আবির হাকিম, ঢাকা
রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ বর্জ্য তৈরি হয়। নগরী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করেন সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। কিন্তু কোনোরকম সুরক্ষাসামগ্রী ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণভাবে ময়লা অপসারণ করতে দেখা গেছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের। চিকিৎসকেরা বলছেন, এভাবে কাজ করায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েছে। ফুসফুসে ক্যানসার থেকে চর্মরোগ—এমন নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা।
বিষয়টি নিয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অভিযোগ, নিয়মিত সুরক্ষাসামগ্রী না পাওয়ায় তাঁরা এভাবে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক কর্মী ২-৩ বছর ধরে এসব উপকরণ পাচ্ছেন না। অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের দাবি, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সুরক্ষাসামগ্রী প্রতিবছরই দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা সুরক্ষা উপকরণ পরে কাজ করতে অভ্যস্ত নন। অনীহার কারণে তাঁরা সুরক্ষাসামগ্রী পেয়েও, তা ব্যবহার করছেন না।
সম্প্রতি হাইকোর্ট মোড়ে কথা হয় পরিচ্ছন্নতাকর্মী শামসুল আলমের সঙ্গে। সুরক্ষা উপকরণ ছাড়া বর্জ্য পরিষ্কারের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন থেকে জামা, বুট-জুতা ও গ্লাভস দেওয়া হয় বছরে একবার। গায়ের জামাটা পেয়েছি দুই বছর আগে। গ্লাভস যেটা পেয়েছিলাম, দুই সপ্তাহের বেশি টিকে নাই।’ বনশ্রী এলাকার একজন নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলেন, ‘সিটি করপোরেশন থেকে যে জিনিসগুলো পাই, সেগুলো ২-৩ সপ্তাহ ব্যবহার করলেই নষ্ট হয়ে যায়। কর্মকর্তাদের অনেকবার জানিয়েও লাভ হয়নি। অসুস্থ হলে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য ছুটি মেলে না। গরিব মানুষের খোঁজ কেউ রাখে না।’
সুরক্ষাবিহীন অবস্থায় কাজ করায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রসঙ্গে কথা হয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হকের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুরক্ষাসামগ্রী ছাড়া কাজ করতে গিয়ে নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, ফুসফুসে ক্যানসারসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। খালি হাতে এসব বর্জ্য অপসারণ করায় তাঁদের মধ্যে চর্মরোগের প্রকোপও বেশি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ত্বকের ক্যানসারেও রূপ নেয়।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এস এম শরিফ-উল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিতে গ্লাভস, মাস্ক, বুট-জুতা, অ্যাপ্রোনসহ বিভিন্ন উপকরণ প্রতিবছরই দেওয়া হয়। তবে তাঁরা (পরিচ্ছন্নতাকর্মী) সেটা ব্যবহার করেন না। উপকরণ-সংকট এবং তা বণ্টনে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে শরিফ বলেন, একেবারেই যে উপকরণ পাচ্ছেন না, তা কিন্তু নয়। হয়তো মাঝে মাঝে বিলম্ব হয় পেতে।
চিকিৎসার ব্যয় ও ছুটি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শরিফ বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সরকারি কর্মী নন। তাঁরা মজুরির বিনিয়মে কাজ করেন। যে কারণে তাঁদের কেউ ছুটি নিলে, আরেকজনকে কাজের জন্য দিয়ে যেতে হয়। তবে এসব সমস্যা সমাধানে আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট থাকলেও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নিজেদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতন নন। তাঁরা সুরক্ষাসামগ্রী ভালোভাবে সংরক্ষণও করেন না। করোনাকালীন সময়েও আমরা সচেতনতার বিষয়ে অনেক কাজ করেছি।’ পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের একটা বড় অংশ এখন স্বাস্থ্য সচেতন হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ বর্জ্য তৈরি হয়। নগরী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করেন সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। কিন্তু কোনোরকম সুরক্ষাসামগ্রী ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণভাবে ময়লা অপসারণ করতে দেখা গেছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের। চিকিৎসকেরা বলছেন, এভাবে কাজ করায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েছে। ফুসফুসে ক্যানসার থেকে চর্মরোগ—এমন নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা।
বিষয়টি নিয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অভিযোগ, নিয়মিত সুরক্ষাসামগ্রী না পাওয়ায় তাঁরা এভাবে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক কর্মী ২-৩ বছর ধরে এসব উপকরণ পাচ্ছেন না। অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের দাবি, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সুরক্ষাসামগ্রী প্রতিবছরই দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা সুরক্ষা উপকরণ পরে কাজ করতে অভ্যস্ত নন। অনীহার কারণে তাঁরা সুরক্ষাসামগ্রী পেয়েও, তা ব্যবহার করছেন না।
সম্প্রতি হাইকোর্ট মোড়ে কথা হয় পরিচ্ছন্নতাকর্মী শামসুল আলমের সঙ্গে। সুরক্ষা উপকরণ ছাড়া বর্জ্য পরিষ্কারের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন থেকে জামা, বুট-জুতা ও গ্লাভস দেওয়া হয় বছরে একবার। গায়ের জামাটা পেয়েছি দুই বছর আগে। গ্লাভস যেটা পেয়েছিলাম, দুই সপ্তাহের বেশি টিকে নাই।’ বনশ্রী এলাকার একজন নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলেন, ‘সিটি করপোরেশন থেকে যে জিনিসগুলো পাই, সেগুলো ২-৩ সপ্তাহ ব্যবহার করলেই নষ্ট হয়ে যায়। কর্মকর্তাদের অনেকবার জানিয়েও লাভ হয়নি। অসুস্থ হলে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য ছুটি মেলে না। গরিব মানুষের খোঁজ কেউ রাখে না।’
সুরক্ষাবিহীন অবস্থায় কাজ করায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রসঙ্গে কথা হয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হকের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুরক্ষাসামগ্রী ছাড়া কাজ করতে গিয়ে নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, ফুসফুসে ক্যানসারসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। খালি হাতে এসব বর্জ্য অপসারণ করায় তাঁদের মধ্যে চর্মরোগের প্রকোপও বেশি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ত্বকের ক্যানসারেও রূপ নেয়।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এস এম শরিফ-উল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিতে গ্লাভস, মাস্ক, বুট-জুতা, অ্যাপ্রোনসহ বিভিন্ন উপকরণ প্রতিবছরই দেওয়া হয়। তবে তাঁরা (পরিচ্ছন্নতাকর্মী) সেটা ব্যবহার করেন না। উপকরণ-সংকট এবং তা বণ্টনে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে শরিফ বলেন, একেবারেই যে উপকরণ পাচ্ছেন না, তা কিন্তু নয়। হয়তো মাঝে মাঝে বিলম্ব হয় পেতে।
চিকিৎসার ব্যয় ও ছুটি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শরিফ বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সরকারি কর্মী নন। তাঁরা মজুরির বিনিয়মে কাজ করেন। যে কারণে তাঁদের কেউ ছুটি নিলে, আরেকজনকে কাজের জন্য দিয়ে যেতে হয়। তবে এসব সমস্যা সমাধানে আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট থাকলেও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নিজেদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতন নন। তাঁরা সুরক্ষাসামগ্রী ভালোভাবে সংরক্ষণও করেন না। করোনাকালীন সময়েও আমরা সচেতনতার বিষয়ে অনেক কাজ করেছি।’ পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের একটা বড় অংশ এখন স্বাস্থ্য সচেতন হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে