শরীয়তপুর প্রতিনিধি
পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য প্রস্তুত করতে শেষ মুহূর্তে চলছে রোড মার্কিংয়ের কাজ। সেতুর উপরিভাগে চলছে ল্যাম্পপোস্ট, হ্যান্ডরোলিং ও সতর্কতামূলক সংকেত (ট্রাফিক সংকেত) বসানোর কাজ। এ ছাড়া নির্মাণ-পরবর্তী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও যানবাহনের নিরাপত্তার জন্য সেতুর উভয় পাশে রেলিং বসানোর কাজও চলছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ১৫ জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য শতভাগ প্রস্তুত হয়ে যাবে। আজকের পত্রিকাকে গতকাল শনিবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, মে মাসের ১৮ তারিখ থেকে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর সড়কের মার্কিংয়ের কাজ শুরু হয়। গত ১৫ দিনে রোড মার্কিংয়ের কাজ এগিয়েছে ৭০ শতাংশ। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ৫ থেকে ৬ দিনের মধ্যে এ কাজ পুরোপুরি শেষ হবে। তখন সেতুর এই সড়কটি যানবাহন চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যাবে। এ ছাড়া সেতুর পেইন্টিং, রেলিং বসানোর কাজ, ট্রাফিক সংকেতের কাজও রয়েছে শেষ পর্যায়ে। সেতুতে ৪১৫টি ল্যাম্প পোস্ট বসানো প্রায় শেষ পর্যায়ে; এখন চলছে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ। গতকাল শনিবার পর্যন্ত ল্যাম্প পোস্ট বসানোর কাজের অগ্রগতি ৯৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে মূল সেতুর কাজ এগিয়েছে ৯৯ শতাংশের বেশি। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ১৫ জুনের মধ্যে সেতু উদ্বোধনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যাবে। ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু ও সেতুর সংযোগ সড়কে বসানো হয়েছে ৬১৫টি ল্যাম্প পোস্ট। এসব ল্যাম্প পোস্টে যুক্ত করা হয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি। শেষ মুহূর্তে এখন চলছে বৈদ্যুতিক তার সংযোজনের কাজ। সেতুর দুই প্রান্তে থাকা সাবস্টেশন থেকে এসব ল্যাম্প পোস্টে দেওয়া হবে বিদ্যুৎ সংযোগ।
মোট আটটি ভাগে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। সবার আগে শুরু হয় পুনর্বাসন ও জমি অধিগ্রহণের কাজ। আর সবার শেষে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর শুরু হয় নদী শাসনের কাজ। এ পর্যন্ত নদী শাসনের কাজ এগিয়েছে ৯৩ শতাংশ। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুসহ সম্পূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ করতে হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে মূল সেতুর নির্মাণ ব্যয় ১২ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা, নদী শাসনে ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া নির্মাণে খরচ ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
এদিকে সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বইছে পদ্মাপাড়ের জেলা শরীয়তপুরে। সেতু ঘিরে অবহেলিত এই জনপদের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখছেন স্থানীয়রা। গ্রামগঞ্জের চায়ের দোকান থেকে অফিসপাড়া—সব জায়গাই আলোচনার কেন্দ্র রয়েছে পদ্মা সেতু। জমকালো উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে মাদারীপুরের কাঠালবাড়ি ফেরিঘাট এলাকাকে। মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনের পর মাদারীপুরের কাঠালবাড়িতে জনসভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবেশে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আতশবাজি উৎসব, ফানুস ওড়ানোসহ জমকালো আয়োজন রাখা হয়েছে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু বলেন, ‘পদ্মা বিজয়ের উৎসবের জন্য অপেক্ষা করছে শরীয়তপুরসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন মাত্র তৈরি করবে পদ্মা সেতু। সেতু ঘিরে তৈরি হওয়া শিল্পকারখানায় হাজারো মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পাবে ২ শতাংশের বেশি।’
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য প্রস্তুত করতে শেষ মুহূর্তে চলছে রোড মার্কিংয়ের কাজ। সেতুর উপরিভাগে চলছে ল্যাম্পপোস্ট, হ্যান্ডরোলিং ও সতর্কতামূলক সংকেত (ট্রাফিক সংকেত) বসানোর কাজ। এ ছাড়া নির্মাণ-পরবর্তী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও যানবাহনের নিরাপত্তার জন্য সেতুর উভয় পাশে রেলিং বসানোর কাজও চলছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ১৫ জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য শতভাগ প্রস্তুত হয়ে যাবে। আজকের পত্রিকাকে গতকাল শনিবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, মে মাসের ১৮ তারিখ থেকে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর সড়কের মার্কিংয়ের কাজ শুরু হয়। গত ১৫ দিনে রোড মার্কিংয়ের কাজ এগিয়েছে ৭০ শতাংশ। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ৫ থেকে ৬ দিনের মধ্যে এ কাজ পুরোপুরি শেষ হবে। তখন সেতুর এই সড়কটি যানবাহন চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যাবে। এ ছাড়া সেতুর পেইন্টিং, রেলিং বসানোর কাজ, ট্রাফিক সংকেতের কাজও রয়েছে শেষ পর্যায়ে। সেতুতে ৪১৫টি ল্যাম্প পোস্ট বসানো প্রায় শেষ পর্যায়ে; এখন চলছে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ। গতকাল শনিবার পর্যন্ত ল্যাম্প পোস্ট বসানোর কাজের অগ্রগতি ৯৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে মূল সেতুর কাজ এগিয়েছে ৯৯ শতাংশের বেশি। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ১৫ জুনের মধ্যে সেতু উদ্বোধনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যাবে। ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু ও সেতুর সংযোগ সড়কে বসানো হয়েছে ৬১৫টি ল্যাম্প পোস্ট। এসব ল্যাম্প পোস্টে যুক্ত করা হয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি। শেষ মুহূর্তে এখন চলছে বৈদ্যুতিক তার সংযোজনের কাজ। সেতুর দুই প্রান্তে থাকা সাবস্টেশন থেকে এসব ল্যাম্প পোস্টে দেওয়া হবে বিদ্যুৎ সংযোগ।
মোট আটটি ভাগে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। সবার আগে শুরু হয় পুনর্বাসন ও জমি অধিগ্রহণের কাজ। আর সবার শেষে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর শুরু হয় নদী শাসনের কাজ। এ পর্যন্ত নদী শাসনের কাজ এগিয়েছে ৯৩ শতাংশ। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুসহ সম্পূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ করতে হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে মূল সেতুর নির্মাণ ব্যয় ১২ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা, নদী শাসনে ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া নির্মাণে খরচ ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
এদিকে সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বইছে পদ্মাপাড়ের জেলা শরীয়তপুরে। সেতু ঘিরে অবহেলিত এই জনপদের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখছেন স্থানীয়রা। গ্রামগঞ্জের চায়ের দোকান থেকে অফিসপাড়া—সব জায়গাই আলোচনার কেন্দ্র রয়েছে পদ্মা সেতু। জমকালো উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে মাদারীপুরের কাঠালবাড়ি ফেরিঘাট এলাকাকে। মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনের পর মাদারীপুরের কাঠালবাড়িতে জনসভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবেশে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আতশবাজি উৎসব, ফানুস ওড়ানোসহ জমকালো আয়োজন রাখা হয়েছে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু বলেন, ‘পদ্মা বিজয়ের উৎসবের জন্য অপেক্ষা করছে শরীয়তপুরসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন মাত্র তৈরি করবে পদ্মা সেতু। সেতু ঘিরে তৈরি হওয়া শিল্পকারখানায় হাজারো মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পাবে ২ শতাংশের বেশি।’
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে