আবু সাইম, ঢাকা
উদ্বোধন ও যান চলাচলের ১০ মাস পর নতুন করে ব্যয় ও মেয়াদ বাড়ছে পদ্মা সেতু প্রকল্পের। এ দফায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় ও এক বছর সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। আগামীকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় তোলা হচ্ছে প্রকল্পটির সংশোধনী।
সংশোধনী অনুমোদন পেলে প্রকল্পে ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার মূল ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ৩২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি।
প্রস্তাবে সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, সেতু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি কেনা, সরকারি ভ্যাট ও আয়কর বৃদ্ধি পাওয়া, মূল সেতু ও নদীশাসনে পরামর্শক ব্যয় বৃদ্ধি, প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি, অ্যাপ্রোচ রোডের কিছু অংশ প্রশস্ত করা, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের খরচ, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, সেতুর ২২টি পিয়ারের নকশা পরিবর্তন এবং নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ার কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়াতে হচ্ছে।
শেষ মুহূর্তে এসে পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, আগের তুলনায় ডলারের দাম বেড়েছে। নদীশাসনের কাজ বাকি আছে, ঠিকাদারের অনেক পাওনা এখনো বাকি আছে। এ ছাড়া বিভিন্ন খাতের ব্যয়ও বেড়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন বলছে, পদ্মা সেতু প্রকল্পের বর্তমান ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। আগামী জুনেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল। মূল সেতুর কাজ শতভাগ শেষ হলেও প্রকল্পের কাজ হয়েছে ৯৫ ভাগ। এ অবস্থায় তৃতীয় সংশোধনীতে সেতু কর্তৃপক্ষ থেকে প্রথমে ২ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করে। এর মধ্যে সেতু ও নদীশাসনে পরামর্শক খাতে ৫৭৩ কোটি টাকা, নদীশাসন ও সার্ভিস এরিয়ার মাটি ভরাটে ৮৭৭ কোটি টাকা, মূল সেতু নির্মাণে ১ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা, ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট কনসালট্যান্ট এবং অডিট খাতে ৩১ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। তবে পরিকল্পনা কমিশনের আপত্তি ও মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় আলোচনার পর কিছু খাতে ব্যয় কমানোর সিদ্ধান্ত হয়।
যোগ হচ্ছে বাড়তি কাজ: মেয়াদের শেষ দিকে এসে প্রকল্পটিতে কিছু নতুন কাজ যুক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে সেতু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ যন্ত্রপাতি ক্রয়, অপটিক ফাইবার কেব্ল স্থাপন, টোল প্লাজা এলাকার পরিসর বাড়ানো, বাস বে ও ট্রাকের জন্য বিশেষায়িত লেন, আনসার ব্যারাক, জাদুঘরসহ বিভিন্ন ধরনের অনুষঙ্গ। এমনকি সেতু প্রকল্পের সঙ্গে সেতু ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ কাজও যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।
সেতু কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবে দেখা গেছে, মূল পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ১২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। এটি বেড়ে ১৩ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা হবে।নদীশাসন কাজের ব্যয় ৯ হাজার ৪০০ কোটি থেকে বেড়ে ১০ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা হবে। পরামর্শক খাতের ব্যয় ৭৮৮ কোটি থেকে বেড়ে ১ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা হবে। নদীশাসন কাজের জন্য অতিরিক্ত সময় লাগছে ৫৫ মাস। অতিরিক্ত কাজের জন্য প্রকল্পের পরামর্শক (কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট) খাতে ৯৫৭ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ছে।
জানা গেছে, ২০০৭ সালে অনুমোদন পাওয়া পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা, ২০১৫ সালে জুনের মধ্যে তা শেষ হওয়ার কথা ছিল।
উদ্বোধন ও যান চলাচলের ১০ মাস পর নতুন করে ব্যয় ও মেয়াদ বাড়ছে পদ্মা সেতু প্রকল্পের। এ দফায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় ও এক বছর সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। আগামীকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় তোলা হচ্ছে প্রকল্পটির সংশোধনী।
সংশোধনী অনুমোদন পেলে প্রকল্পে ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার মূল ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ৩২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি।
প্রস্তাবে সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, সেতু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি কেনা, সরকারি ভ্যাট ও আয়কর বৃদ্ধি পাওয়া, মূল সেতু ও নদীশাসনে পরামর্শক ব্যয় বৃদ্ধি, প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি, অ্যাপ্রোচ রোডের কিছু অংশ প্রশস্ত করা, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের খরচ, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, সেতুর ২২টি পিয়ারের নকশা পরিবর্তন এবং নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ার কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়াতে হচ্ছে।
শেষ মুহূর্তে এসে পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, আগের তুলনায় ডলারের দাম বেড়েছে। নদীশাসনের কাজ বাকি আছে, ঠিকাদারের অনেক পাওনা এখনো বাকি আছে। এ ছাড়া বিভিন্ন খাতের ব্যয়ও বেড়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন বলছে, পদ্মা সেতু প্রকল্পের বর্তমান ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। আগামী জুনেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল। মূল সেতুর কাজ শতভাগ শেষ হলেও প্রকল্পের কাজ হয়েছে ৯৫ ভাগ। এ অবস্থায় তৃতীয় সংশোধনীতে সেতু কর্তৃপক্ষ থেকে প্রথমে ২ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করে। এর মধ্যে সেতু ও নদীশাসনে পরামর্শক খাতে ৫৭৩ কোটি টাকা, নদীশাসন ও সার্ভিস এরিয়ার মাটি ভরাটে ৮৭৭ কোটি টাকা, মূল সেতু নির্মাণে ১ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা, ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট কনসালট্যান্ট এবং অডিট খাতে ৩১ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। তবে পরিকল্পনা কমিশনের আপত্তি ও মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় আলোচনার পর কিছু খাতে ব্যয় কমানোর সিদ্ধান্ত হয়।
যোগ হচ্ছে বাড়তি কাজ: মেয়াদের শেষ দিকে এসে প্রকল্পটিতে কিছু নতুন কাজ যুক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে সেতু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ যন্ত্রপাতি ক্রয়, অপটিক ফাইবার কেব্ল স্থাপন, টোল প্লাজা এলাকার পরিসর বাড়ানো, বাস বে ও ট্রাকের জন্য বিশেষায়িত লেন, আনসার ব্যারাক, জাদুঘরসহ বিভিন্ন ধরনের অনুষঙ্গ। এমনকি সেতু প্রকল্পের সঙ্গে সেতু ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ কাজও যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।
সেতু কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবে দেখা গেছে, মূল পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ১২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। এটি বেড়ে ১৩ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা হবে।নদীশাসন কাজের ব্যয় ৯ হাজার ৪০০ কোটি থেকে বেড়ে ১০ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা হবে। পরামর্শক খাতের ব্যয় ৭৮৮ কোটি থেকে বেড়ে ১ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা হবে। নদীশাসন কাজের জন্য অতিরিক্ত সময় লাগছে ৫৫ মাস। অতিরিক্ত কাজের জন্য প্রকল্পের পরামর্শক (কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট) খাতে ৯৫৭ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ছে।
জানা গেছে, ২০০৭ সালে অনুমোদন পাওয়া পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা, ২০১৫ সালে জুনের মধ্যে তা শেষ হওয়ার কথা ছিল।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে