রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় সারা বছর কোথাও না-কোথায় পাহাড় কাটা হয়। বছরের পর বছর ধরে নির্বিচারে পাহাড় কাটার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। মৃত্যু হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
উপজেলার রাজানগর, দক্ষিণ রাজানগর ও ইসলামপুর ইউনিয়নে শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। এসব ভাটায় মাটি সরবরাহের জন্য ৫ ইউনিয়নের পাহাড় নির্বিচারে সাবাড় করা হচ্ছে। এ ছাড়া ৮ নম্বর সফরটা, ৭ নম্বর বেতাগী ও ৬ নম্বর পোমরা ইউনিয়নের পাহাড়গুলোরও রেহাই মিলছে না পাহাড়খেকোর কবল থেকে।
এ ব্যাপারে বন বিভাগ, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা কিংবা থানা প্রশাসন যেন অসহায়। কেউই জানে না এসব পাহাড় কারা কাটছে। বন বিভাগ নেহাত দায়ে পড়ে কোনো মামলা করলেও সেখানে পাহাড়খেকোদের নাম আসে না। যাদের নাম আসে, তাদের থানা-পুলিশ খুঁজে পায় না। স্থানীয় লোকজনও তাদের নাম মুখে আনতে ভয় পায়।
জানা গেছেন, কখনো ভিটে ভরাট করার জন্য, কখনো ডোবা ভরাট করে ভিটা তৈরির জন্য এসব পাহাড় কাটা হয়। যাদের ভিটেবাড়ি বা ডোবা ভরাট করা হয়, পাহাড় কাটার সঙ্গে তাদের তেমন সম্পৃক্ততা নেই। এসব পাহাড় কাটার সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী একাধিক সিন্ডিকেট সংযুক্ত থাকে। তাঁদের কাছ থেকে ভিটা বা ডোবার মালিকেরা এসব মাটি কিনে নেন।
এ ছাড়া ভাটার ইট বানানোর জন্য নির্বিচারে পাহাড় কেটে মাটি সরবরাহ করা হয়। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প, যেমন—স্কুলের মাঠ ভরাট, সড়ক নির্মাণ, পুকুর, নদী বা খালের পাড় ভরাট ইত্যাদি কাজে পাহাড়ের মাটি ব্যবহারের ঝোঁক রয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন শাহ বলেন, ‘নদী ভাঙা ও বাস্তুহারা মানুষেরাই পাহাড়ে বসবাস করছেন। বন বিভাগের লোকজনকে ম্যানেজ করেই এসব বসতি গড়ে তোলা হয়। বসতবাড়ি নির্মাণের সময় পাহাড় কাটার কারণে বর্ষায় সেই সব কাটা পাহাড়ে পানি চুষে ধসে পড়ে। এ ছাড়া যারা পাহাড়ের মাটি কেটে ব্যবসা করে তারা দুর্বৃত্ত, দলের কেউ নয়। এলাকার সংসদ সদস্য এসব দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।’
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের ইছামতী রেঞ্জ কর্মকর্তা খশরুল আমিন বলেন, ‘পাহাড়ধসের শঙ্কায় ঝুঁকি নিয়ে বসবাসরত পরিবারগুলো উচ্ছেদ ও নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হলেও কেউ কর্ণপাত করে না। উচ্ছেদ করার পরও আবার বসতি গড়ে তোলা হয়।’
পাহাড় কাটার বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান, খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু ধরা যায় না। অভিযানের আগেই তারা পালিয়ে যায়। মাঝেমধ্যে যাদের আটক করা হয়, তারা মূলত শ্রমিক। মামলা দিলেও কদিন পরেই জামিন নিয়ে ফিরে এসে আবার পাহাড় কাটা শুরু করে। লোকবলের অভাবে বন বিভাগ কঠোর উদ্যোগ নিতে পারে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গণি ওসমানী বলেন, ‘পাহাড়ে ঝুঁকিতে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিংসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পৌর মেয়রসহ উপজেলার সব ইউপি চেয়ারম্যানকে নিজ ইউনিয়নে মাইকিং করে সতর্ক করা ও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। ফলে অন্যান্য বছর বর্ষা মৌসুমে হতাহতের ঘটনা ঘটলেও, এ বছর তা রোধ করতে পেরেছি। তবে কোনো অবস্থাতেই পাহাড় কাটতে দেওয়া যাবে না। পাহাড় কাটা বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে। পাহাড় কাটার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় সারা বছর কোথাও না-কোথায় পাহাড় কাটা হয়। বছরের পর বছর ধরে নির্বিচারে পাহাড় কাটার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। মৃত্যু হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
উপজেলার রাজানগর, দক্ষিণ রাজানগর ও ইসলামপুর ইউনিয়নে শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। এসব ভাটায় মাটি সরবরাহের জন্য ৫ ইউনিয়নের পাহাড় নির্বিচারে সাবাড় করা হচ্ছে। এ ছাড়া ৮ নম্বর সফরটা, ৭ নম্বর বেতাগী ও ৬ নম্বর পোমরা ইউনিয়নের পাহাড়গুলোরও রেহাই মিলছে না পাহাড়খেকোর কবল থেকে।
এ ব্যাপারে বন বিভাগ, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা কিংবা থানা প্রশাসন যেন অসহায়। কেউই জানে না এসব পাহাড় কারা কাটছে। বন বিভাগ নেহাত দায়ে পড়ে কোনো মামলা করলেও সেখানে পাহাড়খেকোদের নাম আসে না। যাদের নাম আসে, তাদের থানা-পুলিশ খুঁজে পায় না। স্থানীয় লোকজনও তাদের নাম মুখে আনতে ভয় পায়।
জানা গেছেন, কখনো ভিটে ভরাট করার জন্য, কখনো ডোবা ভরাট করে ভিটা তৈরির জন্য এসব পাহাড় কাটা হয়। যাদের ভিটেবাড়ি বা ডোবা ভরাট করা হয়, পাহাড় কাটার সঙ্গে তাদের তেমন সম্পৃক্ততা নেই। এসব পাহাড় কাটার সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী একাধিক সিন্ডিকেট সংযুক্ত থাকে। তাঁদের কাছ থেকে ভিটা বা ডোবার মালিকেরা এসব মাটি কিনে নেন।
এ ছাড়া ভাটার ইট বানানোর জন্য নির্বিচারে পাহাড় কেটে মাটি সরবরাহ করা হয়। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প, যেমন—স্কুলের মাঠ ভরাট, সড়ক নির্মাণ, পুকুর, নদী বা খালের পাড় ভরাট ইত্যাদি কাজে পাহাড়ের মাটি ব্যবহারের ঝোঁক রয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন শাহ বলেন, ‘নদী ভাঙা ও বাস্তুহারা মানুষেরাই পাহাড়ে বসবাস করছেন। বন বিভাগের লোকজনকে ম্যানেজ করেই এসব বসতি গড়ে তোলা হয়। বসতবাড়ি নির্মাণের সময় পাহাড় কাটার কারণে বর্ষায় সেই সব কাটা পাহাড়ে পানি চুষে ধসে পড়ে। এ ছাড়া যারা পাহাড়ের মাটি কেটে ব্যবসা করে তারা দুর্বৃত্ত, দলের কেউ নয়। এলাকার সংসদ সদস্য এসব দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।’
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের ইছামতী রেঞ্জ কর্মকর্তা খশরুল আমিন বলেন, ‘পাহাড়ধসের শঙ্কায় ঝুঁকি নিয়ে বসবাসরত পরিবারগুলো উচ্ছেদ ও নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হলেও কেউ কর্ণপাত করে না। উচ্ছেদ করার পরও আবার বসতি গড়ে তোলা হয়।’
পাহাড় কাটার বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান, খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু ধরা যায় না। অভিযানের আগেই তারা পালিয়ে যায়। মাঝেমধ্যে যাদের আটক করা হয়, তারা মূলত শ্রমিক। মামলা দিলেও কদিন পরেই জামিন নিয়ে ফিরে এসে আবার পাহাড় কাটা শুরু করে। লোকবলের অভাবে বন বিভাগ কঠোর উদ্যোগ নিতে পারে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গণি ওসমানী বলেন, ‘পাহাড়ে ঝুঁকিতে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিংসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পৌর মেয়রসহ উপজেলার সব ইউপি চেয়ারম্যানকে নিজ ইউনিয়নে মাইকিং করে সতর্ক করা ও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। ফলে অন্যান্য বছর বর্ষা মৌসুমে হতাহতের ঘটনা ঘটলেও, এ বছর তা রোধ করতে পেরেছি। তবে কোনো অবস্থাতেই পাহাড় কাটতে দেওয়া যাবে না। পাহাড় কাটা বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে। পাহাড় কাটার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে