শাহজাহান সাজু, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে সরকারি জলমহালগুলো ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘জাল যার জলা তার’ নীতির প্রতিফলন হয় না বলে অভিযোগ জেলেদের। হাওরাঞ্চলের জেলেদের অভিযোগ, জেলার ৩৩১টি জলমহালের বেশির ভাগ নিয়ন্ত্রণ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। বছরের পর বছর এসব জলমহাল প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
মৎস্য বা জেলে সমবায় সমিতির ব্যানারে তাঁরা জলমহালগুলো নিয়ন্ত্রণ করে প্রকৃত জেলেদের বঞ্চিত করছেন। সাধারণ জেলেরা তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে সাহস করেন না। অভিযোগ বা প্রতিবাদ করলে নানা নির্যাতনের শিকার হতে হয়। জেলেদের দাবি, জলমহালগুলো ইজারার ক্ষেত্রে জাল যার জলা তার—নীতির বাস্তবায়ন করতে হবে। সেসঙ্গে প্রকৃত জেলেদের সরকারিভাবে পরিচয়পত্র দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।
জেলা প্রশাসনের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের হাওরে ২০ একরের ঊর্ধ্বে ১৭৯টি এবং ২০ একরের নিচে ১৫২টি জলমহাল রয়েছে। এগুলো সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে দরপত্র আহ্বান করে ২০ একরের বেশি জলমহাল ৩ ও ৫ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়। ২০ একরের কম জলমহালগুলো উপজেলা পরিষদ থেকে ইজারা দেওয়া হয়।
সরকারি নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে এসব জলমহাল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে খোলা দরপত্রের মাধ্যমে ইজারা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ইজারা নেওয়া প্রতিটি সমবায় সমিতির নেপথ্যে রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র। কারণ জলমহাল ইজারা নিতে কয়েক লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। প্রকৃত জেলেদের সঙ্গে তাঁদের অলিখিত শর্তের মারপ্যাঁচে জলমহাল থেকে আহরিত মাছ বিক্রির সিংহভাগ অর্থই এই প্রভাবশালীরা নিয়ে যান।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৪৫৩ দশমিক ৭৪ হেক্টর আয়তনের ১২৮টি খাল, ১৩ হাজার ৬১২ দশমিক ৮৫ হেক্টরের ৫২টি নদী, ১৩ হাজার ৪৮৫ দশমিক ৪৬ হেক্টরের ২৪১টি বিল এবং ৪০ হাজার ৮১০ দশমিক ১৪ হেক্টর আয়তনের ৪৮টি হাওর রয়েছে। কালের বিবর্তনে মাছ উৎপাদনকারী নদী, খাল, বিল সবই এখন জলমহালের অন্তর্ভুক্ত।
জেলা রাজস্ব বিভাগসহ মৎস্য নিয়ে কাজ করে—এমন একাধিক বেসরকারি সংস্থা জানায়, জেলার সব জলমহাল থেকে ২১৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকার মাছ পাওয়া যায়। মাত্র ১৪ কোটি টাকা সরকারকে রাজস্ব দিয়ে মধ্যস্বত্বভোগীরা জলমহালগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রতিবছর প্রায় ২১৯ কোটি টাকার মাছের ব্যবসা করছেন।
সরেজমিনে নিকলী উপজেলার ছাতিরচরে গেলে জানা যায়, মাছ ধরতে গেলে প্রভাবশালীরা বিভিন্ন সময় স্থানীয় জেলেদের মারধর, জাল-নৌকা লুটসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন। তাই ভয়ে তাঁরা নদীতে ও ভাসান পানিতে মাছ ধরতে যেতে সাহস করেন না। এ সময় জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনো কোনো ইজারাদার ২০ একর ইজারা নিয়ে ৫০ একর দখল করে আছেন। প্রশাসন ও পুলিশকে ম্যানেজ করে এ অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম ও নিকলীর বেশ কয়েকজন জেলে বলেন, উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরতে গেলে এলাকার প্রভাবশালীরা নদী ইজারা নিয়েছেন দাবি করে তাঁদের ওপর জোর-জুলুম করেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, সরকারি আইন ও নিয়ম মেনে প্রকৃত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে জলমহালগুলো ইজারা দেওয়া হয়। পরে সেগুলো কীভাবে পরিচালিত হয় তা আমাদের এখতিয়ারের বাইরে। এসব বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি আমরা। ভাসান পানিতে উন্মুক্ত জলাশয়ে জেলেদের অবাধ অধিকার সরকারিভাবে রয়েছে। সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে সরকারি জলমহালগুলো ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘জাল যার জলা তার’ নীতির প্রতিফলন হয় না বলে অভিযোগ জেলেদের। হাওরাঞ্চলের জেলেদের অভিযোগ, জেলার ৩৩১টি জলমহালের বেশির ভাগ নিয়ন্ত্রণ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। বছরের পর বছর এসব জলমহাল প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
মৎস্য বা জেলে সমবায় সমিতির ব্যানারে তাঁরা জলমহালগুলো নিয়ন্ত্রণ করে প্রকৃত জেলেদের বঞ্চিত করছেন। সাধারণ জেলেরা তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে সাহস করেন না। অভিযোগ বা প্রতিবাদ করলে নানা নির্যাতনের শিকার হতে হয়। জেলেদের দাবি, জলমহালগুলো ইজারার ক্ষেত্রে জাল যার জলা তার—নীতির বাস্তবায়ন করতে হবে। সেসঙ্গে প্রকৃত জেলেদের সরকারিভাবে পরিচয়পত্র দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।
জেলা প্রশাসনের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের হাওরে ২০ একরের ঊর্ধ্বে ১৭৯টি এবং ২০ একরের নিচে ১৫২টি জলমহাল রয়েছে। এগুলো সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে দরপত্র আহ্বান করে ২০ একরের বেশি জলমহাল ৩ ও ৫ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়। ২০ একরের কম জলমহালগুলো উপজেলা পরিষদ থেকে ইজারা দেওয়া হয়।
সরকারি নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে এসব জলমহাল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে খোলা দরপত্রের মাধ্যমে ইজারা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ইজারা নেওয়া প্রতিটি সমবায় সমিতির নেপথ্যে রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র। কারণ জলমহাল ইজারা নিতে কয়েক লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। প্রকৃত জেলেদের সঙ্গে তাঁদের অলিখিত শর্তের মারপ্যাঁচে জলমহাল থেকে আহরিত মাছ বিক্রির সিংহভাগ অর্থই এই প্রভাবশালীরা নিয়ে যান।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৪৫৩ দশমিক ৭৪ হেক্টর আয়তনের ১২৮টি খাল, ১৩ হাজার ৬১২ দশমিক ৮৫ হেক্টরের ৫২টি নদী, ১৩ হাজার ৪৮৫ দশমিক ৪৬ হেক্টরের ২৪১টি বিল এবং ৪০ হাজার ৮১০ দশমিক ১৪ হেক্টর আয়তনের ৪৮টি হাওর রয়েছে। কালের বিবর্তনে মাছ উৎপাদনকারী নদী, খাল, বিল সবই এখন জলমহালের অন্তর্ভুক্ত।
জেলা রাজস্ব বিভাগসহ মৎস্য নিয়ে কাজ করে—এমন একাধিক বেসরকারি সংস্থা জানায়, জেলার সব জলমহাল থেকে ২১৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকার মাছ পাওয়া যায়। মাত্র ১৪ কোটি টাকা সরকারকে রাজস্ব দিয়ে মধ্যস্বত্বভোগীরা জলমহালগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রতিবছর প্রায় ২১৯ কোটি টাকার মাছের ব্যবসা করছেন।
সরেজমিনে নিকলী উপজেলার ছাতিরচরে গেলে জানা যায়, মাছ ধরতে গেলে প্রভাবশালীরা বিভিন্ন সময় স্থানীয় জেলেদের মারধর, জাল-নৌকা লুটসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন। তাই ভয়ে তাঁরা নদীতে ও ভাসান পানিতে মাছ ধরতে যেতে সাহস করেন না। এ সময় জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনো কোনো ইজারাদার ২০ একর ইজারা নিয়ে ৫০ একর দখল করে আছেন। প্রশাসন ও পুলিশকে ম্যানেজ করে এ অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম ও নিকলীর বেশ কয়েকজন জেলে বলেন, উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরতে গেলে এলাকার প্রভাবশালীরা নদী ইজারা নিয়েছেন দাবি করে তাঁদের ওপর জোর-জুলুম করেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, সরকারি আইন ও নিয়ম মেনে প্রকৃত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে জলমহালগুলো ইজারা দেওয়া হয়। পরে সেগুলো কীভাবে পরিচালিত হয় তা আমাদের এখতিয়ারের বাইরে। এসব বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি আমরা। ভাসান পানিতে উন্মুক্ত জলাশয়ে জেলেদের অবাধ অধিকার সরকারিভাবে রয়েছে। সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে