শরিফুল ইসলাম
আজকের পত্রিকা: উদ্যোক্তাদের জন্য দেশে কতটা সহায়ক পরিবেশ আছে?
শওকত হোসেন: একটি দেশে উদ্যোক্তা গড়ে ওঠার জন্য যে সহায়ক পরিবেশ থাকতে হয়, তার কিছুটা আছে। কিছু তৈরি হচ্ছে। তবে এখনো অনেক বাধা আছে। সরকারি পর্যায়ে যদি বলি তাহলে একটা ট্রেড লাইসেন্স করতে গেলে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়। প্রসেসের মধ্যে অনেক ঝামেলা আছে। বাসার ঠিকানায় লাইসেন্স করা যায় না, কমার্শিয়াল অ্যাডড্রেস দিতে হয়। নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য কমার্শিয়াল স্পেস ভাড়া নেওয়া বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। এই রকম পরিস্থিতির কারণে অনেকে ট্রেড লাইসেন্স করতে পারেন না। এ রকম বিভিন্ন কারণ আছে। এর বাইরে আছে সামাজিক বাধা। আমাদের সমাজ উদ্যোক্তাবান্ধব না। কেউ উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করলে তাকে বাঁকা চোখে দেখা হয়।
আজকের পত্রিকা: আরেকটা সমস্যা কি বাকিতে পণ্য বিক্রি?
শতকত হোসেন: এটাও একটা সমস্যা। অনেকটা বৃত্তাকার। যারা ব্যবসায় নামে তাদের পণ্য বিক্রির বড় অংশ বাকি বাবদ রয়ে যায়। যদি বাকি না দেয় তাহলে পণ্য বিক্রি বাড়ে না। কেউ যদি ব্যবসা বন্ধ করে দেয়, তাহলে মাঠে পড়ে থাকা টাকাটা লোকসানের খাতায় পড়ে যায়। আর পণ্য সরবরাহ চালু রাখলে ওই টাকা আস্তে আস্তে ফেরত আসে। উদ্যোক্তাকে এই টাকাকে একটা বিনিয়োগ হিসেবে ধরে রাখতে হবে। আরেকটা সমস্যা হলো লেনদেনের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই লিগ্যাল ডকুমেন্ট থাকে না। ব্যবসা হয় অনেকটা মুখে মুখে। ফলে কাউকে বাকিতে পণ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর সেই টাকা ফেরত না পেলে কেউ যদি মামলা করতে চায়, তাহলে তার জন্য সেই পথ খোলা থাকে না। কেননা, তাদের কাছে কোনো রিসিট বা ভাউচার থাকে না। এই প্রক্রিয়া রাতারাতি বদলে ফেলা সম্ভব না।
আজকের পত্রিকা: এত প্রতিকূলতার মধ্যেও যারা টিকে আছে, তাদের কি সফল বলা যাবে?
শতকত হোসেন: বিশ্বব্যাপী একটা পরিসংখ্যানকে উদাহরণ টেনে বলা হয়—যেকোনো অঞ্চলে ১০টা উদ্যোগের মধ্যে ৩টাই ব্যর্থ হয়। বাংলাদেশে এই হার কিছুটা বেশি হতে পারে। কিন্তু এ রকম কোনো গবেষণা নাই, তাই সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে বর্তমানে দেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে যাদের সফল বিবেচনা করা হয় তাদের অনেকের ব্যর্থতার গল্পও আছে। রকমারির উদ্যোক্তা মাহমুদুল হাসান সোহাগের উদ্ভাস মুনাফায় আসে সম্ভবত ৭ বছর পর। তাঁর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন তাঁরা হাল ছেড়ে দিলেও সোহাগ তাঁর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন। যার ফলে সে সফলতার দেখা পেয়েছেন।
আজকের পত্রিকা: উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে স্টার্টআপ কতটা জরুরি?
শতকত হোসেন: স্টার্টআপ বলতে যা বোঝায় তা হলো উদ্ভাবনী কোনো কিছু নিয়ে প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোগ, যেগুলোর দ্রুত প্রবৃদ্ধি হয়, সেগুলোকেই স্টার্স্টআপ বলা হয়। যেমন—কেউ একটা হোটেল করল সেটা কিন্তু স্টার্টআপ নয়। কিন্তু পাঠাও, চালডাল স্টার্টআপ। কারণ, এগুলো খুবই দ্রুত বর্ধনশীল। যে মুদি দোকান দিল সেও একজন উদ্যোক্তা। আবার যে পাঠাও বা এ ধরনের কিছু একটা করল সেও উদ্যোক্তা। সুতরাং উদ্যোক্তা দুইভাবেই হওয়া যায়।
আজকের পত্রিকা: নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংক নাকি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বেশি সহায়ক?
শতকত হোসেন: এ দেশে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ওইভাবে প্রসার লাভ করেনি। যদিও অনেকগুলো লাইসেন্সপ্রাপ্ত ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি আছে। সম্ভবত ২০-২১টা। কিন্তু তাদের ভূমিকা খুব কমই দেখা যায়। দেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে যারা ফান্ড পাচ্ছেন তাঁরা সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র অথবা ভারত থেকে পাচ্ছেন। দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ফান্ড তেমন একটা আসছে না। কিন্তু স্টার্টআপদের জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটালই সবচেয়ে উপযোগী। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল দেয় পুঁজি আর ব্যাঙ্ক দেয় ঋণ, যেটা নির্দিষ্ট মেয়াদকালে পরিশোধ করে দিতে হয়। অথচ স্টার্টআপ দ্রুত বর্ধনশীল আর সেই বৃদ্ধি ধরে রাখতে প্রয়োজন আরও টাকার। তা ছাড়া, ব্যাংক নতুনদের টাকা দেয় না। কেউ যখন একটা স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছে যায়, তখন ব্যাংক তাকে অর্থায়ন করে।
আজকের পত্রিকা: উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংকের কি কোনো ভূমিকা নেই?
শতকত হোসেন: স্টার্টআপের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক প্রায় ৫০০ কোটি টাকার একটি ফান্ড করেছে। তাদের নির্দেশনা অনুসারে প্রত্যেকটা ব্যাংককে তাদের মুনাফার ১ শতাংশ স্টার্টআপ ফান্ডে রিজার্ভ রাখতে বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে তাদের টার্গেট প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এর মেকানিজম করেছে ঋণ হিসেবে। প্রকৃতপক্ষে স্টার্টআপের জন্য ঋণ উপযোগী নয়। ঋণ যদি চেঞ্জ মূলধন না করে তাহলে কিন্তু পুরো জিনিসটা মাঠে মারা যাবে। চিন্তা করা উচিত স্টার্টআপের জন্য কী ধরনের প্রোডাক্ট উপযোগী। সেভাবেই এটা সাজাতে হবে।
আজকের পত্রিকা: উদ্যোক্তাদের জন্য দেশে কতটা সহায়ক পরিবেশ আছে?
শওকত হোসেন: একটি দেশে উদ্যোক্তা গড়ে ওঠার জন্য যে সহায়ক পরিবেশ থাকতে হয়, তার কিছুটা আছে। কিছু তৈরি হচ্ছে। তবে এখনো অনেক বাধা আছে। সরকারি পর্যায়ে যদি বলি তাহলে একটা ট্রেড লাইসেন্স করতে গেলে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়। প্রসেসের মধ্যে অনেক ঝামেলা আছে। বাসার ঠিকানায় লাইসেন্স করা যায় না, কমার্শিয়াল অ্যাডড্রেস দিতে হয়। নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য কমার্শিয়াল স্পেস ভাড়া নেওয়া বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। এই রকম পরিস্থিতির কারণে অনেকে ট্রেড লাইসেন্স করতে পারেন না। এ রকম বিভিন্ন কারণ আছে। এর বাইরে আছে সামাজিক বাধা। আমাদের সমাজ উদ্যোক্তাবান্ধব না। কেউ উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করলে তাকে বাঁকা চোখে দেখা হয়।
আজকের পত্রিকা: আরেকটা সমস্যা কি বাকিতে পণ্য বিক্রি?
শতকত হোসেন: এটাও একটা সমস্যা। অনেকটা বৃত্তাকার। যারা ব্যবসায় নামে তাদের পণ্য বিক্রির বড় অংশ বাকি বাবদ রয়ে যায়। যদি বাকি না দেয় তাহলে পণ্য বিক্রি বাড়ে না। কেউ যদি ব্যবসা বন্ধ করে দেয়, তাহলে মাঠে পড়ে থাকা টাকাটা লোকসানের খাতায় পড়ে যায়। আর পণ্য সরবরাহ চালু রাখলে ওই টাকা আস্তে আস্তে ফেরত আসে। উদ্যোক্তাকে এই টাকাকে একটা বিনিয়োগ হিসেবে ধরে রাখতে হবে। আরেকটা সমস্যা হলো লেনদেনের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই লিগ্যাল ডকুমেন্ট থাকে না। ব্যবসা হয় অনেকটা মুখে মুখে। ফলে কাউকে বাকিতে পণ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর সেই টাকা ফেরত না পেলে কেউ যদি মামলা করতে চায়, তাহলে তার জন্য সেই পথ খোলা থাকে না। কেননা, তাদের কাছে কোনো রিসিট বা ভাউচার থাকে না। এই প্রক্রিয়া রাতারাতি বদলে ফেলা সম্ভব না।
আজকের পত্রিকা: এত প্রতিকূলতার মধ্যেও যারা টিকে আছে, তাদের কি সফল বলা যাবে?
শতকত হোসেন: বিশ্বব্যাপী একটা পরিসংখ্যানকে উদাহরণ টেনে বলা হয়—যেকোনো অঞ্চলে ১০টা উদ্যোগের মধ্যে ৩টাই ব্যর্থ হয়। বাংলাদেশে এই হার কিছুটা বেশি হতে পারে। কিন্তু এ রকম কোনো গবেষণা নাই, তাই সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে বর্তমানে দেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে যাদের সফল বিবেচনা করা হয় তাদের অনেকের ব্যর্থতার গল্পও আছে। রকমারির উদ্যোক্তা মাহমুদুল হাসান সোহাগের উদ্ভাস মুনাফায় আসে সম্ভবত ৭ বছর পর। তাঁর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন তাঁরা হাল ছেড়ে দিলেও সোহাগ তাঁর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন। যার ফলে সে সফলতার দেখা পেয়েছেন।
আজকের পত্রিকা: উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে স্টার্টআপ কতটা জরুরি?
শতকত হোসেন: স্টার্টআপ বলতে যা বোঝায় তা হলো উদ্ভাবনী কোনো কিছু নিয়ে প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোগ, যেগুলোর দ্রুত প্রবৃদ্ধি হয়, সেগুলোকেই স্টার্স্টআপ বলা হয়। যেমন—কেউ একটা হোটেল করল সেটা কিন্তু স্টার্টআপ নয়। কিন্তু পাঠাও, চালডাল স্টার্টআপ। কারণ, এগুলো খুবই দ্রুত বর্ধনশীল। যে মুদি দোকান দিল সেও একজন উদ্যোক্তা। আবার যে পাঠাও বা এ ধরনের কিছু একটা করল সেও উদ্যোক্তা। সুতরাং উদ্যোক্তা দুইভাবেই হওয়া যায়।
আজকের পত্রিকা: নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংক নাকি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বেশি সহায়ক?
শতকত হোসেন: এ দেশে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ওইভাবে প্রসার লাভ করেনি। যদিও অনেকগুলো লাইসেন্সপ্রাপ্ত ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি আছে। সম্ভবত ২০-২১টা। কিন্তু তাদের ভূমিকা খুব কমই দেখা যায়। দেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে যারা ফান্ড পাচ্ছেন তাঁরা সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র অথবা ভারত থেকে পাচ্ছেন। দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ফান্ড তেমন একটা আসছে না। কিন্তু স্টার্টআপদের জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটালই সবচেয়ে উপযোগী। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল দেয় পুঁজি আর ব্যাঙ্ক দেয় ঋণ, যেটা নির্দিষ্ট মেয়াদকালে পরিশোধ করে দিতে হয়। অথচ স্টার্টআপ দ্রুত বর্ধনশীল আর সেই বৃদ্ধি ধরে রাখতে প্রয়োজন আরও টাকার। তা ছাড়া, ব্যাংক নতুনদের টাকা দেয় না। কেউ যখন একটা স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছে যায়, তখন ব্যাংক তাকে অর্থায়ন করে।
আজকের পত্রিকা: উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংকের কি কোনো ভূমিকা নেই?
শতকত হোসেন: স্টার্টআপের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক প্রায় ৫০০ কোটি টাকার একটি ফান্ড করেছে। তাদের নির্দেশনা অনুসারে প্রত্যেকটা ব্যাংককে তাদের মুনাফার ১ শতাংশ স্টার্টআপ ফান্ডে রিজার্ভ রাখতে বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে তাদের টার্গেট প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এর মেকানিজম করেছে ঋণ হিসেবে। প্রকৃতপক্ষে স্টার্টআপের জন্য ঋণ উপযোগী নয়। ঋণ যদি চেঞ্জ মূলধন না করে তাহলে কিন্তু পুরো জিনিসটা মাঠে মারা যাবে। চিন্তা করা উচিত স্টার্টআপের জন্য কী ধরনের প্রোডাক্ট উপযোগী। সেভাবেই এটা সাজাতে হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৭ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে