বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের গণমাধ্যমে কথা বলার সময় ফরমাল (যথাযথ বা মানানসই) পোশাক পরার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পাশাপাশি অনুষ্ঠানে যোগদান এবং জনসমক্ষে চলাফেরার সময়ও যথাযথ পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সম্প্রতি বিভাগীয় কমিশনার সমন্বয় সভায় এই নির্দেশনা ও পরামর্শ দেন। একাধিক বিভাগীয় কমিশনার জানান, এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) অবহিত করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির কারণে মাঠ প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বিশেষ করে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে কথা বলছেন।
সাক্ষাৎকারসহ নানা বিষয়ে সংবাদের প্রয়োজনেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেন। এমনকি সমসাময়িক বিষয়ে সরাসরিও যুক্ত হচ্ছেন কেউ কেউ। অনেক সময় তাঁরা সরাসরি অনুষ্ঠানে হাজির হচ্ছেন ইনফরমাল পোশাকে। মাঠ প্রশাসনের কেউ কেউ এমনকি টি-শার্ট ও কেডস পরেও নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন অথবা জনসমক্ষে হাজির হচ্ছেন। অনেকে এমন আচরণ করেন, যাতে সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী এসব কর্মকর্তার সামাজিক ভাবমূর্তি ও গাম্ভীর্য ক্ষুণ্ন হয়। বিষয়টি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নজরে আসার পরই পোশাক সম্পর্কে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে গত ১১ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে সে মাসের বিভাগীয় কমিশনার সমন্বয় সভায় মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পোশাক ও মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট-সম্পর্কিত আলোচনা গুরুত্ব পায়। সভায় বলা হয়, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ফরমাল পোশাক পরে মিডিয়ায় কথা বলতে হবে। কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়াসহ জনসমক্ষে চলাফেরার সময়ও যেন পোশাক-পরিচ্ছদ মানানসই থাকে। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের প্রায় প্রতিটি সভায় এ ধরনের সচেতনতামূলক নির্দেশনা দেওয়া হয়। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন। তাঁদের পোশাক, চলাফেরা ও আচার-আচরণ যেন এমন না হয়, যাতে তাঁরা নিউজের (খবরের) খোরাক হন। এ বিষয়ে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে জানিয়েছিল, বিভাগীয় প্রধানের অনুমতি ছাড়া কোনো সরকারি কর্মচারী গণমাধ্যমে কথা বলতে কিংবা অনলাইনে বক্তব্য, মতামত বা নিবন্ধ প্রকাশ করতে পারবেন না। তবে চিঠিতে উল্লেখ ছিল, বিভাগীয় কমিশনার অথবা জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যদি সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার জন্য সম্প্রচারে অংশ নেন, তাহলে বিভাগীয় প্রধানের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলা প্রশাসক জানান, সরকারি ক্যাডার কর্মকর্তারা সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠান, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কী ধরনের পোশাক পরবেন, তার নিয়মকানুন এমনিতেই বিভিন্ন প্রশিক্ষণে জানানো হয়। মিডিয়ায় কী ধরনের পোশাক পরতে হবে, কী বিষয়ে কথা বলা যাবে, কোন বিষয়ে বলা যাবে না—তা মাঠ প্রশাসনে পাঠানোর আগেই জানানো হয়। তারপরও অনেক সময় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তা মানা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
যেমন সড়ক দুর্ঘটনা, অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন কারণে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যেতে হয় মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের। পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেক সময় পোশাক-পরিচ্ছদ মানানসই না-ও হতে পারে। তারপরও তাঁরা চেষ্টা করেন যাতে সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠান বা জনসমক্ষে যথাযথ মানানসই পোশাক পরেই যেতে। মিডিয়ার ক্ষেত্রেও একই চেষ্টা থাকে সবার।
মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের গণমাধ্যমে কথা বলার সময় ফরমাল (যথাযথ বা মানানসই) পোশাক পরার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পাশাপাশি অনুষ্ঠানে যোগদান এবং জনসমক্ষে চলাফেরার সময়ও যথাযথ পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সম্প্রতি বিভাগীয় কমিশনার সমন্বয় সভায় এই নির্দেশনা ও পরামর্শ দেন। একাধিক বিভাগীয় কমিশনার জানান, এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) অবহিত করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির কারণে মাঠ প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বিশেষ করে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে কথা বলছেন।
সাক্ষাৎকারসহ নানা বিষয়ে সংবাদের প্রয়োজনেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেন। এমনকি সমসাময়িক বিষয়ে সরাসরিও যুক্ত হচ্ছেন কেউ কেউ। অনেক সময় তাঁরা সরাসরি অনুষ্ঠানে হাজির হচ্ছেন ইনফরমাল পোশাকে। মাঠ প্রশাসনের কেউ কেউ এমনকি টি-শার্ট ও কেডস পরেও নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন অথবা জনসমক্ষে হাজির হচ্ছেন। অনেকে এমন আচরণ করেন, যাতে সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী এসব কর্মকর্তার সামাজিক ভাবমূর্তি ও গাম্ভীর্য ক্ষুণ্ন হয়। বিষয়টি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নজরে আসার পরই পোশাক সম্পর্কে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে গত ১১ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে সে মাসের বিভাগীয় কমিশনার সমন্বয় সভায় মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পোশাক ও মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট-সম্পর্কিত আলোচনা গুরুত্ব পায়। সভায় বলা হয়, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ফরমাল পোশাক পরে মিডিয়ায় কথা বলতে হবে। কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়াসহ জনসমক্ষে চলাফেরার সময়ও যেন পোশাক-পরিচ্ছদ মানানসই থাকে। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের প্রায় প্রতিটি সভায় এ ধরনের সচেতনতামূলক নির্দেশনা দেওয়া হয়। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন। তাঁদের পোশাক, চলাফেরা ও আচার-আচরণ যেন এমন না হয়, যাতে তাঁরা নিউজের (খবরের) খোরাক হন। এ বিষয়ে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে জানিয়েছিল, বিভাগীয় প্রধানের অনুমতি ছাড়া কোনো সরকারি কর্মচারী গণমাধ্যমে কথা বলতে কিংবা অনলাইনে বক্তব্য, মতামত বা নিবন্ধ প্রকাশ করতে পারবেন না। তবে চিঠিতে উল্লেখ ছিল, বিভাগীয় কমিশনার অথবা জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যদি সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার জন্য সম্প্রচারে অংশ নেন, তাহলে বিভাগীয় প্রধানের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলা প্রশাসক জানান, সরকারি ক্যাডার কর্মকর্তারা সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠান, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কী ধরনের পোশাক পরবেন, তার নিয়মকানুন এমনিতেই বিভিন্ন প্রশিক্ষণে জানানো হয়। মিডিয়ায় কী ধরনের পোশাক পরতে হবে, কী বিষয়ে কথা বলা যাবে, কোন বিষয়ে বলা যাবে না—তা মাঠ প্রশাসনে পাঠানোর আগেই জানানো হয়। তারপরও অনেক সময় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তা মানা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
যেমন সড়ক দুর্ঘটনা, অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন কারণে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যেতে হয় মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের। পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেক সময় পোশাক-পরিচ্ছদ মানানসই না-ও হতে পারে। তারপরও তাঁরা চেষ্টা করেন যাতে সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠান বা জনসমক্ষে যথাযথ মানানসই পোশাক পরেই যেতে। মিডিয়ার ক্ষেত্রেও একই চেষ্টা থাকে সবার।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে