Ajker Patrika

সুরমায় বিলীন বসতবাড়ি

কানাইঘাট প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২১, ১২: ৫৭
সুরমায় বিলীন বসতবাড়ি

কানাইঘাট উপজেলায় সুরমা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদীপাড়ের মানুষ। দিন দিন ভাঙন বেড়েই চলেছে।

সুরমা নদী কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই নদীর নাব্য বিভিন্ন কারণে কমে যাওয়ায় ভাঙন বাড়ছে। অব্যাহত ভাঙনে ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে কয়েক গ্রামের ঘরবাড়ি, দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেকে। কেউ কেউ ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়ে গেছেন অন্য স্থানে। তবে অধিকাংশই সময়মতো ঘরবাড়ি সরাতে পারেন না। ফলে চোখের সামনেই বিলীন হয়ে যায় স্থাপনা।

প্রতিদিনই সুরমা নদীর করাল গ্রাসে পড়ে বিলীন হচ্ছে কোনো না কোনো গ্রামের ঘরবাড়ি। উপজেলার কাড়াবাল্লা থেকে রাজাগঞ্জ পর্যন্ত নদীপাড়ের বাসিন্দাদের ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটে। কখন যে ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যায় সে আশঙ্কায় রাতে তাঁদের ঘুম আসে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কাড়াবাল্লা, নারাইনপুর, উজান বারাপৈত, চরিপাড়া, ডালাইচর, গৌরিপুর, কুওরঘড়ি, , সুতারগ্রাম, গোসাইনপুর, সোনাপুর, বীরদল বাজার, ছোটদেশ বাজার, বড়দেশ বাজার, কায়স্তগ্রাম, বাউরভাগ, উজানীপাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামের শত শত মানুষ সুরমা নদী ভাঙনের শিকার হয়েছেন। এ সব গ্রামের হাজার হাজার ঘরবাড়ি, বাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

কানাইঘাট উপজেলার দক্ষিণ বানীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ বলেন, ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার লোকজনের ভিটাবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাস্তা সুরমায় বিলীন হয়ে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জী বলেন, সুরমা নদী ভাঙনরোধে ডাইক মেরামত ও নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া বন্যার সময়ে কোনো জায়গায় ভাঙন দেখা দিলে জরুরি মেরামত করা হয়। তা ছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী ভাঙন রোধে কাজ করে।

কানাইঘাট-জকিগঞ্জ আসনের সাংসদ হাফিজ আহমদ মজুমদার বলেন, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ভাঙন রোধ ও ডাইক মেরামতের জন্য ইতিমধ্যে একটি বৃহৎ প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেই সুরমা ও কুশিয়ারার ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত