হোসাইন আহমদ, শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ)
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুনামগঞ্জ। হাওরের এই জেলা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও ঐতিহ্যেও বেশ সমৃদ্ধ। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারে গেলে যে কারও চোখে পড়বে শত বছরের পুরোনো দোতলা একটি মসজিদ। স্থানীয় লোকজনের কাছে এটি রায়পুর বড় জামে মসজিদ নামে পরিচিত। মহাসিং নদীর তীরে গড়ে ওঠা এই স্থাপত্যের নির্মাণকাজে যিনি যুক্ত ছিলেন, তাঁর পূর্বপুরুষদের সুনিপুণ হাতেই নির্মিত হয়েছে জগদ্বিখ্যাত তাজমহল। তাজমহল যে পাথর দিয়ে বানানো হয়েছিল, এটি বানাতেও একই ধরনের পাথর ব্যবহার করা হয়েছে।
১৩৩১ বঙ্গাব্দে স্থানীয় ব্যবসায়ী ইয়াসিন মির্জা ও তাঁর ভাই ইউসুফ মির্জা ভারত থেকে দক্ষ স্থপতি এনে মসজিদটির নির্মাণ শুরু করেন। মসজিদ নির্মাণ নিয়ে লোকমুখে নানা জনশ্রুতি থাকলেও পরিবারসূত্রে জানা যায়, ইয়াসিন মির্জার বাবা আদিল হাজি পরগনার মধ্যে একমাত্র হাজি ছিলেন। তিনি নামাজের জন্য বর্তমান মসজিদের জায়গায় একটি টিনশেড ঘর তৈরি করেন। পরে এখানেই দুই ভাই মিলে মসজিদ বানানোর উদ্যোগ নেন।
মসজিদের নির্মাণকাজ চলে ১০ বছর ধরে। ৬৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও বারান্দাসহ ২৫ ফুট প্রস্থের এ মসজিদের উচ্চতা গম্বুজসহ ৪০ ফুট। ৬টি স্তম্ভের ওপর ৬টি মিনার, ৩টি বিশাল গম্বুজ এবং ছোট সাইজের আরও ১২টি মিনার। বাইরের চেয়ে ভেতরটা বেশি নান্দনিক। নামাজের জন্য নির্ধারিত মূল স্থান দোতলায়। মিহরাব অংশে জমকালো পাথর কেটে আকর্ষণীয় ডিজাইন করা হয়েছে। পুরো মসজিদের চারপাশে তিন ফুট উচ্চতা পর্যন্ত যে কারুকার্যখচিত টাইলস লাগানো হয়েছে, সেগুলোও উঁচুমানের স্থাপত্যশৈলীর ইঙ্গিত দেয়। টাইলসগুলো আনা হয়েছিল ইতালি, জার্মানি ও ইংল্যান্ড থেকে। প্রতিটি প্রবেশদ্বারে পাথরখচিত খিলান মসজিদটিকে বেশ দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে। নিচতলার ছাদ ঢালাইয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে রেলের স্লিপার। ছাদ ও গম্বুজের চারপাশে পাথর খোদাই করা পাতার ডিজাইন গ্রামীণ ঐতিহ্যের জানান দেয়। দোতলার মেঝেতে রয়েছে দুর্লভ শ্বেতপাথর। চারপাশে ব্লকে আছে ব্ল্যাক স্টোন বা কালো পাথর, যা আরও বেশি দুর্লভ। এগুলো আনা হয়েছে ভারতের জয়পুর থেকে। মসজিদ নির্মাণে ব্যবহৃত এ ধরনের পাথর একমাত্র তাজমহলে ব্যবহার করা হয়েছে।
দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদের ভেতরে ঢুকতে হয় উত্তর পাশের গেট দিয়ে। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, রডের ব্যবহার ছাড়াই সম্পূর্ণ ইটের ওপর নির্মিত স্থাপনাটি। নির্মাণকাজ করা মিস্ত্রিরা সবাই ভারতীয়। মূল স্থপতি মুমিন আস্তাগারের পূর্বপুরুষ ভারতের তাজমহল নির্মাণে কাজ করেছেন।
ঐতিহ্যবাহী পাগলা বড় জামে মসজিদটি অযত্নে ও অবহেলায় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সরকারের তরফ থেকে যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে ঐতিহ্যবাহী এই স্থাপনাটি পর্যটনশিল্পে একটা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। আর যদি অবহেলার ধারাবাহিকতায় দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়তে থাকে ও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করা হয়, তবে ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সাক্ষী এ মসজিদটি আর না-ও দেখা যেতে পারে। কালের বিবর্তনে যাতে হারিয়ে না যায়, সে জন্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণের দাবি জানিয়েছেন ইয়াসিন মির্জার প্রপৌত্র লালন মির্জা ও মনজুর হায়দার।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুনামগঞ্জ। হাওরের এই জেলা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও ঐতিহ্যেও বেশ সমৃদ্ধ। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারে গেলে যে কারও চোখে পড়বে শত বছরের পুরোনো দোতলা একটি মসজিদ। স্থানীয় লোকজনের কাছে এটি রায়পুর বড় জামে মসজিদ নামে পরিচিত। মহাসিং নদীর তীরে গড়ে ওঠা এই স্থাপত্যের নির্মাণকাজে যিনি যুক্ত ছিলেন, তাঁর পূর্বপুরুষদের সুনিপুণ হাতেই নির্মিত হয়েছে জগদ্বিখ্যাত তাজমহল। তাজমহল যে পাথর দিয়ে বানানো হয়েছিল, এটি বানাতেও একই ধরনের পাথর ব্যবহার করা হয়েছে।
১৩৩১ বঙ্গাব্দে স্থানীয় ব্যবসায়ী ইয়াসিন মির্জা ও তাঁর ভাই ইউসুফ মির্জা ভারত থেকে দক্ষ স্থপতি এনে মসজিদটির নির্মাণ শুরু করেন। মসজিদ নির্মাণ নিয়ে লোকমুখে নানা জনশ্রুতি থাকলেও পরিবারসূত্রে জানা যায়, ইয়াসিন মির্জার বাবা আদিল হাজি পরগনার মধ্যে একমাত্র হাজি ছিলেন। তিনি নামাজের জন্য বর্তমান মসজিদের জায়গায় একটি টিনশেড ঘর তৈরি করেন। পরে এখানেই দুই ভাই মিলে মসজিদ বানানোর উদ্যোগ নেন।
মসজিদের নির্মাণকাজ চলে ১০ বছর ধরে। ৬৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও বারান্দাসহ ২৫ ফুট প্রস্থের এ মসজিদের উচ্চতা গম্বুজসহ ৪০ ফুট। ৬টি স্তম্ভের ওপর ৬টি মিনার, ৩টি বিশাল গম্বুজ এবং ছোট সাইজের আরও ১২টি মিনার। বাইরের চেয়ে ভেতরটা বেশি নান্দনিক। নামাজের জন্য নির্ধারিত মূল স্থান দোতলায়। মিহরাব অংশে জমকালো পাথর কেটে আকর্ষণীয় ডিজাইন করা হয়েছে। পুরো মসজিদের চারপাশে তিন ফুট উচ্চতা পর্যন্ত যে কারুকার্যখচিত টাইলস লাগানো হয়েছে, সেগুলোও উঁচুমানের স্থাপত্যশৈলীর ইঙ্গিত দেয়। টাইলসগুলো আনা হয়েছিল ইতালি, জার্মানি ও ইংল্যান্ড থেকে। প্রতিটি প্রবেশদ্বারে পাথরখচিত খিলান মসজিদটিকে বেশ দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে। নিচতলার ছাদ ঢালাইয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে রেলের স্লিপার। ছাদ ও গম্বুজের চারপাশে পাথর খোদাই করা পাতার ডিজাইন গ্রামীণ ঐতিহ্যের জানান দেয়। দোতলার মেঝেতে রয়েছে দুর্লভ শ্বেতপাথর। চারপাশে ব্লকে আছে ব্ল্যাক স্টোন বা কালো পাথর, যা আরও বেশি দুর্লভ। এগুলো আনা হয়েছে ভারতের জয়পুর থেকে। মসজিদ নির্মাণে ব্যবহৃত এ ধরনের পাথর একমাত্র তাজমহলে ব্যবহার করা হয়েছে।
দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদের ভেতরে ঢুকতে হয় উত্তর পাশের গেট দিয়ে। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, রডের ব্যবহার ছাড়াই সম্পূর্ণ ইটের ওপর নির্মিত স্থাপনাটি। নির্মাণকাজ করা মিস্ত্রিরা সবাই ভারতীয়। মূল স্থপতি মুমিন আস্তাগারের পূর্বপুরুষ ভারতের তাজমহল নির্মাণে কাজ করেছেন।
ঐতিহ্যবাহী পাগলা বড় জামে মসজিদটি অযত্নে ও অবহেলায় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সরকারের তরফ থেকে যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে ঐতিহ্যবাহী এই স্থাপনাটি পর্যটনশিল্পে একটা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। আর যদি অবহেলার ধারাবাহিকতায় দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়তে থাকে ও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করা হয়, তবে ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সাক্ষী এ মসজিদটি আর না-ও দেখা যেতে পারে। কালের বিবর্তনে যাতে হারিয়ে না যায়, সে জন্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণের দাবি জানিয়েছেন ইয়াসিন মির্জার প্রপৌত্র লালন মির্জা ও মনজুর হায়দার।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে