বিদ্যুৎবিভ্রাটে বিপাকে শিক্ষার্থী

জাককানইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২১, ১৩: ২১
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২১, ১৭: ১৬

ঘনঘন বিদ্যুৎবিভ্রাটে বিপাকে পড়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থীরা। দিনের এক-তৃতীয়াংশ সময়ই থাকে না বিদ্যুৎ। বিঘ্ন ঘটছে লেখাপড়াসহ দৈনন্দিন কার্যক্রমে।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দিন-রাত মিলিয়ে দিনের এক-তৃতীয়াংশ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। যে টুকু সময় বিদ্যুৎ থাকে তাতেও লো-ভোল্টেজ। মাঝেমধ্যে ঘোষণা দিয়ে, আবার অনেক সময় ঘোষণা ছাড়াই সঞ্চালন লাইন সংস্কারের নামে সারা দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বাড়ছে।

১৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা চলার সময় সারা দিন বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখায় ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যার পর তাঁরা এক ঘণ্টা ঢাকা-মহাসড়ক অবরোধ করেন।

পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী সাগর কুমার সরকার বলেন, ‘ঘন ঘন বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে প্রতিনিয়তই পানির সমস্যা, রান্নাবান্নায় সমস্যা পোহাতে হয়। বিদ্যুতের জন্য ওয়াইফাই সংযোগ যখন-তখন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাই অনলাইন ক্লাস, মিটিং, ওয়েবিনার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হয়।’

এ বিষয়ে ফোকলোর বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মেহেদী উল্লাহ বলেন, ‘বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে শিক্ষার্থীরা গরমে খুবই কষ্ট পাচ্ছেন। ল্যাব, থিসিস, অ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদি কাজে বিঘ্ন ঘটছে। বিদ্যুৎ না থাকলে বিকল্প উপায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। এটি মূলত জনগণেরই অর্থের অপচয়। কর্তৃপক্ষের উচিত সন্তোষজনক সেবা নিশ্চিত করা। দ্রুত বিদ্যুৎ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. উজ্জল কুমার প্রধান বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের নির্দেশনায় কর্তৃপক্ষের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিয়ে কীভাবে সমস্যার দ্রুত সমাধান করা যায় সে বিষয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

জাককানইবির ছাত্র পরামর্শক ও উপদেষ্টা তপন কুমার সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো জায়গায় এমন বিদ্যুৎ সমস্যা নেই। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করতে কষ্ট হচ্ছে, তাঁরা গরমে থাকতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সুরাহার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ত্রিশাল শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল বাশার মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ লাইনের সংস্কার কার্যক্রম চলছে, তাই মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়। আশা করি, আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে সমস্যাটি সমাধান হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত