বাসব রায়
প্রতিবছর তিথি-নক্ষত্র অনুসারে ভারতীয় উপমহাদেশের বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা দেবী দুর্গার পূজা-আরাধনা ইত্যাদি ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে মহাষষ্ঠী থেকে মহাদশমী (বিসর্জন) পর্যন্ত পালন করে থাকেন। এটি নানা কারণে সময়ের ফেরে সব বাঙালির জন্য বিশাল একটি উৎসব। এ ধরনের উৎসব শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদেরই প্রভাবিত করে এমন নয়, আপামর বাঙালির জন্য দুর্গোৎসব একটি বিশেষ আনন্দের সময়। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং শুভ শক্তির উদ্ভব প্রার্থনাসহ সবার মঙ্গল কামনাই দেবী দুর্গা পূজার মূল উপজীব্য বিষয়।
বিতর্কিত মনোভাব যুগে যুগে ছিল, আছে এবং থাকবে। আজও কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা স্থান-কাল-পাত্রভেদে ঘটে যায়, কিন্তু সে জন্য শারদীয় উৎসবের কোনো ব্যত্যয় হয়নি কখনোই। বাঙালির অন্তরে অন্তরে এমন উৎসব উদ্যাপনের বাসনা চিরকালের। জাতি-ধর্মনির্বিশেষে দলে দলে পূজা দেখার আনন্দ নিয়ে ছুটে চলেছে মণ্ডপে মণ্ডপে। ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত পূজা দর্শনের এমন আনন্দ সব বয়সের নারী ও পুরুষের মধ্যে লক্ষণীয়।
সামর্থ্য অনুযায়ী নতুন নতুন কাপড় পরে শিশু-কিশোরসহ প্রায় সবাই দেবী দর্শনে বেরিয়ে পড়ে। কর্মব্যস্ত জীবনে এ সময়টুকুকে মানুষ বিশেষভাবে বেছে নেয়। নতুন উদ্দীপনা নিয়ে প্রতিবছর এই উৎসবে সারা দেশ বর্ণিল রঙে সজ্জিত হয়। ডেকোরেশনের আহামরি বাহার আর গানবাজনায় ভরপুর কদিনের এটুকু সময়ের মূল্য অনেক।
সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনে পারস্পরিক মিলনের একটি অনন্য সুযোগ থাকে এই উৎসবে। প্রসাদসহ বস্ত্র বিতরণের পর্বও থাকে বিভিন্ন মণ্ডপে। আর দুস্থ ও অসহায় মানুষের খুশির জন্য স্থানীয় এবং সরকারি সহায়তা জোরালোভাবেই চলে।
মূর্তিকেই ঈশ্বর বা ভগবান মানে সনাতন ধর্মের অনুসারীরা। আবার একেশ্বরবাদেও বিশ্বাসী এই ধর্মের মানুষেরা। ক্ষেত্রবিশেষে ধর্মমতকে বেদোক্ত নিয়মে পবিত্রজ্ঞানে পালন করাই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্য। শাস্ত্রানুমোদিত আচার মেনে আবহমানকাল ধরে এমন পূজা বা উৎসব পালিত হয়ে আসছে এসব অঞ্চলে।
দেবীকে ভজনা করতে গিয়ে রংবাহারের বাহুল্য আজকাল এতটাই বেশি যে পূজার আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয় কি না, সেটাও ভাবা দরকার। অনেক ক্ষেত্রে খরচের বিষয়টি মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে, যা অতিমাত্রায় বাণিজ্যিক গণ্ডিতে আটকে গিয়ে সনাতনী কৃষ্টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলছে।
ধর্মীয় বিষয়ে যার যার মত তার তার কাছে প্রসিদ্ধ এবং এ বিষয়ে কোনো ধরনের মতান্তর গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সম্পূর্ণ মৌলিক বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত সব ধর্মমত। সুতরাং এ ক্ষেত্রে নিজস্ব চাপিয়ে দেওয়া মত মূল্যহীন এবং অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি করা ছাড়া কিছুই নয়।
সর্বোপরি, মানবিক মূল্যবোধের গুরুত্ব যদি কোনো ধর্মে অনুপস্থিত থাকে এবং সেই ধর্মের দ্বারা যদি সমাজের অকল্যাণ ঘটে থাকে, তাহলে তেমন ধর্ম ধর্মই নয়। ধর্মীয় বিধির মধ্যে মানুষের প্রতি মমত্ববোধ ও সহানুভূতি না থাকলে নির্জলা উপবাস আর ঐকান্তিক ঈশ্বর বা দেবীর বন্দনায় স্বয়ং দেবী বা ঈশ্বরও খুশি হবেন বলে মনে হয় না।
লেখক: কবি
প্রতিবছর তিথি-নক্ষত্র অনুসারে ভারতীয় উপমহাদেশের বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা দেবী দুর্গার পূজা-আরাধনা ইত্যাদি ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে মহাষষ্ঠী থেকে মহাদশমী (বিসর্জন) পর্যন্ত পালন করে থাকেন। এটি নানা কারণে সময়ের ফেরে সব বাঙালির জন্য বিশাল একটি উৎসব। এ ধরনের উৎসব শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদেরই প্রভাবিত করে এমন নয়, আপামর বাঙালির জন্য দুর্গোৎসব একটি বিশেষ আনন্দের সময়। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং শুভ শক্তির উদ্ভব প্রার্থনাসহ সবার মঙ্গল কামনাই দেবী দুর্গা পূজার মূল উপজীব্য বিষয়।
বিতর্কিত মনোভাব যুগে যুগে ছিল, আছে এবং থাকবে। আজও কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা স্থান-কাল-পাত্রভেদে ঘটে যায়, কিন্তু সে জন্য শারদীয় উৎসবের কোনো ব্যত্যয় হয়নি কখনোই। বাঙালির অন্তরে অন্তরে এমন উৎসব উদ্যাপনের বাসনা চিরকালের। জাতি-ধর্মনির্বিশেষে দলে দলে পূজা দেখার আনন্দ নিয়ে ছুটে চলেছে মণ্ডপে মণ্ডপে। ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত পূজা দর্শনের এমন আনন্দ সব বয়সের নারী ও পুরুষের মধ্যে লক্ষণীয়।
সামর্থ্য অনুযায়ী নতুন নতুন কাপড় পরে শিশু-কিশোরসহ প্রায় সবাই দেবী দর্শনে বেরিয়ে পড়ে। কর্মব্যস্ত জীবনে এ সময়টুকুকে মানুষ বিশেষভাবে বেছে নেয়। নতুন উদ্দীপনা নিয়ে প্রতিবছর এই উৎসবে সারা দেশ বর্ণিল রঙে সজ্জিত হয়। ডেকোরেশনের আহামরি বাহার আর গানবাজনায় ভরপুর কদিনের এটুকু সময়ের মূল্য অনেক।
সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনে পারস্পরিক মিলনের একটি অনন্য সুযোগ থাকে এই উৎসবে। প্রসাদসহ বস্ত্র বিতরণের পর্বও থাকে বিভিন্ন মণ্ডপে। আর দুস্থ ও অসহায় মানুষের খুশির জন্য স্থানীয় এবং সরকারি সহায়তা জোরালোভাবেই চলে।
মূর্তিকেই ঈশ্বর বা ভগবান মানে সনাতন ধর্মের অনুসারীরা। আবার একেশ্বরবাদেও বিশ্বাসী এই ধর্মের মানুষেরা। ক্ষেত্রবিশেষে ধর্মমতকে বেদোক্ত নিয়মে পবিত্রজ্ঞানে পালন করাই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্য। শাস্ত্রানুমোদিত আচার মেনে আবহমানকাল ধরে এমন পূজা বা উৎসব পালিত হয়ে আসছে এসব অঞ্চলে।
দেবীকে ভজনা করতে গিয়ে রংবাহারের বাহুল্য আজকাল এতটাই বেশি যে পূজার আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয় কি না, সেটাও ভাবা দরকার। অনেক ক্ষেত্রে খরচের বিষয়টি মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে, যা অতিমাত্রায় বাণিজ্যিক গণ্ডিতে আটকে গিয়ে সনাতনী কৃষ্টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলছে।
ধর্মীয় বিষয়ে যার যার মত তার তার কাছে প্রসিদ্ধ এবং এ বিষয়ে কোনো ধরনের মতান্তর গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সম্পূর্ণ মৌলিক বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত সব ধর্মমত। সুতরাং এ ক্ষেত্রে নিজস্ব চাপিয়ে দেওয়া মত মূল্যহীন এবং অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি করা ছাড়া কিছুই নয়।
সর্বোপরি, মানবিক মূল্যবোধের গুরুত্ব যদি কোনো ধর্মে অনুপস্থিত থাকে এবং সেই ধর্মের দ্বারা যদি সমাজের অকল্যাণ ঘটে থাকে, তাহলে তেমন ধর্ম ধর্মই নয়। ধর্মীয় বিধির মধ্যে মানুষের প্রতি মমত্ববোধ ও সহানুভূতি না থাকলে নির্জলা উপবাস আর ঐকান্তিক ঈশ্বর বা দেবীর বন্দনায় স্বয়ং দেবী বা ঈশ্বরও খুশি হবেন বলে মনে হয় না।
লেখক: কবি
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে