জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
আলোচিত ব্যবসায়িক গ্রুপ অ্যাননটেক্সের কাছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের পাওনা ৫ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা। ঋণের এই টাকা আদায়ে মামলা করেছে জনতা ব্যাংক। সেই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় আটকে রয়েছে ব্যাংকের এসব অর্থ। একইভাবে হল-মার্ক গ্রুপের কাছে সোনালী ব্যাংকের অন্তত ৩ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা আটকে রয়েছে। এ ছাড়া ক্রিসেন্ট গ্রুপ, থার্মেক্স গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, রিমেক্স ফুটওয়্যারের মতো গ্রাহকদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের পাওনা আদায়ে মামলা লড়ছে জনতা ব্যাংক। শুধু এসব প্রতিষ্ঠানই নয়, মামলার দীর্ঘসূত্রতার সুযোগ নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণের টাকা শোধ করছেন না অধিকাংশ প্রভাবশালী ঋণগ্রহীতা।
ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশেষ করে বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত একটি চক্র ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করাটা অভ্যাসে পরিণত করেছে। তাঁদের কাছ থেকে ঋণ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ব্যাংকগুলো অর্থঋণ আদালতের দ্বারস্থ হয়। এভাবে বাড়তে থাকে অর্থঋণ আদালতে মামলার সংখ্যা ও আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত অর্থঋণ আদালতে বিচারাধীন ৬৭ হাজার ৫১৯টি মামলায় আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ ২ লাখ ৯ হাজার ৬৯১ কোটি ৪ লাখ টাকা। পাশাপাশি উচ্চ আদালতের স্থিতাদেশের (স্টে অর্ডার) কারণে আটকে রয়েছে আরও প্রায় ৭৬ হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে মামলার কারণে আটকে রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ, যা ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ।
কয়েকজন ঊর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্যাংকের বড় বড় গ্রাহক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমলা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিশেষ মহলের প্রভাব খাটিয়ে কৌশলে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধে টালবাহানা করেন। ব্যাংক ঋণের টাকা ফেরত চাইলে তাঁরা প্রকাশ্যে আদালতে মামল করার পরামর্শ দিতেন। তখন ব্যাংকও নিরুপায় হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতো। মূলত ২০১৮ সালের পর এ ঝোঁকটা বাড়তে থাকে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অর্থঋণ আদালতে ৫৭ হাজার মামলায় আটকে থাকা অর্থ ছিল ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। ছয় বছরের ব্যবধানে মামলায় আটকে থাকা ঋণের পরিমাণ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। খেলাপি ঋণ আদায়ে গতি না বাড়লে মামলায় আটকে পড়া ঋণের পরিমাণ শিগগিরই ৩ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত অর্থঋণ আদালতে বিচারাধীন ৬৭ হাজার ৫১৯টি মামলায় আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ ২ লাখ ৯ হাজার ৬৯১ কোটি ৪ লাখ টাকা। তার আগে ২০২৩ সালের একই সময়ে বিচারাধীন মামলা ছিল ৭২ হাজার ৫৪০ টি। এসব মামলায় ঝুলে ছিল প্রায় ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকার ঋণ। ২০২২ সালের জুনে বিচারাধীন মামলা ছিল ৬৯ হাজার ৩৬৯ টি। এসব মামলায় আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের বছরে অর্থাৎ, ২০২১ সালের জুনে বিচারাধীন মামলা ছিল ৬৫ হাজার ৪৩৭টি এবং আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৫১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
ঋণ আদায়ে দীর্ঘসূত্রতার বিষয়ে জানতে চাইলে অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মুরশেদুল কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালতে যাওয়ার প্রবণতা বেশি বড় গ্রাহকদের। তাঁদের ঋণের ওপর নজরদারি বাড়ানো যেতে পারে। পাশাপাশি নিম্ন আদালতে জামিনকালে খেলাপির অর্থের টাকা জমা দিতে হয়। এটা উচ্চ আদালতে রিট দাখিলের ক্ষেত্রে নেই। রিটের ক্ষেত্রেও অর্থের টাকা জমার বিধানটা করলে অনেকেরই আদালতে যাওয়ার প্রবণতা কমবে। আর মামলা নিষ্পত্তির জন্য আদালতের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিচারকার্য দ্রুত সম্পন্ন করতে বাড়তি নজর দিতে হবে সংশ্লিষ্টদের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের গত জুন পর্যন্ত নিষ্পত্তি হওয়া মামলায় জড়িত অর্থের পরিমাণ ছিল ৯২ হাজার ২১২ কোটি টাকা। আর নিষ্পত্তি হওয়া অর্থের অর্ধেকও আদায় করতে পারেনি ব্যাংকগুলো। এখন পর্যন্ত নিষ্পত্তি হওয়া মামলার বিপরীতে মাত্র ২৩ হাজার কোটি টাকা আদায় হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, খেলাপি ঋণ কমাতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। আর অর্থঋণ আদালতের যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো দূর করা হবে। প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
অর্থঋণ আদালতের পাশাপাশি উচ্চ আদালতে রিটের শুনানির ওপর স্থিতাদেশের (স্টে অর্ডার) কারণেও আটকে রয়েছে বড় অঙ্কের ঋণ।গত জুন পর্যন্ত স্টে অর্ডারে আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ অন্তত ৭৬ হাজার কোটি টাকা। এটি অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। আগের বছর একই সময়ে আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ ছিল মাত্র ২৩ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত এক বছরে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯১ হাজার কোটি টাকা। আর ডিসেম্বর শেষে পুনঃ তফসিল করা ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। পাশাপাশি আদায় অযোগ্য অপ্রদর্শিত অবলোপনকৃত ঋণ ৭১ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি আদালতে আটকে থাকা অর্থ প্রায় ২ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোর দৃশ্যমান খেলাপি ঋণ প্রায় ২ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ব্যাংকিং খাতে আদায় অযোগ্য ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ প্রায় ৬ লাখ কোটি টাকা। আর গত জুন পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণ ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, অর্থঋণ আদালতে মামলা নিষ্পত্তি হলেও অর্থ না আদায় হওয়ার কারণ হলো, বড় গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই না করা। ফলে মামলা নিষ্পত্তি হলেও ব্যাংক অর্থ আদায় করতে পারে না। আর এ সবই হচ্ছে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে। মালিকপক্ষ এবং প্রভাবশালীরা চাপ প্রয়োগ করে ঋণ দিতে বাধ্য করেন, যা ব্যাংক খাতের জন্য একটা বড় সমস্যা।
আলোচিত ব্যবসায়িক গ্রুপ অ্যাননটেক্সের কাছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের পাওনা ৫ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা। ঋণের এই টাকা আদায়ে মামলা করেছে জনতা ব্যাংক। সেই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় আটকে রয়েছে ব্যাংকের এসব অর্থ। একইভাবে হল-মার্ক গ্রুপের কাছে সোনালী ব্যাংকের অন্তত ৩ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা আটকে রয়েছে। এ ছাড়া ক্রিসেন্ট গ্রুপ, থার্মেক্স গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, রিমেক্স ফুটওয়্যারের মতো গ্রাহকদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের পাওনা আদায়ে মামলা লড়ছে জনতা ব্যাংক। শুধু এসব প্রতিষ্ঠানই নয়, মামলার দীর্ঘসূত্রতার সুযোগ নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণের টাকা শোধ করছেন না অধিকাংশ প্রভাবশালী ঋণগ্রহীতা।
ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশেষ করে বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত একটি চক্র ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করাটা অভ্যাসে পরিণত করেছে। তাঁদের কাছ থেকে ঋণ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ব্যাংকগুলো অর্থঋণ আদালতের দ্বারস্থ হয়। এভাবে বাড়তে থাকে অর্থঋণ আদালতে মামলার সংখ্যা ও আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত অর্থঋণ আদালতে বিচারাধীন ৬৭ হাজার ৫১৯টি মামলায় আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ ২ লাখ ৯ হাজার ৬৯১ কোটি ৪ লাখ টাকা। পাশাপাশি উচ্চ আদালতের স্থিতাদেশের (স্টে অর্ডার) কারণে আটকে রয়েছে আরও প্রায় ৭৬ হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে মামলার কারণে আটকে রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ, যা ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ।
কয়েকজন ঊর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্যাংকের বড় বড় গ্রাহক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমলা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিশেষ মহলের প্রভাব খাটিয়ে কৌশলে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধে টালবাহানা করেন। ব্যাংক ঋণের টাকা ফেরত চাইলে তাঁরা প্রকাশ্যে আদালতে মামল করার পরামর্শ দিতেন। তখন ব্যাংকও নিরুপায় হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতো। মূলত ২০১৮ সালের পর এ ঝোঁকটা বাড়তে থাকে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অর্থঋণ আদালতে ৫৭ হাজার মামলায় আটকে থাকা অর্থ ছিল ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। ছয় বছরের ব্যবধানে মামলায় আটকে থাকা ঋণের পরিমাণ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। খেলাপি ঋণ আদায়ে গতি না বাড়লে মামলায় আটকে পড়া ঋণের পরিমাণ শিগগিরই ৩ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত অর্থঋণ আদালতে বিচারাধীন ৬৭ হাজার ৫১৯টি মামলায় আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ ২ লাখ ৯ হাজার ৬৯১ কোটি ৪ লাখ টাকা। তার আগে ২০২৩ সালের একই সময়ে বিচারাধীন মামলা ছিল ৭২ হাজার ৫৪০ টি। এসব মামলায় ঝুলে ছিল প্রায় ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকার ঋণ। ২০২২ সালের জুনে বিচারাধীন মামলা ছিল ৬৯ হাজার ৩৬৯ টি। এসব মামলায় আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের বছরে অর্থাৎ, ২০২১ সালের জুনে বিচারাধীন মামলা ছিল ৬৫ হাজার ৪৩৭টি এবং আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৫১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
ঋণ আদায়ে দীর্ঘসূত্রতার বিষয়ে জানতে চাইলে অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মুরশেদুল কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালতে যাওয়ার প্রবণতা বেশি বড় গ্রাহকদের। তাঁদের ঋণের ওপর নজরদারি বাড়ানো যেতে পারে। পাশাপাশি নিম্ন আদালতে জামিনকালে খেলাপির অর্থের টাকা জমা দিতে হয়। এটা উচ্চ আদালতে রিট দাখিলের ক্ষেত্রে নেই। রিটের ক্ষেত্রেও অর্থের টাকা জমার বিধানটা করলে অনেকেরই আদালতে যাওয়ার প্রবণতা কমবে। আর মামলা নিষ্পত্তির জন্য আদালতের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিচারকার্য দ্রুত সম্পন্ন করতে বাড়তি নজর দিতে হবে সংশ্লিষ্টদের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের গত জুন পর্যন্ত নিষ্পত্তি হওয়া মামলায় জড়িত অর্থের পরিমাণ ছিল ৯২ হাজার ২১২ কোটি টাকা। আর নিষ্পত্তি হওয়া অর্থের অর্ধেকও আদায় করতে পারেনি ব্যাংকগুলো। এখন পর্যন্ত নিষ্পত্তি হওয়া মামলার বিপরীতে মাত্র ২৩ হাজার কোটি টাকা আদায় হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, খেলাপি ঋণ কমাতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। আর অর্থঋণ আদালতের যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো দূর করা হবে। প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
অর্থঋণ আদালতের পাশাপাশি উচ্চ আদালতে রিটের শুনানির ওপর স্থিতাদেশের (স্টে অর্ডার) কারণেও আটকে রয়েছে বড় অঙ্কের ঋণ।গত জুন পর্যন্ত স্টে অর্ডারে আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ অন্তত ৭৬ হাজার কোটি টাকা। এটি অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। আগের বছর একই সময়ে আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ ছিল মাত্র ২৩ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত এক বছরে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯১ হাজার কোটি টাকা। আর ডিসেম্বর শেষে পুনঃ তফসিল করা ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। পাশাপাশি আদায় অযোগ্য অপ্রদর্শিত অবলোপনকৃত ঋণ ৭১ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি আদালতে আটকে থাকা অর্থ প্রায় ২ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোর দৃশ্যমান খেলাপি ঋণ প্রায় ২ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ব্যাংকিং খাতে আদায় অযোগ্য ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ প্রায় ৬ লাখ কোটি টাকা। আর গত জুন পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণ ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, অর্থঋণ আদালতে মামলা নিষ্পত্তি হলেও অর্থ না আদায় হওয়ার কারণ হলো, বড় গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই না করা। ফলে মামলা নিষ্পত্তি হলেও ব্যাংক অর্থ আদায় করতে পারে না। আর এ সবই হচ্ছে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে। মালিকপক্ষ এবং প্রভাবশালীরা চাপ প্রয়োগ করে ঋণ দিতে বাধ্য করেন, যা ব্যাংক খাতের জন্য একটা বড় সমস্যা।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে