নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনা পরিস্থিতির সময় থেকেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আর্থিক সেবার আওতায় টাকা জমা, টাকা উত্তোলন, স্থানান্তর, বিল পরিশোধ ইত্যাদি বেড়ে গেছে। আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আর্থিক সেবার (এমএফএস) আওতায় লেনদেনের আওতা বাড়ার সঙ্গে গ্রাহক ও লেনদেনও বাড়তে শুরু করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মোবাইল ব্যাংকিং আর্থিক সেবার আওতায় লেনদেনের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে লেনদেন হয়েছে ৯৩ হাজার ৩২ কোটি টাকা। এই লেনদেনের পরিমাণ গত বছরের এপ্রিল মাসে ছিল ৬৩ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় মোবাইল আর্থিক সেবার মাধ্যমে লেনদেন বেড়েছে ২৯ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩১ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি। আর চলতি বছরের মার্চ মাসের লেনদেনের পরিমাণ একক মাস হিসেবে অতীতের যেকোনো মাসের তুলনায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। চলতি বছরের মার্চে একক মাস হিসেবে লেনদেন হয়েছিল ৭৭ হাজার ৩০২ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১৩টি এমএফএস সেবার হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিকাশ, রকেট, নগদ, এমক্যাশ, উপায়সহ দেশে বর্তমানে ১৩টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক সেবা দিচ্ছে। হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিল শেষে এ খাতে নিবন্ধিত গ্রাহকসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১ কোটি ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩০ জন, যা গত বছরের একই সময় ছিল ৯ কোটি ৬৪ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭২ জন। এ ছাড়া নিবন্ধিতদের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৪১ লাখ ৭৬ হাজার এবং মহিলা গ্রাহক ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার ২৪৮ জন। আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৭৭ হাজার ১৫২।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ক্যাশ ইন হয়েছে ২৭ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। আর উত্তোলন করা হয়েছে ২৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। এমএফএস সেবায় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ২৬ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৩১ কোটি টাকা। বিভিন্ন পরিষেবার ১ হাজার ৩৩০ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনাকাটার ২ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে শহর থেকে গ্রামে বা গ্রাম থেকে শহরে তাৎক্ষণিকভাবে টাকা পাঠানোর সুবিধা নিচ্ছেন দেশের স্বল্প, সীমিত ও শ্রমজীবী মানুষ। আর প্রচলিত ব্যাংকের ঝামেলা এড়াতে অনেকেই এখন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দিকে ঝুঁকছেন। মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এখন শুধু টাকা পাঠানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। দৈনন্দিন কেনাকাটা, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিসহ বিভিন্ন বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জসহ নানা ধরনের সেবা দিচ্ছে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো। এমনকি কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের বেতনও বিকাশ, রকেট কিংবা নগদের মতো বিভিন্ন সেবার মাধ্যমে পরিশোধ করছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশে মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক সেবার যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালের মার্চ মাসে। বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংক প্রথম এ সেবা চালু করে। পরে এটির নাম হয় রকেট। এরপর ব্র্যাক ব্যাংক তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে চালু করে বিকাশ। এরপর আরও ১১টি প্রতিষ্ঠান এ সেবায় যুক্ত হয়েছে। তবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাটি একচেটিয়াভাবে বিকাশের দখলে রয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির সময় থেকেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আর্থিক সেবার আওতায় টাকা জমা, টাকা উত্তোলন, স্থানান্তর, বিল পরিশোধ ইত্যাদি বেড়ে গেছে। আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আর্থিক সেবার (এমএফএস) আওতায় লেনদেনের আওতা বাড়ার সঙ্গে গ্রাহক ও লেনদেনও বাড়তে শুরু করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মোবাইল ব্যাংকিং আর্থিক সেবার আওতায় লেনদেনের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে লেনদেন হয়েছে ৯৩ হাজার ৩২ কোটি টাকা। এই লেনদেনের পরিমাণ গত বছরের এপ্রিল মাসে ছিল ৬৩ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় মোবাইল আর্থিক সেবার মাধ্যমে লেনদেন বেড়েছে ২৯ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩১ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি। আর চলতি বছরের মার্চ মাসের লেনদেনের পরিমাণ একক মাস হিসেবে অতীতের যেকোনো মাসের তুলনায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। চলতি বছরের মার্চে একক মাস হিসেবে লেনদেন হয়েছিল ৭৭ হাজার ৩০২ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১৩টি এমএফএস সেবার হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিকাশ, রকেট, নগদ, এমক্যাশ, উপায়সহ দেশে বর্তমানে ১৩টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক সেবা দিচ্ছে। হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিল শেষে এ খাতে নিবন্ধিত গ্রাহকসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১ কোটি ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩০ জন, যা গত বছরের একই সময় ছিল ৯ কোটি ৬৪ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭২ জন। এ ছাড়া নিবন্ধিতদের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৪১ লাখ ৭৬ হাজার এবং মহিলা গ্রাহক ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার ২৪৮ জন। আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৭৭ হাজার ১৫২।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ক্যাশ ইন হয়েছে ২৭ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। আর উত্তোলন করা হয়েছে ২৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। এমএফএস সেবায় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ২৬ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৩১ কোটি টাকা। বিভিন্ন পরিষেবার ১ হাজার ৩৩০ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনাকাটার ২ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে শহর থেকে গ্রামে বা গ্রাম থেকে শহরে তাৎক্ষণিকভাবে টাকা পাঠানোর সুবিধা নিচ্ছেন দেশের স্বল্প, সীমিত ও শ্রমজীবী মানুষ। আর প্রচলিত ব্যাংকের ঝামেলা এড়াতে অনেকেই এখন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দিকে ঝুঁকছেন। মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এখন শুধু টাকা পাঠানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। দৈনন্দিন কেনাকাটা, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিসহ বিভিন্ন বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জসহ নানা ধরনের সেবা দিচ্ছে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো। এমনকি কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের বেতনও বিকাশ, রকেট কিংবা নগদের মতো বিভিন্ন সেবার মাধ্যমে পরিশোধ করছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশে মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক সেবার যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালের মার্চ মাসে। বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংক প্রথম এ সেবা চালু করে। পরে এটির নাম হয় রকেট। এরপর ব্র্যাক ব্যাংক তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে চালু করে বিকাশ। এরপর আরও ১১টি প্রতিষ্ঠান এ সেবায় যুক্ত হয়েছে। তবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাটি একচেটিয়াভাবে বিকাশের দখলে রয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে