আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে ওয়াসার পানি শোধনাগার রয়েছে চারটি। এগুলো থেকে দৈনিক ৪৬ কোটি লিটার পানি সরবরাহ হয় নগরীতে। এর মধ্যে শেখ রাসেল পানি শোধনাগার (মধুনাঘাট) ও মোহরা পানি সরবরাহ প্রকল্প থেকে পাওয়া যায় ১৬ কোটি লিটার পানি। কিন্তু এই দুই শোধনাগার থেকে সরবরাহ করা পানিতে লবণের মাত্রা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৫৪ গুণ বেড়েছে। এসব পানি পান বা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে চট্টগ্রাম নগরীতে সুপেয় পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
তবে, ওয়াসার কর্মকর্তারা বলছেন, এ ক্ষেত্রে তাঁদের কিছুই করার নেই। ভারী বৃষ্টিপাত হলেই মিঠা পানির সরবরাহ বাড়বে, তাহলে ওয়াসার পানিতে লবণ কমে আসবে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার হিসাব শিট অনুযায়ী, গত ১ এপ্রিল চারটি পানি শোধনাগারে ৪৬ কোটি সাড়ে ৪ লাখ লিটার পানি উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে মোহরা পানি সরবরাহ প্রকল্প সাড়ে ৭ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করে। এই দিন উৎপাদিত পানিতে লবণাক্ততার মাত্রা ছিল প্রতি লিটারে ১১০ থেকে ২১০০ মিলিগ্রাম। তবে ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর এই প্রকল্পে লিটারে লবণের পরিমাণ ছিল ১২ থেকে ২০ মিলিগ্রাম।
একইভাবে গত ১ এপ্রিল চট্টগ্রাম ওয়াসার শেখ রাসেল শোধনাগার (মধুনাঘাট) ৯ কোটি ৩০ হাজার লিটার পানি উৎপাদন করে। এই দিন তাদের পানিতে লবণের মাত্রা ছিল প্রতি লিটারে ৯০ থেকে ৮০০ মিলিগ্রাম। তবে ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর এই শোধনাগারের পানিতে লবণের মাত্রা ছিল ৭ থেকে ১৯ মিলিগ্রাম।
চট্টগ্রাম ওয়াসার অন্য দুটি পানি শোধনাগার হলো শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-১ এবং শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২। চট্টগ্রামে দৈনিক পানির চাহিদা প্রায় ৫০ কোটি লিটার। প্রতিদিন ওয়াসার পানি উৎপাদন ৪৫ থেকে ৪৬ কোটি লিটার।
ওয়াসার পানিতে ব্যাপক লবণের কথা স্বীকার করেন চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মো. মাকসুদ আলম। তবে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি বিভিন্নভাবে নগরবাসীকে সুপেয় পানি সরবরাহ করতে। কিন্তু দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মিঠা পানির উৎসসমূহ শুকিয়ে গেছে। সেখানে সমুদ্রের লোনা পানি ঢুকে যায়।’
ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বছরের মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে পানিতে লবণের পরিমাণ বেড়ে যায়। এবার গ্রীষ্ম শুরু হতে না হতেই এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে। দিনে দিনে পানিতে বাড়ছে লবণের মাত্রা। বৃষ্টি হলেই কেবল বিদ্যমান সমস্যার সমাধান হবে।
কাপ্তাই কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের জানান, পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে একটি ইউনিটে মাত্র ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যেভাবে হ্রদের পানি কমে যাচ্ছে, তাতে বাকি এক ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, মূলত কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় পর্যাপ্ত পানি ছাড়া হচ্ছে না। ফলে সাগরের পানি উজানে উঠে আসছে। তবে বৃষ্টিপাত হলে এবং হ্রদে পানি বাড়লে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
চট্টগ্রামে ওয়াসার পানি শোধনাগার রয়েছে চারটি। এগুলো থেকে দৈনিক ৪৬ কোটি লিটার পানি সরবরাহ হয় নগরীতে। এর মধ্যে শেখ রাসেল পানি শোধনাগার (মধুনাঘাট) ও মোহরা পানি সরবরাহ প্রকল্প থেকে পাওয়া যায় ১৬ কোটি লিটার পানি। কিন্তু এই দুই শোধনাগার থেকে সরবরাহ করা পানিতে লবণের মাত্রা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৫৪ গুণ বেড়েছে। এসব পানি পান বা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে চট্টগ্রাম নগরীতে সুপেয় পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
তবে, ওয়াসার কর্মকর্তারা বলছেন, এ ক্ষেত্রে তাঁদের কিছুই করার নেই। ভারী বৃষ্টিপাত হলেই মিঠা পানির সরবরাহ বাড়বে, তাহলে ওয়াসার পানিতে লবণ কমে আসবে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার হিসাব শিট অনুযায়ী, গত ১ এপ্রিল চারটি পানি শোধনাগারে ৪৬ কোটি সাড়ে ৪ লাখ লিটার পানি উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে মোহরা পানি সরবরাহ প্রকল্প সাড়ে ৭ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করে। এই দিন উৎপাদিত পানিতে লবণাক্ততার মাত্রা ছিল প্রতি লিটারে ১১০ থেকে ২১০০ মিলিগ্রাম। তবে ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর এই প্রকল্পে লিটারে লবণের পরিমাণ ছিল ১২ থেকে ২০ মিলিগ্রাম।
একইভাবে গত ১ এপ্রিল চট্টগ্রাম ওয়াসার শেখ রাসেল শোধনাগার (মধুনাঘাট) ৯ কোটি ৩০ হাজার লিটার পানি উৎপাদন করে। এই দিন তাদের পানিতে লবণের মাত্রা ছিল প্রতি লিটারে ৯০ থেকে ৮০০ মিলিগ্রাম। তবে ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর এই শোধনাগারের পানিতে লবণের মাত্রা ছিল ৭ থেকে ১৯ মিলিগ্রাম।
চট্টগ্রাম ওয়াসার অন্য দুটি পানি শোধনাগার হলো শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-১ এবং শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২। চট্টগ্রামে দৈনিক পানির চাহিদা প্রায় ৫০ কোটি লিটার। প্রতিদিন ওয়াসার পানি উৎপাদন ৪৫ থেকে ৪৬ কোটি লিটার।
ওয়াসার পানিতে ব্যাপক লবণের কথা স্বীকার করেন চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মো. মাকসুদ আলম। তবে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি বিভিন্নভাবে নগরবাসীকে সুপেয় পানি সরবরাহ করতে। কিন্তু দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মিঠা পানির উৎসসমূহ শুকিয়ে গেছে। সেখানে সমুদ্রের লোনা পানি ঢুকে যায়।’
ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বছরের মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে পানিতে লবণের পরিমাণ বেড়ে যায়। এবার গ্রীষ্ম শুরু হতে না হতেই এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে। দিনে দিনে পানিতে বাড়ছে লবণের মাত্রা। বৃষ্টি হলেই কেবল বিদ্যমান সমস্যার সমাধান হবে।
কাপ্তাই কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের জানান, পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে একটি ইউনিটে মাত্র ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যেভাবে হ্রদের পানি কমে যাচ্ছে, তাতে বাকি এক ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, মূলত কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় পর্যাপ্ত পানি ছাড়া হচ্ছে না। ফলে সাগরের পানি উজানে উঠে আসছে। তবে বৃষ্টিপাত হলে এবং হ্রদে পানি বাড়লে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪