নরসিংদীর বেলাবতে পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৮ ইউপিতে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৫ জানুয়ারি। প্রতীক পাওয়ার পর নির্বাচনে জোরেশোরে প্রচারে নেমেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। অন্যদিকে দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ না করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচনের মাঠে আছেন বিএনপির সমর্থকেরা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাড়া-মহল্লায় ও হাট-বাজারের দোকানগুলোতে চলছে ভেটের নানা গুঞ্জন। আর অন্যদিকে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৫৫ জন প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৮, জাতীয় পাটির ৪, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৬ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩৪ জন রয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৯০ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৮১ সহ মোট ৪২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, ইতিমধ্যে প্রার্থীদের পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে উপজেলার রাস্তা ঘাট। পাড়া মহল্লার চায়ের দোকানে চলছে শুধু ভোটের আলোচনা। প্রার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক, মিছিল ও মিটিং করে নানান প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। দুপুর থেকে শুরু করে রাত ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন প্রার্থীদের নামে নিজস্ব প্রতীক নিয়ে গানে গানে মাইকিং করতে দেখা গেছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বলছেন, এখনো দলের গ্রুপিং স্পষ্ট হয়নি। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করছে এবং জনগণের ব্যাপক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন।

নৌকার প্রার্থীরা সভা-সমাবেশে ও ভোটারের বাড়িতে গিয়ে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে কাজে লাগিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট চাচ্ছেন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সরকারি দলের নেতা কর্মীদের দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের কথা বলে নিজেদের জন্য ভোট চাইছেন।

নারায়ণপুর ইউপির নৌকা প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মোছলেহ উদ্দিন খান সেন্টু বলেন, ‘আমার আমলে ইউনিয়ন পরিষদের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আবারও নির্বাচিত হলে আরও উন্নয়ন করা হবে। আশা করছি জনগণ আমার পাশেই থাকবেন।’

নারায়ণপুর ইউপির আনারস প্রতীকের প্রার্থী ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহুল আমিন (শ্যামল) বলেন, ‘বিগত দিনে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা এ ইউনিয়নকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারেননি। রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন হয়নি। এবার আমাকে দলমত-নির্বিশেষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে এ ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে উন্নয়নের জোয়ার নিয়ে আসব। গরিব-দুঃখী মেহনতি মানুষের কল্যাণে কাজ করব।’

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আদিল বলেন, ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন যৌথ সহযোগিতায় একটি নিরপেক্ষ ও আইনানুগ নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হব। আশা করি সব প্রার্থীরা আচরণবিধি মেনে নির্বাচন প্রচারণা পরিচালনা করবেন। সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে যাবতীয় প্রস্তুতি আমরা হাতে নিয়েছি।’