‘সবাই পছন্দ করে এমন দল মরক্কো’

ক্রীড়া ডেস্ক
Thumbnail image

প্রস্তর যুগ থেকেই বর্তমান মরক্কো অঞ্চলে মানুষ বসবাস করছে বলে জানা যায়। ১৯৫৬ সালে স্বাধীন হওয়ার আগে দীর্ঘ সময় ওই অঞ্চলে ইংরেজ, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ ও ফরাসিদের দখলে ছিল। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে পরাশক্তিগুলোর বাটোয়ারায় পরিণত হয়ে আফ্রিকার দেশটি।

ইউরোপে শিল্পায়নের সঙ্গে সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকা উপনিবেশ স্থাপনের সম্ভাবনাময় আদর্শ অঞ্চল হয়ে ওঠে। ১৮৩০ সালের দিকে মরক্কো দখলের দৃঢ় আগ্রহ দেখানো শুরু করে ফ্রান্স। গত শতাব্দীর শুরুর দিকে ফ্রান্স ও স্পেন যৌথভাবে প্রায় ৫০ বছর মরক্কোকে উপনিবেশ হিসেবে ব্যবহার করে।

কাল কাতারের আল-বায়েত স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সেই ফ্রান্সের মুখোমুখি মরক্কো। এ ম্যাচকে ঘিরে রাজনৈতিক ও সামাজিক একটি উত্তেজনাও থাকছে।

ক্রোয়েশিয়াকে রুখে দিয়ে এ বিশ্বকাপ শুরু করেছিল মরক্কো। এরপর বেলজিয়াম, কানাডা, স্পেন ও পর্তুগালের মতো শক্তিশালী দলগুলোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে দলটি। ফুটবল পরাশক্তি, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষেও এটি অব্যাহত থাকবে? আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর, মরক্কোর সঙ্গে ফ্রান্সের যে ইতিহাস, এটি মরোক্কানদের আরও উজ্জীবিত করতে পারে।

সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচটি ছড়াতে পারে বাড়তি উত্তাপ।

মরক্কোর খেলা দেখতে দলে দলে কাতারে এসেছেন ফ্রান্সের মরোক্কান অভিবাসীরা। মরক্কোকে সমর্থন দিতে তাঁরা সমর্থকগোষ্ঠী বড় করছে, যাঁরা মরক্কোর বিজয় উদ্‌যাপন করতে রাস্তায় নেমেছে। উত্তর আফ্রিকার দলটির সাফল্যে পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে সমর্থনের তরঙ্গ বয়ে যাচ্ছে।

মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুই বলেছেন, ‘এ বিশ্বকাপে সবাই পছন্দ করে এমন দলে পরিণত হয়েছে আমাদের দল (মরক্কো)। কারণ, আমরা দেখাচ্ছি, খুব বেশি প্রতিভা এবং অর্থ না থাকলেও সফল হওয়া যায়।’

আটলাস পর্বত দেখতে পর্যটকেরা যান মরক্কোয়। রেগরাগুই এবার পর্বত দেখতে বলছেন মরক্কোর খেলায়, ‘আমরা আমাদের মানুষ, আমাদের মহাদেশকে অনেক সুখী এবং গর্বিত করেছি। যদি এ বিশ্বকাপে ‘পর্বত’ দেখতে চান, পাথুরে পর্বতকে সমর্থন করতে চান, আমি মনে করি আমরা এই বিশ্বকাপের ‘পর্বত’। আমি মনে করি বিশ্ব এখন মরক্কোর সঙ্গে আছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত