প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে টিকাকেন্দ্রে টিকা দেওয়ার সময় অব্যবস্থাপনার অভিযোগে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে সাতক্ষীরার একজন সাংবাদিককে আটক করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে মারপিট এবং কেন্দ্রে ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙা হাইস্কুল অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার এক ঘণ্টা পর পুলিশ দৈনিক মানবজমিনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ইয়ারব হোসেনকে তুজলপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত বলেন, তিনি খবরটি শুনেছেন। টীকা কেন্দ্রের এই ঘটনার পর বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছিল। তবে তাঁকে আটকের বিষয় সম্পর্কে তাঁর কিছু জানা নেই। তিনি আরও বলেন, ‘একটি টিকা ৫ জনকে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এটা কোনো অব্যবস্থাপনা নয়।’

সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বাবুল আক্তার জানান, ঝাউডাঙা অস্থায়ী টিকা কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে টিকাদান কার্যক্রম চলছিল। এ সময় সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন সেখানে গিয়ে একই টীকা ৫ জনের দেহে পুশ করার ঘটনায় আপত্তি করেন। এ নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়। তিনি স্বাস্থ্যকর্মী মনিরুল ইসলামকে একটি চড় মারেন এবং ভাঙচুর করেন। এই অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানায় ইয়ারব হোসেনকে আসামি করে স্বাস্থ্যকর্মী মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।

সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন জানান, ‘ঝাউডাঙা হাইস্কুল কেন্দ্রে টীকা দেওয়া নিয়ে অব্যবস্থাপনার খবর পাই। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে গেলে স্বাস্থ্যকর্মী মনিরুল ইসলাম আমাকে হুমকি দিয়ে দেন। ভিড়ের ধাক্কাধাক্কিতে সে আমার গায়ে হাত তুললে আমিও পাল্টা একটি চড় বসিয়ে দেই। তবে কোনো ভাঙচুরের ঘটনা সেখানে ঘটেনি।’

তিনি জানান, এই বিষয়টিকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে মামলা করে পুলিশ আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসেছে।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. হ‌ুমায়ূন কবির বলেন, টিকাকেন্দ্রে হাঙ্গামা করাটা দুঃখজনক। স্বাস্থ্য বিভাগকে বিষয়টি সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছি।