রাজবাড়ী প্রতিনিধি
‘আমার বাচ্চার কী হবে? সে কি সারা দিন ঘুরে বেড়াবে না স্কুলে যাবে? বাচ্চার বন্ধুরা স্কুলে গিয়ে ক্লাস করছে আর ও টো টো করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ৪০০ থেকে ৫০০ ছাত্রছাত্রীর বিপরীতে একটা স্কুলে ২০০ আসন দেয় কীভাবে? স্কুলগুলোয় ঘুরতে ঘুরতে জীবন শেষ। সরকার যদি আসন দিতে না পারে তাহলে স্কুল বন্ধ করে দিক।’ কথাগুলো বলছিলেন রাজবাড়ী শহরের বিনোদপুরের বাসিন্দা মলি রায়। তিনি ছেলে ইশানকে শহরের কোনো বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে এখনো ভর্তি করাতে পারেননি। সবখানে বলছে, আসন পূর্ণ হয়ে গেছে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, বিদ্যালয়গুলোয় এবার ষষ্ঠ শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে নির্দিষ্টসংখ্যক শিশুকে ভর্তি করা হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন লটারিতে বাদ পড়া বাচ্চাদের অভিভাবকেরা। তাঁরা সন্তানদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে দিতে পারছেন না। যদিও গ্রামের দিকের বিদ্যালয়ে আসন খালি আছে কিন্তু সেখানে শিশুদের দিতে চাচ্ছেন না শহরের লোকজন। শিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এখনো প্রায় দেড় হাজার শিশু ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারেনি।
বিনোদপুরের আরেক বাসিন্দা রাকিব বলেন, ‘ছোট ভাইকে নিয়ে স্কুলে স্কুলে ঘুরে স্যান্ডেল ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে, তবু ভর্তি করতে পারছি না। আমরা শহরে বাস করি। গ্রামে ভর্তি করালে পরিবেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না। এ জন্য সরকারের কাছে দাবি, আমাদের বাচ্চাদের ভর্তির জন্য যেন একটু দৃষ্টি দেয়।’
আরেক অভিভাবক প্রতিমা রাণী ঘোষ বলেন, ‘খুবই চিন্তায় আছি ছেলেমেয়েদের নিয়ে। এখনো কোনো স্কুলে তাদের ভর্তি করাতে পারি নাই। ওদের বন্ধুরা ভর্তি হয়ে স্কুলে যায়, আর আমাদের বাচ্চারা তা দেখে মন খারাপ করে বসে থাকে। কয়েক দিন আগে এক স্কুল থেকে বলছে প্রয়োজনে গ্রামের স্কুলে ভর্তি করাতে। এটা কী সম্ভব? আমি থাকি শহরে, শহর থেকে গ্রামের একটি স্কুলের দূরত্ব ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার। এখন তো ভর্তি নিয়ে মহাবিপদ আছি। এর সমাধান কী?’
এ নিয়ে কথা হলে শহরের ইয়াছিন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ৮০০ আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ২২০ জনকে ভর্তি করাতে পারবেন। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি শাখায় ৫৫ জনের বেশি ভর্তি করানো যাবে না। এটা অভিভাবকদের জানানোর পরও তাঁরা আসছেন।
যোগাযোগ করা হলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের ভর্তি করাতে পারছে না, বিষয়টি সত্য নয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের বাইরে আমাদের করণীয় কিছু নেই। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি স্কুলে ২২০ জনের বেশি ভর্তি করানো যাবে না। যেহেতু শহরের স্কুলগুলোয় আসন পূর্ণ হয়ে গেছে, সে ক্ষেত্রে তাঁরা গ্রামের স্কুলে ভর্তি করাতে পারবেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, শহরের মানুষ গ্রামের স্কুলে ভর্তি করাতে চাচ্ছেন না। যে কারণে বলছেন ভর্তি করাতে পারছেন না।’
জেলায় কত ছাত্রছাত্রী পঞ্চম শ্রেণি পাস করেছে এবং এখন পর্যন্ত কতজন ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে এই প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট তথ্য না দিয়ে এই কর্মকর্তা জানান, এখনো ১ হাজার ৫০০ ছাত্রছাত্রীর ভর্তি বাকি আছে। যারা এখনো ভর্তি হতে পারেনি তাদের জন্য পরামর্শ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা একটু দূরে গিয়ে হলেও যেন ভর্তি হয়ে যায়। এটা ছাড়া করণীয় কিছু নেই।’
জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, ‘অভিভাবকেরা সন্তানকে খালি থাকা আসনের স্কুলগুলোয় ভর্তি করাতে চাচ্ছে না। তাঁরা ভর্তি করাতে চাচ্ছে পৌরসভার মধ্যের স্কুলে। এ কারণে সমস্যা তৈরি হয়েছে। আগে যেমন নির্দিষ্টসংখ্যক আসনের বিপরীতে বেশি ভর্তির সুযোগ ছিল, এবার তা নেই। ৫৫ জনের বেশি ভর্তি করার সুযোগ নেই।’
‘আমার বাচ্চার কী হবে? সে কি সারা দিন ঘুরে বেড়াবে না স্কুলে যাবে? বাচ্চার বন্ধুরা স্কুলে গিয়ে ক্লাস করছে আর ও টো টো করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ৪০০ থেকে ৫০০ ছাত্রছাত্রীর বিপরীতে একটা স্কুলে ২০০ আসন দেয় কীভাবে? স্কুলগুলোয় ঘুরতে ঘুরতে জীবন শেষ। সরকার যদি আসন দিতে না পারে তাহলে স্কুল বন্ধ করে দিক।’ কথাগুলো বলছিলেন রাজবাড়ী শহরের বিনোদপুরের বাসিন্দা মলি রায়। তিনি ছেলে ইশানকে শহরের কোনো বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে এখনো ভর্তি করাতে পারেননি। সবখানে বলছে, আসন পূর্ণ হয়ে গেছে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, বিদ্যালয়গুলোয় এবার ষষ্ঠ শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে নির্দিষ্টসংখ্যক শিশুকে ভর্তি করা হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন লটারিতে বাদ পড়া বাচ্চাদের অভিভাবকেরা। তাঁরা সন্তানদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে দিতে পারছেন না। যদিও গ্রামের দিকের বিদ্যালয়ে আসন খালি আছে কিন্তু সেখানে শিশুদের দিতে চাচ্ছেন না শহরের লোকজন। শিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এখনো প্রায় দেড় হাজার শিশু ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারেনি।
বিনোদপুরের আরেক বাসিন্দা রাকিব বলেন, ‘ছোট ভাইকে নিয়ে স্কুলে স্কুলে ঘুরে স্যান্ডেল ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে, তবু ভর্তি করতে পারছি না। আমরা শহরে বাস করি। গ্রামে ভর্তি করালে পরিবেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না। এ জন্য সরকারের কাছে দাবি, আমাদের বাচ্চাদের ভর্তির জন্য যেন একটু দৃষ্টি দেয়।’
আরেক অভিভাবক প্রতিমা রাণী ঘোষ বলেন, ‘খুবই চিন্তায় আছি ছেলেমেয়েদের নিয়ে। এখনো কোনো স্কুলে তাদের ভর্তি করাতে পারি নাই। ওদের বন্ধুরা ভর্তি হয়ে স্কুলে যায়, আর আমাদের বাচ্চারা তা দেখে মন খারাপ করে বসে থাকে। কয়েক দিন আগে এক স্কুল থেকে বলছে প্রয়োজনে গ্রামের স্কুলে ভর্তি করাতে। এটা কী সম্ভব? আমি থাকি শহরে, শহর থেকে গ্রামের একটি স্কুলের দূরত্ব ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার। এখন তো ভর্তি নিয়ে মহাবিপদ আছি। এর সমাধান কী?’
এ নিয়ে কথা হলে শহরের ইয়াছিন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ৮০০ আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ২২০ জনকে ভর্তি করাতে পারবেন। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি শাখায় ৫৫ জনের বেশি ভর্তি করানো যাবে না। এটা অভিভাবকদের জানানোর পরও তাঁরা আসছেন।
যোগাযোগ করা হলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের ভর্তি করাতে পারছে না, বিষয়টি সত্য নয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের বাইরে আমাদের করণীয় কিছু নেই। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি স্কুলে ২২০ জনের বেশি ভর্তি করানো যাবে না। যেহেতু শহরের স্কুলগুলোয় আসন পূর্ণ হয়ে গেছে, সে ক্ষেত্রে তাঁরা গ্রামের স্কুলে ভর্তি করাতে পারবেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, শহরের মানুষ গ্রামের স্কুলে ভর্তি করাতে চাচ্ছেন না। যে কারণে বলছেন ভর্তি করাতে পারছেন না।’
জেলায় কত ছাত্রছাত্রী পঞ্চম শ্রেণি পাস করেছে এবং এখন পর্যন্ত কতজন ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে এই প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট তথ্য না দিয়ে এই কর্মকর্তা জানান, এখনো ১ হাজার ৫০০ ছাত্রছাত্রীর ভর্তি বাকি আছে। যারা এখনো ভর্তি হতে পারেনি তাদের জন্য পরামর্শ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা একটু দূরে গিয়ে হলেও যেন ভর্তি হয়ে যায়। এটা ছাড়া করণীয় কিছু নেই।’
জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, ‘অভিভাবকেরা সন্তানকে খালি থাকা আসনের স্কুলগুলোয় ভর্তি করাতে চাচ্ছে না। তাঁরা ভর্তি করাতে চাচ্ছে পৌরসভার মধ্যের স্কুলে। এ কারণে সমস্যা তৈরি হয়েছে। আগে যেমন নির্দিষ্টসংখ্যক আসনের বিপরীতে বেশি ভর্তির সুযোগ ছিল, এবার তা নেই। ৫৫ জনের বেশি ভর্তি করার সুযোগ নেই।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৫ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে