কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে আমন ধানের গোড়া পচা রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়েছে। অতিরিক্ত গরম ও বেশি দিন জমিতে পানি আটকে থাকায় এ রোগ দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পোকা ও বালাই দমনে জমিতে কীট ও বালাইনাশক প্রয়োগ করছেন কৃষক। তাতেও সুফল মিলছে না। সংকট সমাধানে বিঘাপ্রতি কৃষকের খরচ বেড়েছে হাজার টাকার ওপরে।
একদিকে মজুরি খরচসহ তেল ও সারের মূল্যবৃদ্ধি অন্যদিকে ধানগাছে পোকা ও পচন ধরায় ক্ষতির আশঙ্কায় দিশেহারা কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আমন ধান রোপণ করা রয়েছে ১২ হাজার ৮ শত ৮০ হেক্টর জমিতে। আমনে মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগ দেখা দেওয়ায় উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার লোহাজুরী, মসূয়া, জালালপুর, আচমিতা, বনগ্রাম ও মুমুরদিয়া ইউনিয়নের আমনের গাছের গোড়া পচা ও পাতা মরা রোগ দেখা দিয়েছে। ফলন আসার আগেই গোড়া পচে ধানগাছ খড়ে পরিণত হয়েছে। পাতা হলুদ বর্ণ ধারণ করে ধীরে ধীরে ধানগাছ জমিতেই মারা যাচ্ছে। তা ছাড়া নানা জাতের কীটপতঙ্গের আক্রমণ বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। বিশেষ করে মাজরা পোকার উৎপাত বেড়েছে বেশি। ক্ষতি কমিয়ে নিতে কৃষকেরা ছিটাচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক।
কৃষকেরা জানান, কীটনাশক দেওয়ার পরেও যদি আমনের মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগ দমন না হয়, তাহলে ফলনের ক্ষেত্রে সেটা বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।
উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের চরকাউনিয়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৩ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছি। খেতে মাজরা পোকার আক্রমণ এবং গোড়া পচা রোগ অন্য বছরের চেয়ে বেশি। ধানের শিষ না আসতেই এমন রোগ দেখা দেওয়ায় আমরা হতাশ। কীটনাশক, ওষুধ স্প্রে করেছি গোড়া পচা ও পোকার আক্রমণ কিছুটা কমেছে। তবে খেত সম্পূর্ণভাবে মাজরা পোকা মুক্ত হয়নি।’
মসূয়া ইউনিয়নের পংমসূয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, ‘৮২ শতাংশ জমিতে আমন ধান রোপণ করেছি। গোড়া পচা ও মাজরা পোকা আক্রমণ করেছে। এমিস্টার টপ নামে ওষুধ স্প্রে করেছি, কোনো কাজ হয়নি। পরে কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের পরামর্শে কারেন্ট পোকার ওষুধ স্প্রে করেছি। দেখা যাক, কী হয়।
আব্দুল খালেক আরও বলেন, সমস্যা হচ্ছে আক্রান্ত জমিতে যেমন স্প্রে করতে হয়, তেমনি পাশের আক্রান্ত নয় এমন জমিতেও স্প্রে করতে হচ্ছে, যাতে নতুন করে সংক্রমণ না হয়।
কটিয়াদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুখছেদুল হক বলেন, উপজেলার কিছু এলাকায় গোড়া পচা রোগ দেখা দিয়েছে। তবে বেশি পরিমাণ জমিতে আক্রান্ত হয়নি। অল্প কিছু জমির ধান ক্ষতির শিকার হবে। ব্যাপকভাবে যেন পোকার আক্রমণ না ছড়ায়, এ জন্য মাঠপর্যায়ে কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। আশা করছি মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগসহ সব বালাই দমন করা যাবে।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে আমন ধানের গোড়া পচা রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়েছে। অতিরিক্ত গরম ও বেশি দিন জমিতে পানি আটকে থাকায় এ রোগ দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পোকা ও বালাই দমনে জমিতে কীট ও বালাইনাশক প্রয়োগ করছেন কৃষক। তাতেও সুফল মিলছে না। সংকট সমাধানে বিঘাপ্রতি কৃষকের খরচ বেড়েছে হাজার টাকার ওপরে।
একদিকে মজুরি খরচসহ তেল ও সারের মূল্যবৃদ্ধি অন্যদিকে ধানগাছে পোকা ও পচন ধরায় ক্ষতির আশঙ্কায় দিশেহারা কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আমন ধান রোপণ করা রয়েছে ১২ হাজার ৮ শত ৮০ হেক্টর জমিতে। আমনে মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগ দেখা দেওয়ায় উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার লোহাজুরী, মসূয়া, জালালপুর, আচমিতা, বনগ্রাম ও মুমুরদিয়া ইউনিয়নের আমনের গাছের গোড়া পচা ও পাতা মরা রোগ দেখা দিয়েছে। ফলন আসার আগেই গোড়া পচে ধানগাছ খড়ে পরিণত হয়েছে। পাতা হলুদ বর্ণ ধারণ করে ধীরে ধীরে ধানগাছ জমিতেই মারা যাচ্ছে। তা ছাড়া নানা জাতের কীটপতঙ্গের আক্রমণ বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। বিশেষ করে মাজরা পোকার উৎপাত বেড়েছে বেশি। ক্ষতি কমিয়ে নিতে কৃষকেরা ছিটাচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক।
কৃষকেরা জানান, কীটনাশক দেওয়ার পরেও যদি আমনের মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগ দমন না হয়, তাহলে ফলনের ক্ষেত্রে সেটা বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।
উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের চরকাউনিয়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৩ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছি। খেতে মাজরা পোকার আক্রমণ এবং গোড়া পচা রোগ অন্য বছরের চেয়ে বেশি। ধানের শিষ না আসতেই এমন রোগ দেখা দেওয়ায় আমরা হতাশ। কীটনাশক, ওষুধ স্প্রে করেছি গোড়া পচা ও পোকার আক্রমণ কিছুটা কমেছে। তবে খেত সম্পূর্ণভাবে মাজরা পোকা মুক্ত হয়নি।’
মসূয়া ইউনিয়নের পংমসূয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, ‘৮২ শতাংশ জমিতে আমন ধান রোপণ করেছি। গোড়া পচা ও মাজরা পোকা আক্রমণ করেছে। এমিস্টার টপ নামে ওষুধ স্প্রে করেছি, কোনো কাজ হয়নি। পরে কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের পরামর্শে কারেন্ট পোকার ওষুধ স্প্রে করেছি। দেখা যাক, কী হয়।
আব্দুল খালেক আরও বলেন, সমস্যা হচ্ছে আক্রান্ত জমিতে যেমন স্প্রে করতে হয়, তেমনি পাশের আক্রান্ত নয় এমন জমিতেও স্প্রে করতে হচ্ছে, যাতে নতুন করে সংক্রমণ না হয়।
কটিয়াদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুখছেদুল হক বলেন, উপজেলার কিছু এলাকায় গোড়া পচা রোগ দেখা দিয়েছে। তবে বেশি পরিমাণ জমিতে আক্রান্ত হয়নি। অল্প কিছু জমির ধান ক্ষতির শিকার হবে। ব্যাপকভাবে যেন পোকার আক্রমণ না ছড়ায়, এ জন্য মাঠপর্যায়ে কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। আশা করছি মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগসহ সব বালাই দমন করা যাবে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে