হালুয়াঘাটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস

মো. জাকিরুল ইসলাম, হালুয়াঘাট
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২১, ১০: ২৩
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২১, ২২: ০২

দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল। এই নির্বাচনে হালুয়াঘাট উপজেলার ১২টি ইউপির মধ্যে ১০টিতে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টায় প্রচারণার সময় শেষ হয়েছে। এ দিন সকাল থেকেই প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রার্থীরা।

স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, এ বছর ইউপিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সঙ্গে আটটিতে বিদ্রোহী এবং দুটিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা লড়বেন। ফলে নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে তাঁরা মনে করছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে আটটিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি রয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী। তাঁরা মূল প্রার্থীদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বছর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে উপজেলার ধুরাইল, গাজীরভিটা, নড়াইল, বিলডোরা ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের ধাওয়া পাল্টা দাওয়া ও নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া সহিংসতায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

সবকিছু মিলিয়ে সাধারণ ভোটাররা বলছেন, এ বছর নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে বিদ্রোহীরাও বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। সুষ্ঠু ভোট হলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৫২ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ১০ জন। এ ছাড়া সাধারণ সদস্য ও নারী সদস্য পদে রয়েছেন ৪৭৬ জন প্রার্থী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিলডোরা ইউনিয়নের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এবার আমাদের ইউপিতে প্রার্থী ৯ জন। শেষ সময়ে বোঝা যাচ্ছে সবার মাঠ সমান। এ বছর যেই জিতবে, কঠোর লড়াইয়ের মাধ্যমে হতে হবে।’

এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক মানিক বলেন, ‘সবশেষ কয়েক দিনে দেখা গেছে আমাদের জনপ্রিয়তা অনেক। ভোটাররা এবার সঠিক জবাব দেবে ১১ তারিখ।’

তবে নির্বাচন নিয়ে ধুরাইল ইউপির ভোটার মজিবর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সিলমারার দিন শেষ। নির্বাচনে জয় হতে হলে ভোটে হতে হবে। আমরা এ বছর জীবন দিতে প্রস্তুত।’

একটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বলেন, ‘জনগণ আমার সঙ্গে আছে। ১১ তারিখ ভোটের মাধ্যমে তা প্রমাণ করবে।’

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জন কেনেথ রিছিল বলেন, ‘নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ করা হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘ইতিমধ্যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসককে নিয়ে সভা করা হয়েছে। এতে সকল প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, ১১ নভেম্বর সুষ্ঠু ভোট হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

ভারতের পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা কলেজে সংঘর্ষকালে বোমা বিস্ফোরণে ছিটকে পড়েন সেনাসদস্য—ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা

ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুললেন অমিতাভ

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত