আয়নাল হোসেন, ঢাকা
নিয়মবহির্ভূতভাবে ৩৫ বছর ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ঝুঁকি ও প্রণোদনা ভাতা ভাগাভাগি করে আসছে মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এই ভাতাসহ সংস্থাটিতে ১৭টি খাতে ১৮২ কোটি টাকার অনিয়ম পেয়েছে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) কার্যালয়ের অডিট বিভাগ।
বিএসটিআইয়ের হিসাবসম্পর্কিত কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গত বছরের ১১ জুলাই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে সিএজির অডিট বিভাগ।
নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিএসটিআইয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে ঝুঁকি ও প্রণোদনা ভাতা বেশি দেওয়ায় ১০৭ কোটি ৪৮ লাখ, ব্যাংকে কম অর্থ জমা দেওয়ায় ৪২ কোটি ৩৪ লাখ, উদ্বৃত্ত টাকা কোষাগারের পরিবর্তে ব্যাংকে জমা দেওয়ায় ২ কোটি ৭৫ লাখ, অবসর ভাতা বেশি দেওয়ায় ২২ কোটি ৮৮ লাখ, উৎপাদন মূল্য অনুযায়ী সার্টিফিকেশন মার্ক (সিএম) লাইসেন্সে ফি নির্ধারণ না করায় ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকার অনিয়ম হয়েছে। এ ছাড়া কাজের চেয়ে বিল বেশি দেওয়া, লাইসেন্স নবায়ন, বকেয়া ফি আদায় না করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফি আদায়ে ছাড় দেওয়ার তথ্যও উঠে এসেছে ওই প্রতিবেদনে।
অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে নিয়মবহির্ভূতভাবে ঝুঁকি ও প্রণোদনা ভাতা মাসিক মূল বেতনের নামে ২৪-২৬ গুণ বেশি টাকা আদায় করায় সরকারের ১০৭ কোটি ৪৮ লাখ ৩৩ হাজার ৪৮৯ টাকা ক্ষতি হয়েছে। সিএম লাইসেন্স থেকে আয় করা টাকার ৪০ শতাংশ বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এবং অবশিষ্ট ৬০ শতাংশ ফান্ডে জমা দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু বিএসটিআই সরকারি আয়কে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বেসরকারি দেখিয়ে বছরের পর বছর ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ভাগাভাগি করে আসছে।
বিএসটিআইয়ের চাকরি (স্বশাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ) বেতন ও ভাতাদি আদেশ-২০১৫-এর ১৩(৩) বিধান অনুযায়ী, বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আদেশের বাইরে কোনো টাকা পাওয়ার সুযোগ নেই। ১৯৮৯ সালে প্রণীত বিএসটিআইয়ের কর্মচারী প্রবিধানমালা অনুযায়ী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঝুঁকি ও প্রণোদনা ভাতা দেওয়ার সুযোগ নেই। আইন অনুযায়ী উদ্বৃত্ত টাকা তিন মাসের মধ্যে সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু সেটি না করে এই আয়কে বেসরকারি হিসেবে দেখিয়ে তা ভাগাভাগি করে নিয়েছে, যা ২০১৮ সালের বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন আইনের ৪১(৩) ধারা লঙ্ঘন, ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশের ১৪(৩) লঙ্ঘন।
ব্যাংকে কম টাকা জমা না দিয়ে অনিয়ম
বিএসটিআইয়ের যাবতীয় আয় ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা। অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮-১৯ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত তিন বছরে বিএসটিআই পেয়েছে ২৫১ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৪ টাকা এবং ব্যাংকে জমা দিয়েছে ২০৮ কোটি ৯০ লাখ ৪১ হাজার ৬৮৪ টাকা। অর্থাৎ ৪২ কোটি ৩৪ লাখ ১৯ হাজার ২৫০ টাকা কম দিয়েছে।
কল্যাণ তহবিলে টাকা জমা ও অতিরিক্ত অবসর ভাতা দিয়ে অনিয়ম
অডিট প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বেনাভোলেন্ট ফান্ড থাকা সত্ত্বেও কল্যাণ ফান্ডে নামে নিয়মবহির্ভূতভাবে সরকারি টাকা স্থানান্তর করায় তিন বছরে ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, যা বিএসটিআই আইনের ৪১(৩) ধারা লঙ্ঘন।
২০০২ সালের বিএসটিআইয়ের কর্মচারী (অবসর ভাতা ও অবসরজনিত সুবিধাদি) প্রবিধানমালার ৯(৩)(গ) উপবিধানে বলা আছে, কর্মচারীর দুই মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ টাকা প্রতি আর্থিক বছরের সর্বশেষ দিনে অবসর ভাতা তহবিলে জমা করতে পারবে। কিন্তু দেখা গেছে, বিএসটিআইয়ের মোট কর্মচারী ৪০৪ জনের দুই মাসের মূল বেতন তিন অর্থবছরে ৬ কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৫৮ টাকার পরিবর্তে স্থানান্তর করা হয়েছে ২৯ কোটি ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৩৭ টাকা। অর্থাৎ ২২ কোটি ৮৮ লাখ ৮৯ হাজার ৭৯ টাকা অতিরিক্ত স্থানান্তর করা হয়েছে। বিএসটিআই বলেছে, নিয়ম অনুযায়ী টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে।
যা বলেছে বিএসটিআই
নিরীক্ষাকালে বিএসটিআই থেকে জানানো হয়, ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজেটে ঝুঁকি ও প্রণোদনা ভাতা বাবদ ১১২ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট মনিটরিং বিভাগ থেকে অনুমোদিত। নিরীক্ষা জবাবে বলা হয়, বিএসটিআই সরকারি প্রতিষ্ঠান। সরকারি আয়কে বেসরকারি বলার কোনো সুযোগ নেই। ২০১৮ সালের বিএসটিআই আইনের ৪১(২) ও (৩) ধারামতে, বিএসটিআই পরিষদ নিয়ম অনুযায়ী তহবিল পরিচালনা করবে এবং উদ্বৃত্ত টাকা কোষাগারে জমা দেবে। ভাতা দেওয়ার এখতিয়ার পরিষদকে দেওয়া হয়নি। অর্জিত আয় বিএসটিআইয়ের তহবিলে জমা হবে এবং বাড়তি টাকা সরকারের কোষাগারে জমা হবে।
জানতে চাইলে বিএসটিআইয়ের পরিচালক (প্রশাসন) সেলিম রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না। তবে উপপরিচালক (প্রশাসন) মেহেদী হাসান বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। তাঁর মোবাইল ফোনে ৬ দফা কল দেওয়া হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।’ পরে বিএসটিআইয়ের সম্পাদক মাইনুদ্দিন আহমেদ মিয়া ফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, অডিট আপত্তির বিষয় নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান। যেসব বিষয় নিয়ে আপত্তি দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর জবাবও দেওয়া হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
নিয়মবহির্ভূতভাবে ৩৫ বছর ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ঝুঁকি ও প্রণোদনা ভাতা ভাগাভাগি করে আসছে মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এই ভাতাসহ সংস্থাটিতে ১৭টি খাতে ১৮২ কোটি টাকার অনিয়ম পেয়েছে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) কার্যালয়ের অডিট বিভাগ।
বিএসটিআইয়ের হিসাবসম্পর্কিত কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গত বছরের ১১ জুলাই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে সিএজির অডিট বিভাগ।
নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিএসটিআইয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে ঝুঁকি ও প্রণোদনা ভাতা বেশি দেওয়ায় ১০৭ কোটি ৪৮ লাখ, ব্যাংকে কম অর্থ জমা দেওয়ায় ৪২ কোটি ৩৪ লাখ, উদ্বৃত্ত টাকা কোষাগারের পরিবর্তে ব্যাংকে জমা দেওয়ায় ২ কোটি ৭৫ লাখ, অবসর ভাতা বেশি দেওয়ায় ২২ কোটি ৮৮ লাখ, উৎপাদন মূল্য অনুযায়ী সার্টিফিকেশন মার্ক (সিএম) লাইসেন্সে ফি নির্ধারণ না করায় ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকার অনিয়ম হয়েছে। এ ছাড়া কাজের চেয়ে বিল বেশি দেওয়া, লাইসেন্স নবায়ন, বকেয়া ফি আদায় না করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফি আদায়ে ছাড় দেওয়ার তথ্যও উঠে এসেছে ওই প্রতিবেদনে।
অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে নিয়মবহির্ভূতভাবে ঝুঁকি ও প্রণোদনা ভাতা মাসিক মূল বেতনের নামে ২৪-২৬ গুণ বেশি টাকা আদায় করায় সরকারের ১০৭ কোটি ৪৮ লাখ ৩৩ হাজার ৪৮৯ টাকা ক্ষতি হয়েছে। সিএম লাইসেন্স থেকে আয় করা টাকার ৪০ শতাংশ বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এবং অবশিষ্ট ৬০ শতাংশ ফান্ডে জমা দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু বিএসটিআই সরকারি আয়কে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বেসরকারি দেখিয়ে বছরের পর বছর ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ভাগাভাগি করে আসছে।
বিএসটিআইয়ের চাকরি (স্বশাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ) বেতন ও ভাতাদি আদেশ-২০১৫-এর ১৩(৩) বিধান অনুযায়ী, বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আদেশের বাইরে কোনো টাকা পাওয়ার সুযোগ নেই। ১৯৮৯ সালে প্রণীত বিএসটিআইয়ের কর্মচারী প্রবিধানমালা অনুযায়ী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঝুঁকি ও প্রণোদনা ভাতা দেওয়ার সুযোগ নেই। আইন অনুযায়ী উদ্বৃত্ত টাকা তিন মাসের মধ্যে সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু সেটি না করে এই আয়কে বেসরকারি হিসেবে দেখিয়ে তা ভাগাভাগি করে নিয়েছে, যা ২০১৮ সালের বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন আইনের ৪১(৩) ধারা লঙ্ঘন, ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশের ১৪(৩) লঙ্ঘন।
ব্যাংকে কম টাকা জমা না দিয়ে অনিয়ম
বিএসটিআইয়ের যাবতীয় আয় ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা। অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮-১৯ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত তিন বছরে বিএসটিআই পেয়েছে ২৫১ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৪ টাকা এবং ব্যাংকে জমা দিয়েছে ২০৮ কোটি ৯০ লাখ ৪১ হাজার ৬৮৪ টাকা। অর্থাৎ ৪২ কোটি ৩৪ লাখ ১৯ হাজার ২৫০ টাকা কম দিয়েছে।
কল্যাণ তহবিলে টাকা জমা ও অতিরিক্ত অবসর ভাতা দিয়ে অনিয়ম
অডিট প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বেনাভোলেন্ট ফান্ড থাকা সত্ত্বেও কল্যাণ ফান্ডে নামে নিয়মবহির্ভূতভাবে সরকারি টাকা স্থানান্তর করায় তিন বছরে ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, যা বিএসটিআই আইনের ৪১(৩) ধারা লঙ্ঘন।
২০০২ সালের বিএসটিআইয়ের কর্মচারী (অবসর ভাতা ও অবসরজনিত সুবিধাদি) প্রবিধানমালার ৯(৩)(গ) উপবিধানে বলা আছে, কর্মচারীর দুই মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ টাকা প্রতি আর্থিক বছরের সর্বশেষ দিনে অবসর ভাতা তহবিলে জমা করতে পারবে। কিন্তু দেখা গেছে, বিএসটিআইয়ের মোট কর্মচারী ৪০৪ জনের দুই মাসের মূল বেতন তিন অর্থবছরে ৬ কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৫৮ টাকার পরিবর্তে স্থানান্তর করা হয়েছে ২৯ কোটি ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৩৭ টাকা। অর্থাৎ ২২ কোটি ৮৮ লাখ ৮৯ হাজার ৭৯ টাকা অতিরিক্ত স্থানান্তর করা হয়েছে। বিএসটিআই বলেছে, নিয়ম অনুযায়ী টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে।
যা বলেছে বিএসটিআই
নিরীক্ষাকালে বিএসটিআই থেকে জানানো হয়, ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজেটে ঝুঁকি ও প্রণোদনা ভাতা বাবদ ১১২ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট মনিটরিং বিভাগ থেকে অনুমোদিত। নিরীক্ষা জবাবে বলা হয়, বিএসটিআই সরকারি প্রতিষ্ঠান। সরকারি আয়কে বেসরকারি বলার কোনো সুযোগ নেই। ২০১৮ সালের বিএসটিআই আইনের ৪১(২) ও (৩) ধারামতে, বিএসটিআই পরিষদ নিয়ম অনুযায়ী তহবিল পরিচালনা করবে এবং উদ্বৃত্ত টাকা কোষাগারে জমা দেবে। ভাতা দেওয়ার এখতিয়ার পরিষদকে দেওয়া হয়নি। অর্জিত আয় বিএসটিআইয়ের তহবিলে জমা হবে এবং বাড়তি টাকা সরকারের কোষাগারে জমা হবে।
জানতে চাইলে বিএসটিআইয়ের পরিচালক (প্রশাসন) সেলিম রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না। তবে উপপরিচালক (প্রশাসন) মেহেদী হাসান বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। তাঁর মোবাইল ফোনে ৬ দফা কল দেওয়া হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।’ পরে বিএসটিআইয়ের সম্পাদক মাইনুদ্দিন আহমেদ মিয়া ফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, অডিট আপত্তির বিষয় নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান। যেসব বিষয় নিয়ে আপত্তি দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর জবাবও দেওয়া হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে