ফারুক মেহেদী, ঢাকা
নিজস্ব প্রধান কার্যালয় ভবন বানাতে গিয়ে পদে পদে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। প্রশিক্ষণকেন্দ্রের নামে রাজউক থেকে বরাদ্দ নেওয়া প্লটে ইজারার শর্ত ভেঙে ওই ভবন নির্মাণপ্রক্রিয়া নিয়ে ‘গৃহবিবাদ’ এখন চরমে। তহবিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকা সত্ত্বেও ৮৫ কোটি টাকায় ভবন বানানোর তোড়জোড় চলছে। প্রথমে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৬ কোটি টাকা। পরে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় তা বাড়ানো হয়। সংশ্লিষ্ট কমিটিকে এড়িয়ে ব্যক্তিগত পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। ভবনের অংশবিশেষ বিক্রি করে তহবিল জোগাড় করার উদ্যোগের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এসব নিয়ে রিহ্যাবের পরিচালনা পর্ষদই দ্বিধাবিভক্ত এবং মুখোমুখি অবস্থানে। অনিয়মের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে এরই মধ্যে পদত্যাগও করেছেন ভবন নির্মাণ কমিটির চারজন সদস্য। রিহ্যাবের প্রায় ১ হাজার সাধারণ সদস্যও জড়িয়েছেন দ্বন্দ্বে। নথিপত্র ঘেঁটে এবং বেশ কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, অনিয়ম করে ভবন বানানোর বিপক্ষে রিহ্যাবের সাধারণ সদস্যরাও। রিহ্যাবের বর্তমান পর্ষদের ৯ জন এবং সাবেক ২ পরিচালকসহ শতাধিক সাধারণ সদস্য ৬ অক্টোবর বনানীতে বৈঠকও করেছেন বিষয়টি নিয়ে।
রিহ্যাব সূত্রে জানা গেছে, উত্তরায় ‘রিহ্যাব ট্রেনিং সেন্টার’ বানাতে রাজউক থেকে ২৪ কাঠা জমি বরাদ্দ পায় সংগঠনটি। বৈধতা নিয়ে প্রশ্নের মধ্যেও সেই জায়গায় ১৩ তলাবিশিষ্ট প্রধান কার্যালয় নির্মাণের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে রিহ্যাব। ২০১৪ সালের ১৭ জুন জারি করা রাজউকের এস্টেট-২ শাখার নির্দেশনায় বলা হয়, প্লটের দখল বুঝে পাওয়ার চার বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠান চালু করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে চালু করতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হবে। প্রতিষ্ঠান চালুর ১০ বছরের মধ্যে স্থাপনার কোনো অংশ অন্য কাউকে হস্তান্তর কিংবা প্লট বিক্রি করা যাবে না। নির্দেশনায় আরও বলা হয়, যে উদ্দেশ্যে প্লটটি দেওয়া হয়েছে, কেবল সে কাজেই ব্যবহার করা যাবে। অন্যথায় নির্মাণের পরও ইজারা বাতিল হবে এবং স্থাপনাটি রাজউকের দখলে চলে যাবে।
রিহ্যাবের কয়েকজন পরিচালক জানান, প্রশিক্ষণকেন্দ্রের নামে বরাদ্দ প্লটে রিহ্যাব প্রধান কার্যালয় ভবন নির্মাণের পদক্ষেপ রাজউকের নির্দেশনার সুস্পষ্ট বরখেলাপ। ভবনের অংশবিশেষ বিক্রি করাটাও হবে শর্তের লঙ্ঘন।
রিহ্যাবের পর্ষদ পরিচালক প্রকৌশলী আল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় ৩০ বছর ধরে এ ব্যবসায় আছি। রিহ্যাবে এখন কিছুই নিয়মতান্ত্রিকভাবে হচ্ছে না। পর্ষদে আলোচনা হয় এক আর সিদ্ধান্ত দেখানো হয় আরেক। বেশির ভাগ কমিটিতে ঘুরেফিরে দুই-তিনজনই থাকছেন। তাঁরাই সব নিয়ন্ত্রণ করছেন।’
বিষয়টি নিয়ে রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন এবং ভবন নির্মাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সোহেল রানাকে কয়েক দিন দফায় দফায় ফোন করা এবং খুদে বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ব্যয় বৃদ্ধি
রিহ্যাব সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক হিসাবে নির্মাণ খরচ ৪৫ কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা ধরা হলেও আকস্মিকভাবে তা প্রায় ৮৫ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। অথচ রিহ্যাবের তহবিলে এখন আছে ২০ কোটি টাকা। প্রশিক্ষণকেন্দ্রের জায়গায় কার্যালয় নির্মাণে এ টাকা খরচ করা যাবে কি না, তার সুরাহা হয়নি। টাকার সংস্থান না করেই কাজ দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়েই রিহ্যাব ভাঙনের মুখে। নথি থেকে জানা যায়, চারটি ফ্লোর বিক্রি করে পাওয়া যাবে ৪৩ কোটি ৩৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। তহবিলের টাকা খরচের বৈধতা নিয়ে প্রশ্নের সুরাহা না করেই বাকি টাকা জোগাড় করতে নিয়মবহির্ভূতভাবে অংশবিশেষ বিক্রির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সূত্রমতে, সাতজন পরিচালক রিহ্যাব সভাপতিকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, ভবন নির্মাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সোহেল রানা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে সদস্যদের মতামত অগ্রাহ্য করে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণকাজ দেওয়ার আয়োজন করছেন এবং কমিটির সদস্যদের হুমকি দিচ্ছেন। তিনি আলোচনা ছাড়াই সভার সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন।
রিহ্যাব পর্ষদের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রিহ্যাবের ভবন নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল নেই। অস্বচ্ছ দরপত্র প্রক্রিয়ায় পছন্দের লোককে কাজ দিয়ে ১৫-২০ কোটি টাকার অবৈধ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা চলছে। মূলত কমিটির দু-তিনজন এটি করতে চাইছে। এ নিয়েই পর্ষদে অসন্তোষ। কারণ, নির্মাণ খরচ ৮৫ কোটি টাকা হতেই পারে না, বড়জোর ৫০ কোটি হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এক হাজার সদস্যের টাকা এমন অস্বচ্ছভাবে খরচ করা সম্ভব নয়। আমরা বাধা দিয়েছি। এখন যা করছে, এটা অবৈধ এবং বেআইনি।’
পর্ষদ পরিচালক প্রকৌশলী এন এম নুর কুতুবুল আলম জহির বলেন, ‘স্ট্যান্ডিং কমিটির ৯ সদস্যের অধিকাংশই নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে চান। অথচ অনেক কিছুই আমাদের কাছে লুকানো হচ্ছে। কমিটির সদস্য হিসেবে ভবনের সম্ভাব্য খরচ, দরপত্র ইত্যাদি আমাদের জানার কথা থাকলেও জানানো হয়নি। কমিটির চেয়ারম্যান নিজের মতো শিডিউল বানিয়ে দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাইছেন। এ ব্যাপারে আমরা বোর্ডের সভাপতিকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমরা দেখছি, তহবিলের ব্যবস্থা নেই। যে ২০ কোটি টাকা রয়েছে, এটিও সাধারণ সদস্যদের আমানত। ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের জন্য স্থানান্তর করতে হলেও এজিএমের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
পদত্যাগ, হাতাহাতি
জানা যায়, তহবিলের টাকা খরচের স্বচ্ছতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে পর্ষদের একাংশ। অস্বচ্ছতার অভিযোগে এরই মধ্যে পদত্যাগ করেছেন ভবন নির্মাণসংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চার সদস্য। অনিয়মের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রিহ্যাব সভাপতিকে চিঠি দেন কয়েকজন পরিচালক। তাতে প্রশিক্ষণকেন্দ্রের জায়গায় রিহ্যাব ভবন না বানানো, সাধারণ সদস্যদের টাকা তাঁদের মতামত ছাড়া খরচ না করা, দরপত্র প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার বিষয়টি স্পষ্ট করাসহ বেশ কিছু দাবি জানানো হয়। এর আগে অস্বচ্ছ দরপত্র প্রক্রিয়াসহ বেশ কিছু অভিযোগের কারণে ভবন নির্মাণ কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন প্রকৌশলী এম রুহুল আমিন, কামরুল হাসানসহ চার সদস্য।
জানা যায়, সম্প্রতি এক বোর্ডসভায় সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল ও কামাল মাহমুদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে পরিচালকেরা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন।
পর্ষদ পরিচালক প্রকৌশলী আল আমিন বলেন, ‘সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল ও কামাল মাহমুদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এটা রিহ্যাবের মতো বোর্ডে আশা করা যায় না।’
নিজস্ব প্রধান কার্যালয় ভবন বানাতে গিয়ে পদে পদে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। প্রশিক্ষণকেন্দ্রের নামে রাজউক থেকে বরাদ্দ নেওয়া প্লটে ইজারার শর্ত ভেঙে ওই ভবন নির্মাণপ্রক্রিয়া নিয়ে ‘গৃহবিবাদ’ এখন চরমে। তহবিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকা সত্ত্বেও ৮৫ কোটি টাকায় ভবন বানানোর তোড়জোড় চলছে। প্রথমে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৬ কোটি টাকা। পরে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় তা বাড়ানো হয়। সংশ্লিষ্ট কমিটিকে এড়িয়ে ব্যক্তিগত পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। ভবনের অংশবিশেষ বিক্রি করে তহবিল জোগাড় করার উদ্যোগের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এসব নিয়ে রিহ্যাবের পরিচালনা পর্ষদই দ্বিধাবিভক্ত এবং মুখোমুখি অবস্থানে। অনিয়মের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে এরই মধ্যে পদত্যাগও করেছেন ভবন নির্মাণ কমিটির চারজন সদস্য। রিহ্যাবের প্রায় ১ হাজার সাধারণ সদস্যও জড়িয়েছেন দ্বন্দ্বে। নথিপত্র ঘেঁটে এবং বেশ কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, অনিয়ম করে ভবন বানানোর বিপক্ষে রিহ্যাবের সাধারণ সদস্যরাও। রিহ্যাবের বর্তমান পর্ষদের ৯ জন এবং সাবেক ২ পরিচালকসহ শতাধিক সাধারণ সদস্য ৬ অক্টোবর বনানীতে বৈঠকও করেছেন বিষয়টি নিয়ে।
রিহ্যাব সূত্রে জানা গেছে, উত্তরায় ‘রিহ্যাব ট্রেনিং সেন্টার’ বানাতে রাজউক থেকে ২৪ কাঠা জমি বরাদ্দ পায় সংগঠনটি। বৈধতা নিয়ে প্রশ্নের মধ্যেও সেই জায়গায় ১৩ তলাবিশিষ্ট প্রধান কার্যালয় নির্মাণের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে রিহ্যাব। ২০১৪ সালের ১৭ জুন জারি করা রাজউকের এস্টেট-২ শাখার নির্দেশনায় বলা হয়, প্লটের দখল বুঝে পাওয়ার চার বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠান চালু করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে চালু করতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হবে। প্রতিষ্ঠান চালুর ১০ বছরের মধ্যে স্থাপনার কোনো অংশ অন্য কাউকে হস্তান্তর কিংবা প্লট বিক্রি করা যাবে না। নির্দেশনায় আরও বলা হয়, যে উদ্দেশ্যে প্লটটি দেওয়া হয়েছে, কেবল সে কাজেই ব্যবহার করা যাবে। অন্যথায় নির্মাণের পরও ইজারা বাতিল হবে এবং স্থাপনাটি রাজউকের দখলে চলে যাবে।
রিহ্যাবের কয়েকজন পরিচালক জানান, প্রশিক্ষণকেন্দ্রের নামে বরাদ্দ প্লটে রিহ্যাব প্রধান কার্যালয় ভবন নির্মাণের পদক্ষেপ রাজউকের নির্দেশনার সুস্পষ্ট বরখেলাপ। ভবনের অংশবিশেষ বিক্রি করাটাও হবে শর্তের লঙ্ঘন।
রিহ্যাবের পর্ষদ পরিচালক প্রকৌশলী আল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় ৩০ বছর ধরে এ ব্যবসায় আছি। রিহ্যাবে এখন কিছুই নিয়মতান্ত্রিকভাবে হচ্ছে না। পর্ষদে আলোচনা হয় এক আর সিদ্ধান্ত দেখানো হয় আরেক। বেশির ভাগ কমিটিতে ঘুরেফিরে দুই-তিনজনই থাকছেন। তাঁরাই সব নিয়ন্ত্রণ করছেন।’
বিষয়টি নিয়ে রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন এবং ভবন নির্মাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সোহেল রানাকে কয়েক দিন দফায় দফায় ফোন করা এবং খুদে বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ব্যয় বৃদ্ধি
রিহ্যাব সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক হিসাবে নির্মাণ খরচ ৪৫ কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা ধরা হলেও আকস্মিকভাবে তা প্রায় ৮৫ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। অথচ রিহ্যাবের তহবিলে এখন আছে ২০ কোটি টাকা। প্রশিক্ষণকেন্দ্রের জায়গায় কার্যালয় নির্মাণে এ টাকা খরচ করা যাবে কি না, তার সুরাহা হয়নি। টাকার সংস্থান না করেই কাজ দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়েই রিহ্যাব ভাঙনের মুখে। নথি থেকে জানা যায়, চারটি ফ্লোর বিক্রি করে পাওয়া যাবে ৪৩ কোটি ৩৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। তহবিলের টাকা খরচের বৈধতা নিয়ে প্রশ্নের সুরাহা না করেই বাকি টাকা জোগাড় করতে নিয়মবহির্ভূতভাবে অংশবিশেষ বিক্রির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সূত্রমতে, সাতজন পরিচালক রিহ্যাব সভাপতিকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, ভবন নির্মাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সোহেল রানা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে সদস্যদের মতামত অগ্রাহ্য করে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণকাজ দেওয়ার আয়োজন করছেন এবং কমিটির সদস্যদের হুমকি দিচ্ছেন। তিনি আলোচনা ছাড়াই সভার সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন।
রিহ্যাব পর্ষদের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রিহ্যাবের ভবন নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল নেই। অস্বচ্ছ দরপত্র প্রক্রিয়ায় পছন্দের লোককে কাজ দিয়ে ১৫-২০ কোটি টাকার অবৈধ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা চলছে। মূলত কমিটির দু-তিনজন এটি করতে চাইছে। এ নিয়েই পর্ষদে অসন্তোষ। কারণ, নির্মাণ খরচ ৮৫ কোটি টাকা হতেই পারে না, বড়জোর ৫০ কোটি হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এক হাজার সদস্যের টাকা এমন অস্বচ্ছভাবে খরচ করা সম্ভব নয়। আমরা বাধা দিয়েছি। এখন যা করছে, এটা অবৈধ এবং বেআইনি।’
পর্ষদ পরিচালক প্রকৌশলী এন এম নুর কুতুবুল আলম জহির বলেন, ‘স্ট্যান্ডিং কমিটির ৯ সদস্যের অধিকাংশই নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে চান। অথচ অনেক কিছুই আমাদের কাছে লুকানো হচ্ছে। কমিটির সদস্য হিসেবে ভবনের সম্ভাব্য খরচ, দরপত্র ইত্যাদি আমাদের জানার কথা থাকলেও জানানো হয়নি। কমিটির চেয়ারম্যান নিজের মতো শিডিউল বানিয়ে দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাইছেন। এ ব্যাপারে আমরা বোর্ডের সভাপতিকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমরা দেখছি, তহবিলের ব্যবস্থা নেই। যে ২০ কোটি টাকা রয়েছে, এটিও সাধারণ সদস্যদের আমানত। ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের জন্য স্থানান্তর করতে হলেও এজিএমের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
পদত্যাগ, হাতাহাতি
জানা যায়, তহবিলের টাকা খরচের স্বচ্ছতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে পর্ষদের একাংশ। অস্বচ্ছতার অভিযোগে এরই মধ্যে পদত্যাগ করেছেন ভবন নির্মাণসংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চার সদস্য। অনিয়মের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রিহ্যাব সভাপতিকে চিঠি দেন কয়েকজন পরিচালক। তাতে প্রশিক্ষণকেন্দ্রের জায়গায় রিহ্যাব ভবন না বানানো, সাধারণ সদস্যদের টাকা তাঁদের মতামত ছাড়া খরচ না করা, দরপত্র প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার বিষয়টি স্পষ্ট করাসহ বেশ কিছু দাবি জানানো হয়। এর আগে অস্বচ্ছ দরপত্র প্রক্রিয়াসহ বেশ কিছু অভিযোগের কারণে ভবন নির্মাণ কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন প্রকৌশলী এম রুহুল আমিন, কামরুল হাসানসহ চার সদস্য।
জানা যায়, সম্প্রতি এক বোর্ডসভায় সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল ও কামাল মাহমুদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে পরিচালকেরা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন।
পর্ষদ পরিচালক প্রকৌশলী আল আমিন বলেন, ‘সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল ও কামাল মাহমুদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এটা রিহ্যাবের মতো বোর্ডে আশা করা যায় না।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে