ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকায় কেনাবেচা হয়েছে। আর দোকানভেদে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা নিয়েছে হাউজিং কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ভবনে আরও কিছু ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সর্বশেষ জরিপে জমির মালিক সরকার হওয়ায় দোকান ও ফ্ল্যাট বিক্রি করে রেজিস্ট্রেশন দিতে পারেননি তাঁরা। বছরের পর বছর লোকজন দলিল পেতে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দরজায় ঘুরেও কোনো সুরাহা করতে পারেননি। বেশির ভাগ ক্রেতা এখন হতাশায় ভুগছেন।
শুধু খাসজমিই নয়, ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমিও দখলে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানের দখলে জমি আছে—এমন একজন হলেন স্থানীয় মোহন মিয়া।
তাঁর মালিকানাধীন ৩৩ শতাংশ জমি দখলে নিয়েছে ইস্টার্ন হাউজিং। মোহন মিয়া শ্রমিক হিসেবে ১৯৮৯ সালে ইরাকে যান। এরপর সেখান থেকে ১৯৯২ সালে আবার যান মালয়েশিয়ায়। এভাবে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রবাসজীবন কেটেছে তাঁর। কিন্তু ২০২১ সালের পর দেশে ফিরে দেখেন তাঁর জমি আবাসন কোম্পানির দখলে চলে গেছে। মোহন মিয়া খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ১৯৯০ সালে আবু হানিফ নামের এক ব্যক্তিকে ক্রেতা দেখিয়ে তাঁর জমি দলিল করে দখলে নিয়েছে ইস্টার্ন হাউজিং। এর মধ্যে মোহন মিয়া ৩৩ শতাংশ থেকে সামসুল হক নামের এক ব্যক্তির কাছে ১৫ শতাংশ বিক্রিও করেন। সামসুল হকও অনেক চেষ্টা করে দখলে যেতে পারেননি। এ বিষয়ে সামসুল হক স্থানীয় থানায় ইস্টার্ন হাউজিংয়ের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ তাতে সাড়া দেয়নি।
মোহন মিয়া বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন দেশের বাইরে ছিলাম। ২০২১ সালে করোনার সময় দেশে ফিরে দেখি আমার জমি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দখলে। তারা শাহ আলম নামের এক ব্যক্তিকে মালিক সাজিয়ে জমি কিনে নিয়েছে। শাহ আলম নাকি আবু হানিফ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে আমমোক্তারনামা নিয়েছেন। অথচ তাঁদের কাউকেই আমি বা এলাকাবাসী চেনেন না।’
এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, ১৯৯৮ সালে শুরু হওয়া বিএস খতিয়ান বা সিটি জরিপ চলে ২০১০ সাল পর্যন্ত। সর্বশেষ এই সিটি জরিপে আরএস ১৮৭৯ ও ১৮৭৮ দাগে ৯১ শতাংশ জমি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। পরে ঢাকা জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে একটি সংশোধনী মামলা করে ইস্টার্ন হাউজিং। মামলায় ইস্টার্ন হাউজিং দাবি করেছে, সিএস দাগের ১০৩১ নম্বর জমির প্রকৃত মালিক ছিলেন ফতু মুন্সি। পরবর্তী সময়ে এই জমিটি ১৪ ধাপে বিভিন্ন খণ্ডে বিক্রি করা হয়। এরপর ইস্টার্ন হাউজিং ১৯৯০ সালের ৩১ এপ্রিল আবু তাহেরের কাছ থেকে দশমিক ৪২৫ একর; ১৯৯৫ সালের ৫ এপ্রিল কে জে মোশারফ আহমেদের কাছ থেকে দশমিক ৮ একর, ১৯৭৯ সালের ২৮ মে আলতাফুর রহমান, মোসা. জাহানারা বেগম, মিসেস আলেয়া খানম, মিসেস আফিফা খানম, মিসেস আলফা খানম, মিসেস সালেহা খানম, মিসেস রাফিয়া খানম, মিসেস আয়েশা খানম, মিসেস হাসনা খানমের কাছ থেকে দশমিক ৩৬ একর, ১৯৯১ সালের ১৯ ডিসেম্বর এ কে এম নিজামুল আলমের কাছ থেকে দশমিক ৩০ একর, ১৯৯৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর আব্দুল জলিল, সাহারা আক্তার, সোলায়মান আহম্মেদের কাছ থেকে দশমিক ১২৭ একর জমি ক্রয় করে নেয়। এখানে পাঁচটি দলিলের মাধ্যমে ইস্টার্ন হাউজিং মোট ৯১ শতাংশ জমির মালিকানা নিজেদের দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়।
ঢাকার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, সিএস ১০৩১ জমির মালিক ফতু মুন্সি নামের কেউ ছিলেন না। কাগজপত্রে এই জমির প্রকৃত মালিক ছিলেন হরিচরণ রায় নামের এক ব্যক্তি। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভক্ত হওয়ার পর তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এরপর তাঁর কোনো বৈধ ওয়ারিশের সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফলে মহানগর জরিপ বা সিটি জরিপের সময় জমির প্রকৃত মালিক না পাওয়ায় তা সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত হয়।
তবে হরিচরণ রায়ের জমির পাশে ১০২৯ দাগের ৩৫ শতাংশ জমির মালিক ফতু মুন্সি। এই জমিও দলিলপত্র বানিয়ে ইস্টার্ন হাউজিং দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই জমির মালিকানা নিয়ে বর্তমানে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের সঙ্গে ফতু মুন্সির বৈধ ওয়ারিশদের দেওয়ানি আদালতে মামলা চলমান বলে জানা যায়।
এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. আনিছুর রহমান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ইস্টার্ন বনবিথী শপিং মলটির নকশা পাস করা হয় ১৯৯৮ সালে। এরপর ২০০৪ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়। পরে বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু বিক্রি করার পর খুব একটা খোঁজখবর রাখা হয়নি। তাই মহানগর জরিপে সরকারের খাস খতিয়ানে উঠেছে। এসব নিয়ে দেওয়ানি আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আশা করি, সেখান থেকে খুব দ্রুত ইস্টার্ন হাউজিংয়ের পক্ষে রায় আসবে।’
আরও খবর পড়ুন:
রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রী এলাকার প্রধান সড়কে গেলেই চোখে পড়ে বিশাল আকারের একটি শপিং মল কাম আবাসিক ভবন। প্লট নম্বর এল-১/এ, নাম ‘ইস্টার্ন বনবিথী অ্যাপার্টমেন্ট’। বহুতল এ স্থাপনাটি এলাকাবাসীর কাছে ১০ তলা মার্কেট নামে বেশি পরিচিত। দেড় যুগ আগে নির্মাণ করা এ স্থাপনায় ২৪০টি ফ্ল্যাট এবং প্রায় ৫৩০টি দোকান রয়েছে। এসব ফ্ল্যাট ও দোকান বিক্রি থেকে কমপক্ষে ৪০০ কোটি টাকা আয় করে আবাসন প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন হাউজিং। কিন্তু যে জমিতে স্থাপনাটি করা হয়েছে, তা সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত। ফলে ভবনটিতে তৈরি হওয়া দোকান আর ফ্ল্যাট বিক্রি করলেও মালিকানাসংক্রান্ত জটিলতায় ক্রেতাদের নামে রেজিস্ট্রেশন করে দিতে পারেনি ইস্টার্ন হাউজিং কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ভুলবশত মহানগর জরিপে খাস খতিয়ানভুক্ত হয়েছে। দেওয়ানি আদালতের মাধ্যমে তারা মালিকানা ফিরে পেতে চেষ্টা করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দক্ষিণ বনশ্রীর মেরাদিয়া মৌজায় ঢাকা সিটি জরিপের ৫৯৩৭ নম্বর দাগের প্রায় ৫ একর ৯২ শতক জমি সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত। নিয়ম অনুযায়ী, খাস খতিয়ানভুক্ত জমি সরকারি হলেও এর প্রায় পুরোটাই ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দখলে। এই ৫ একরের মধ্যে সিএস দাগ নম্বর ছিল ১০৩১ এবং আরএস ১৮৭৯ ও ১৮৭৮ দাগে ৯১ শতাংশ জমিও রয়েছে। মূলত এসব খাসজমিতেই ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মালিকানাধীন ‘ইস্টার্ন বনবিথী অ্যাপার্টমেন্ট’ নির্মাণ করা হয়েছে।
১০ তলা এই ভবনে ফ্ল্যাট রয়েছে ২৪০টি, আর দোকান আছে কমবেশি ৫৩০টি। এসব ফ্ল্যাটের প্রতিটি ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকায় কেনাবেচা হয়েছে। আর দোকানভেদে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা নিয়েছে হাউজিং কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ভবনে আরও কিছু ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সর্বশেষ জরিপে জমির মালিক সরকার হওয়ায় দোকান ও ফ্ল্যাট বিক্রি করে রেজিস্ট্রেশন দিতে পারেননি তাঁরা। বছরের পর বছর লোকজন দলিল পেতে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দরজায় ঘুরেও কোনো সুরাহা করতে পারেননি। বেশির ভাগ ক্রেতা এখন হতাশায় ভুগছেন।
শুধু খাসজমিই নয়, ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমিও দখলে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানের দখলে জমি আছে—এমন একজন হলেন স্থানীয় মোহন মিয়া।
তাঁর মালিকানাধীন ৩৩ শতাংশ জমি দখলে নিয়েছে ইস্টার্ন হাউজিং। মোহন মিয়া শ্রমিক হিসেবে ১৯৮৯ সালে ইরাকে যান। এরপর সেখান থেকে ১৯৯২ সালে আবার যান মালয়েশিয়ায়। এভাবে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রবাসজীবন কেটেছে তাঁর। কিন্তু ২০২১ সালের পর দেশে ফিরে দেখেন তাঁর জমি আবাসন কোম্পানির দখলে চলে গেছে। মোহন মিয়া খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ১৯৯০ সালে আবু হানিফ নামের এক ব্যক্তিকে ক্রেতা দেখিয়ে তাঁর জমি দলিল করে দখলে নিয়েছে ইস্টার্ন হাউজিং। এর মধ্যে মোহন মিয়া ৩৩ শতাংশ থেকে সামসুল হক নামের এক ব্যক্তির কাছে ১৫ শতাংশ বিক্রিও করেন। সামসুল হকও অনেক চেষ্টা করে দখলে যেতে পারেননি। এ বিষয়ে সামসুল হক স্থানীয় থানায় ইস্টার্ন হাউজিংয়ের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ তাতে সাড়া দেয়নি।
মোহন মিয়া বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন দেশের বাইরে ছিলাম। ২০২১ সালে করোনার সময় দেশে ফিরে দেখি আমার জমি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দখলে। তারা শাহ আলম নামের এক ব্যক্তিকে মালিক সাজিয়ে জমি কিনে নিয়েছে। শাহ আলম নাকি আবু হানিফ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে আমমোক্তারনামা নিয়েছেন। অথচ তাঁদের কাউকেই আমি বা এলাকাবাসী চেনেন না।’
এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, ১৯৯৮ সালে শুরু হওয়া বিএস খতিয়ান বা সিটি জরিপ চলে ২০১০ সাল পর্যন্ত। সর্বশেষ এই সিটি জরিপে আরএস ১৮৭৯ ও ১৮৭৮ দাগে ৯১ শতাংশ জমি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। পরে ঢাকা জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে একটি সংশোধনী মামলা করে ইস্টার্ন হাউজিং। মামলায় ইস্টার্ন হাউজিং দাবি করেছে, সিএস দাগের ১০৩১ নম্বর জমির প্রকৃত মালিক ছিলেন ফতু মুন্সি। পরবর্তী সময়ে এই জমিটি ১৪ ধাপে বিভিন্ন খণ্ডে বিক্রি করা হয়। এরপর ইস্টার্ন হাউজিং ১৯৯০ সালের ৩১ এপ্রিল আবু তাহেরের কাছ থেকে দশমিক ৪২৫ একর; ১৯৯৫ সালের ৫ এপ্রিল কে জে মোশারফ আহমেদের কাছ থেকে দশমিক ৮ একর, ১৯৭৯ সালের ২৮ মে আলতাফুর রহমান, মোসা. জাহানারা বেগম, মিসেস আলেয়া খানম, মিসেস আফিফা খানম, মিসেস আলফা খানম, মিসেস সালেহা খানম, মিসেস রাফিয়া খানম, মিসেস আয়েশা খানম, মিসেস হাসনা খানমের কাছ থেকে দশমিক ৩৬ একর, ১৯৯১ সালের ১৯ ডিসেম্বর এ কে এম নিজামুল আলমের কাছ থেকে দশমিক ৩০ একর, ১৯৯৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর আব্দুল জলিল, সাহারা আক্তার, সোলায়মান আহম্মেদের কাছ থেকে দশমিক ১২৭ একর জমি ক্রয় করে নেয়। এখানে পাঁচটি দলিলের মাধ্যমে ইস্টার্ন হাউজিং মোট ৯১ শতাংশ জমির মালিকানা নিজেদের দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়।
ঢাকার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, সিএস ১০৩১ জমির মালিক ফতু মুন্সি নামের কেউ ছিলেন না। কাগজপত্রে এই জমির প্রকৃত মালিক ছিলেন হরিচরণ রায় নামের এক ব্যক্তি। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভক্ত হওয়ার পর তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এরপর তাঁর কোনো বৈধ ওয়ারিশের সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফলে মহানগর জরিপ বা সিটি জরিপের সময় জমির প্রকৃত মালিক না পাওয়ায় তা সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত হয়।
তবে হরিচরণ রায়ের জমির পাশে ১০২৯ দাগের ৩৫ শতাংশ জমির মালিক ফতু মুন্সি। এই জমিও দলিলপত্র বানিয়ে ইস্টার্ন হাউজিং দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই জমির মালিকানা নিয়ে বর্তমানে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের সঙ্গে ফতু মুন্সির বৈধ ওয়ারিশদের দেওয়ানি আদালতে মামলা চলমান বলে জানা যায়।
এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. আনিছুর রহমান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ইস্টার্ন বনবিথী শপিং মলটির নকশা পাস করা হয় ১৯৯৮ সালে। এরপর ২০০৪ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়। পরে বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু বিক্রি করার পর খুব একটা খোঁজখবর রাখা হয়নি। তাই মহানগর জরিপে সরকারের খাস খতিয়ানে উঠেছে। এসব নিয়ে দেওয়ানি আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আশা করি, সেখান থেকে খুব দ্রুত ইস্টার্ন হাউজিংয়ের পক্ষে রায় আসবে।’
আরও খবর পড়ুন:
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে