দাকোপ প্রতিনিধি
দাকোপ উপজেলা পরিষদের স্টাফ কোয়ার্টারের ভবনগুলো দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। এ ভবনগুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বসবাস করছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এখানে বসবাসরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বলছেন, শিগগিরই ভবনগুলো সংস্কার করা না হলে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এ অবস্থায় কোয়ার্টারের ভবনগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা ।
উপজেলা এলজিইডি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৬ সালে দাকোপ উপজেলা পরিষদে কর্মরত কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বসবাসের জন্য কোয়ার্টারটি নির্মাণ করা হয়। এখানে বিবাহিত ও অবিবাহিতদের জন্য ৭টি ভবন রয়েছে।
সরেজমিনে স্টাফ কোয়ার্টারের বিভিন্ন ভবনে দেখা গেছে, এখানে বিবাহিত ও অবিবাহিতদের জন্য ৭টি ভবন রয়েছে। ভবনগুলোর প্রতিটির অবস্থা খুব খারাপ। অধিকাংশ ভবনের ছাদ ফেটে গেছে। পলেস্তারা খসে পড়ছে। জানালা ও দরজাগুলোর বেশির ভাগই ভেঙে গেছে। আবার অনেকগুলো ঠিকমতো লাগানো যায় না। এরপরও এসব পুরোনো জরাজীর্ণ ভবনগুলোতে ঝুঁকি নিয়ে পরিবার পরিজনের সঙ্গে বসবাস করছেন উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা।
আরও দেখা গেছে, অনেক আগে তৈরি হওয়ায় সড়ক থেকে ভবনগুলোর মেঝে তুলনামূলক অনেক নিচু। একটু বৃষ্টি হলেই নিচতলায় পানি জমে যায় এবং ভবনের ছাদ দিয়ে পানি পড়ে।
কথা হয় কোয়ার্টারের অবিবাহিতদের ভবনে বসবাস করা এলজিইডি কার্যালয়ের জাহিদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এই ভবনে আমরা ৮ জন থাকি। ভবনের ছাদ ফেটে গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। দেয়ালের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। সব মিলিয়ে অনেক কষ্ট করে এখানে থাকছি।’ ভবনটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
কোয়ার্টারে বসবাসরত রুহল আমিন বলেন, ‘আমি উপজেলার কোয়াটারে ৬ বছর ধরে বসবাস করে আসছি। নিচতলায় থাকি। কোয়ার্টারের মেঝে সড়কের চেয়ে নিচু হয়ে গেছে। ফলে বর্ষাকালে ঘরে প্রবেশের রাস্তায় পানি জমে যায়। আমি কোনোমতে ইট দিয়ে উঁচু করে নিয়েছি। তা ছাড়া বৃষ্টি হলে অনেক সময় ঘরের ভেতরেও পানি ঢুকে যায়। তা ছাড়া ভবনের দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে।’
একাধিক কর্মচারী-কর্মকর্তা জানান, অনেক সময় এমনও হয়েছে যে ছাদ চুইয়ে আসা বৃষ্টির পানিতে তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। আবার অনেক সময় জানালা-দরজা লাগানোর সময় সেগুলো ভেঙে পড়েছে। সারাক্ষণ চুরি হওয়ার আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁদের।
কোয়ার্টারে বসবাস করা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড় বলেন, কোয়ার্টারগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় অত্যন্ত জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। তারপরও বাইরে বাসা ভাড়া অনেক বেশি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানেই বাস করছি।’
গৌরপদ বাছাড় আরও বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই আমি কোয়ার্টারের বসবাসের অনুপযোগী ভবনগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছি। এ নিয়ে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় বারবার কথা বলেছি। এমনকি নিজেও কয়েক হাজার টাকা খরচ করে আমাদের ভবনটি সংস্কার করেছি।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান বলেন, কোয়ার্টারের ভবনগুলোর অবস্থা এতই খারাপ যে এগুলোতে বসবাসের পরিবেশ নেই বললেই চলে। আগেও ভবনগুলো সংস্কারের বিষয়ে মাসিক সভায় আলোচনা হয়েছে। আবারও আলোচনা করে নতুন ভবন চেয়ে মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠানো হবে।’
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ননী গোপাল দাস বলেন, ‘এখানে যাঁরা বসবাস করছেন, তাঁরা অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বর্তমানে কোয়ার্টারের ভবনগুলোর অবস্থা এতই শোচনীয় যে সেগুলো সংস্কারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পুরোনো এ ভবনগুলো ভেঙে ফেলে নতুন ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন।’
দাকোপ উপজেলা পরিষদের স্টাফ কোয়ার্টারের ভবনগুলো দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। এ ভবনগুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বসবাস করছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এখানে বসবাসরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বলছেন, শিগগিরই ভবনগুলো সংস্কার করা না হলে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এ অবস্থায় কোয়ার্টারের ভবনগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা ।
উপজেলা এলজিইডি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৬ সালে দাকোপ উপজেলা পরিষদে কর্মরত কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বসবাসের জন্য কোয়ার্টারটি নির্মাণ করা হয়। এখানে বিবাহিত ও অবিবাহিতদের জন্য ৭টি ভবন রয়েছে।
সরেজমিনে স্টাফ কোয়ার্টারের বিভিন্ন ভবনে দেখা গেছে, এখানে বিবাহিত ও অবিবাহিতদের জন্য ৭টি ভবন রয়েছে। ভবনগুলোর প্রতিটির অবস্থা খুব খারাপ। অধিকাংশ ভবনের ছাদ ফেটে গেছে। পলেস্তারা খসে পড়ছে। জানালা ও দরজাগুলোর বেশির ভাগই ভেঙে গেছে। আবার অনেকগুলো ঠিকমতো লাগানো যায় না। এরপরও এসব পুরোনো জরাজীর্ণ ভবনগুলোতে ঝুঁকি নিয়ে পরিবার পরিজনের সঙ্গে বসবাস করছেন উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা।
আরও দেখা গেছে, অনেক আগে তৈরি হওয়ায় সড়ক থেকে ভবনগুলোর মেঝে তুলনামূলক অনেক নিচু। একটু বৃষ্টি হলেই নিচতলায় পানি জমে যায় এবং ভবনের ছাদ দিয়ে পানি পড়ে।
কথা হয় কোয়ার্টারের অবিবাহিতদের ভবনে বসবাস করা এলজিইডি কার্যালয়ের জাহিদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এই ভবনে আমরা ৮ জন থাকি। ভবনের ছাদ ফেটে গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। দেয়ালের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। সব মিলিয়ে অনেক কষ্ট করে এখানে থাকছি।’ ভবনটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
কোয়ার্টারে বসবাসরত রুহল আমিন বলেন, ‘আমি উপজেলার কোয়াটারে ৬ বছর ধরে বসবাস করে আসছি। নিচতলায় থাকি। কোয়ার্টারের মেঝে সড়কের চেয়ে নিচু হয়ে গেছে। ফলে বর্ষাকালে ঘরে প্রবেশের রাস্তায় পানি জমে যায়। আমি কোনোমতে ইট দিয়ে উঁচু করে নিয়েছি। তা ছাড়া বৃষ্টি হলে অনেক সময় ঘরের ভেতরেও পানি ঢুকে যায়। তা ছাড়া ভবনের দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে।’
একাধিক কর্মচারী-কর্মকর্তা জানান, অনেক সময় এমনও হয়েছে যে ছাদ চুইয়ে আসা বৃষ্টির পানিতে তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। আবার অনেক সময় জানালা-দরজা লাগানোর সময় সেগুলো ভেঙে পড়েছে। সারাক্ষণ চুরি হওয়ার আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁদের।
কোয়ার্টারে বসবাস করা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড় বলেন, কোয়ার্টারগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় অত্যন্ত জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। তারপরও বাইরে বাসা ভাড়া অনেক বেশি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানেই বাস করছি।’
গৌরপদ বাছাড় আরও বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই আমি কোয়ার্টারের বসবাসের অনুপযোগী ভবনগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছি। এ নিয়ে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় বারবার কথা বলেছি। এমনকি নিজেও কয়েক হাজার টাকা খরচ করে আমাদের ভবনটি সংস্কার করেছি।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান বলেন, কোয়ার্টারের ভবনগুলোর অবস্থা এতই খারাপ যে এগুলোতে বসবাসের পরিবেশ নেই বললেই চলে। আগেও ভবনগুলো সংস্কারের বিষয়ে মাসিক সভায় আলোচনা হয়েছে। আবারও আলোচনা করে নতুন ভবন চেয়ে মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠানো হবে।’
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ননী গোপাল দাস বলেন, ‘এখানে যাঁরা বসবাস করছেন, তাঁরা অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বর্তমানে কোয়ার্টারের ভবনগুলোর অবস্থা এতই শোচনীয় যে সেগুলো সংস্কারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পুরোনো এ ভবনগুলো ভেঙে ফেলে নতুন ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে