সাহাদত জামান, সারিয়াকান্দি (বগুড়া)
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে গরুর খামার করে সফল হয়েছেন রেবেকা বেগম। খামার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত থেকে এলাকার অর্ধশত ব্যক্তির কর্মসংস্থান হয়েছে। উচ্ছিষ্ট গোবর থেকে তৈরি জৈব কম্পোস্ট সার বিক্রি হচ্ছে বাইরের জেলায়। উৎপাদিত বায়োগ্যাস থেকে জ্বালানির চাহিদা মিটছে কয়েকটি পরিবারের। সেই আয় থেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা।
উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের আমতলী গ্রামে মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠেছে জিকেএসএস এগ্রো খামার। ২০০৭ সালে অল্প পরিসরে কয়েকটি গরু দিয়ে তিনি শুরু করেন খামার। এখন তাঁর খামারে ৭৮টি গরু। এর মধ্যে দেশি জাতের গাভি রয়েছে ২২টি, যা থেকে ব্রাহমা জাতের গরু সংকরায়ণ করা হয়। খামারে বিদেশি গাভি রয়েছে ১৩টি, যা থেকে প্রতিদিন ১৭০ থেকে ২০০ লিটার দুধ পাওয়া যায়। সদ্যোজাত ব্রাহমা গরুর শাবক রয়েছে ৩১টি এবং গর্ভবতী গাভির সংখ্যা ১৫। খামারে ১২টি ষাঁড় রয়েছে।
গরুকে খাওয়ানোর জন্য ১০ বিঘার বেশি জমিতে লাগানো হয়েছে ঘাস। এ খামার দেখাশোনার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন ৮৯ জন স্থানীয় নারী-পুরুষ। ৩২ জন নারী আর ১৭ জন পুরুষ মাসিক বেতনে চাকরি করেন। এ ছাড়া এই খামারে প্রতিদিন ৫০ জন পর্যন্ত দিনমজুর কাজ করেন।
অন্যদিকে, এখানে উৎপাদিত নানা ধরনের জৈব কম্পোস্ট সার বিক্রির জন্য দেশব্যাপী রয়েছেন ১ হাজার ডিলার। এসব সারের মধ্যে রয়েছে টাইকো কম্পোস্ট, ভার্মি কম্পোস্ট, সাধারণ কম্পোস্ট, লিকুইড, পাওয়ার ও জিম্যাক্স জৈব কম্পোস্ট সার।
এই খামার থেকে রেবেকা প্রতি মাসে ১৩ থেকে ১৪ লাখ টাকার সার, দুধ ও গরু বিক্রি করেন। বিক্রির শতকরা ১৩ টাকা তাঁর লাভ হয়। এ হিসাবে তাঁর প্রতি মাসে আয় কয়েক লাখ টাকা।
তথ্যগুলো দিয়েছেন সফল খামারি রেবেকা বেগম। স্নাতক পাসের পর থেকেই তিনি খামার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তিনি ফুলবাড়ী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা। রেবেকা বেগম বলেন, ‘বিদেশি জার্নাল থেকে আমি জানতে পেরেছি, একটি দেশি গরুর চেয়ে ব্রাহমা জাতের গরুর ওজন তিন গুণ বেশি হয়। ২৪ মাসে একটি দেশি গরুর ওজন যদি ৩০০ কেজি হয়, তাহলে একই সময়ে একটি ব্রাহমা জাতের গরুর ওজন হবে ১ হাজার কেজি। তা ছাড়া একটি সাধারণ জাতের গরুর তুলনায় এরা খাবারও খায় অর্ধেক। দেশি গাভিতে বগুড়ার মাটিডালি থেকে আনা ব্রাহমা জাতের সিমেন প্রয়োগ করে সংকরায়ণ করা হয়।’
খামারের শ্রমিক সৈকত মিয়া (২৩) বলেন, ‘আমি খামারে গরু দেখাশোনার কাজে নিয়োজিত রয়েছি। পড়াশোনা শেষে চাকরি না পেয়ে এখানে মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতনে গরুর খামার দেখাশোনা করছি।’
কোহিনুর বেগম (৪০) জানান, ‘আমি এখানে সার তৈরির কাজ করি। এখান থেকে প্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা বেতন পাই। তা দিয়ে আমার গরিব পরিবার সচ্ছলভাবেই চলে।’
রেবেকা সুলতানার মাসিক আয়ের অংশ থেকে ২০১৮ সালে ‘সেলিনা জান্নাত মা আরেফাত কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা’ প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখানে তিনজন শিক্ষক এবং ৪২ জন এতিম শিশু রয়েছে। এতিমখানার শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এলাকার গরিব শিশুদের লেখাপড়ার পথ সুগম হচ্ছে, পাশাপাশি আমরা শিক্ষকেরা সচ্ছলভাবে পরিবার পরিচালনা করতে পারছি।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, রেবেকা বেগম খামার করে নিজে ব্যাপকভাবে সফল হয়েছেন এবং এলাকার অনেক বেকারের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। তাঁর খামার ছাড়াও সারিয়াকান্দিতে আরও তিনটি বড় খামার রয়েছে। এগুলো হলো নারচী দেবেরপাড়ার আরিফুর রহমানের গরুর খামার, কুতুবপুরে রায়হান ডেইরি ফার্ম এবং ফুলবাড়ীতে সবুজ ডেইরি ফার্ম। এ ছাড়া উপজেলায় ৮০টি মাঝারি এবং ১ হাজারের কাছাকাছি ছোট গরুর খামার রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান, এই উপজেলার মাটিতে জৈব সারের ঘাটতি রয়েছে। ভালো ফসল উৎপাদনের জন্য যেখানে মাটিতে ৫ শতাংশ জৈব সারের প্রয়োজন, সেখানে সারিয়াকান্দিতে রয়েছে ২ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে স্বল্পমূল্যে রেবেকা সুলতানার উৎপাদিত জৈব সার ঘাটতি মেটাতে অনেকটা সক্ষম হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় তাঁর সারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।’
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে গরুর খামার করে সফল হয়েছেন রেবেকা বেগম। খামার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত থেকে এলাকার অর্ধশত ব্যক্তির কর্মসংস্থান হয়েছে। উচ্ছিষ্ট গোবর থেকে তৈরি জৈব কম্পোস্ট সার বিক্রি হচ্ছে বাইরের জেলায়। উৎপাদিত বায়োগ্যাস থেকে জ্বালানির চাহিদা মিটছে কয়েকটি পরিবারের। সেই আয় থেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা।
উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের আমতলী গ্রামে মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠেছে জিকেএসএস এগ্রো খামার। ২০০৭ সালে অল্প পরিসরে কয়েকটি গরু দিয়ে তিনি শুরু করেন খামার। এখন তাঁর খামারে ৭৮টি গরু। এর মধ্যে দেশি জাতের গাভি রয়েছে ২২টি, যা থেকে ব্রাহমা জাতের গরু সংকরায়ণ করা হয়। খামারে বিদেশি গাভি রয়েছে ১৩টি, যা থেকে প্রতিদিন ১৭০ থেকে ২০০ লিটার দুধ পাওয়া যায়। সদ্যোজাত ব্রাহমা গরুর শাবক রয়েছে ৩১টি এবং গর্ভবতী গাভির সংখ্যা ১৫। খামারে ১২টি ষাঁড় রয়েছে।
গরুকে খাওয়ানোর জন্য ১০ বিঘার বেশি জমিতে লাগানো হয়েছে ঘাস। এ খামার দেখাশোনার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন ৮৯ জন স্থানীয় নারী-পুরুষ। ৩২ জন নারী আর ১৭ জন পুরুষ মাসিক বেতনে চাকরি করেন। এ ছাড়া এই খামারে প্রতিদিন ৫০ জন পর্যন্ত দিনমজুর কাজ করেন।
অন্যদিকে, এখানে উৎপাদিত নানা ধরনের জৈব কম্পোস্ট সার বিক্রির জন্য দেশব্যাপী রয়েছেন ১ হাজার ডিলার। এসব সারের মধ্যে রয়েছে টাইকো কম্পোস্ট, ভার্মি কম্পোস্ট, সাধারণ কম্পোস্ট, লিকুইড, পাওয়ার ও জিম্যাক্স জৈব কম্পোস্ট সার।
এই খামার থেকে রেবেকা প্রতি মাসে ১৩ থেকে ১৪ লাখ টাকার সার, দুধ ও গরু বিক্রি করেন। বিক্রির শতকরা ১৩ টাকা তাঁর লাভ হয়। এ হিসাবে তাঁর প্রতি মাসে আয় কয়েক লাখ টাকা।
তথ্যগুলো দিয়েছেন সফল খামারি রেবেকা বেগম। স্নাতক পাসের পর থেকেই তিনি খামার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তিনি ফুলবাড়ী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা। রেবেকা বেগম বলেন, ‘বিদেশি জার্নাল থেকে আমি জানতে পেরেছি, একটি দেশি গরুর চেয়ে ব্রাহমা জাতের গরুর ওজন তিন গুণ বেশি হয়। ২৪ মাসে একটি দেশি গরুর ওজন যদি ৩০০ কেজি হয়, তাহলে একই সময়ে একটি ব্রাহমা জাতের গরুর ওজন হবে ১ হাজার কেজি। তা ছাড়া একটি সাধারণ জাতের গরুর তুলনায় এরা খাবারও খায় অর্ধেক। দেশি গাভিতে বগুড়ার মাটিডালি থেকে আনা ব্রাহমা জাতের সিমেন প্রয়োগ করে সংকরায়ণ করা হয়।’
খামারের শ্রমিক সৈকত মিয়া (২৩) বলেন, ‘আমি খামারে গরু দেখাশোনার কাজে নিয়োজিত রয়েছি। পড়াশোনা শেষে চাকরি না পেয়ে এখানে মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতনে গরুর খামার দেখাশোনা করছি।’
কোহিনুর বেগম (৪০) জানান, ‘আমি এখানে সার তৈরির কাজ করি। এখান থেকে প্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা বেতন পাই। তা দিয়ে আমার গরিব পরিবার সচ্ছলভাবেই চলে।’
রেবেকা সুলতানার মাসিক আয়ের অংশ থেকে ২০১৮ সালে ‘সেলিনা জান্নাত মা আরেফাত কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা’ প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখানে তিনজন শিক্ষক এবং ৪২ জন এতিম শিশু রয়েছে। এতিমখানার শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এলাকার গরিব শিশুদের লেখাপড়ার পথ সুগম হচ্ছে, পাশাপাশি আমরা শিক্ষকেরা সচ্ছলভাবে পরিবার পরিচালনা করতে পারছি।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, রেবেকা বেগম খামার করে নিজে ব্যাপকভাবে সফল হয়েছেন এবং এলাকার অনেক বেকারের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। তাঁর খামার ছাড়াও সারিয়াকান্দিতে আরও তিনটি বড় খামার রয়েছে। এগুলো হলো নারচী দেবেরপাড়ার আরিফুর রহমানের গরুর খামার, কুতুবপুরে রায়হান ডেইরি ফার্ম এবং ফুলবাড়ীতে সবুজ ডেইরি ফার্ম। এ ছাড়া উপজেলায় ৮০টি মাঝারি এবং ১ হাজারের কাছাকাছি ছোট গরুর খামার রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান, এই উপজেলার মাটিতে জৈব সারের ঘাটতি রয়েছে। ভালো ফসল উৎপাদনের জন্য যেখানে মাটিতে ৫ শতাংশ জৈব সারের প্রয়োজন, সেখানে সারিয়াকান্দিতে রয়েছে ২ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে স্বল্পমূল্যে রেবেকা সুলতানার উৎপাদিত জৈব সার ঘাটতি মেটাতে অনেকটা সক্ষম হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় তাঁর সারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে