মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
কক্সবাজারে মৎস্যবিজ্ঞানীরা নীল সাঁতারু কাঁকড়ার বাণিজ্যিক পোনা উৎপাদনে সাফল্য পেয়েছেন। দীর্ঘদিন গবেষণার পর বিপন্ন সামুদ্রিক এই কাঁকড়ার প্রজনন ও উৎপাদন শুরু হয়েছে। এই কাঁকড়ার পোনা বাণিজ্যিকভাবে চাষের জন্য খামারিদের সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংস্থা (আইইউসিএন) সম্প্রতি নীল সাঁতারু কাঁকড়াকে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা প্রাণী প্রজাতির লাল তালিকাভুক্ত করেছে। বিপন্ন এই কাঁকড়া খেতে খুবই সুস্বাদু। বিদেশেও জনপ্রিয় সি ফুড হিসেবে রপ্তানি হয়। সাম্প্রতিক চাহিদার কারণে এই কাঁকড়ার আহরণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ফলে কাঁকড়াটি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) কক্সবাজারের সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে ২০২১-২২ অর্থবছরে নীল সাঁতারু কাঁকড়ার প্রজনন ও পোনা উৎপাদন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এরই মধ্যে গত ডিসেম্বর থেকে তিন ব্যাচে সাঁতারু কাঁকড়ার ডিম থেকে পোনা ফোটানো হয়েছে। সেই বাচ্চা এখন কেন্দ্রের হ্যাচারিতে বড় হচ্ছে।
মৎস্যবিজ্ঞানীদের মতে, কাঁকড়া সমুদ্র উপকূলের দূষণ পরিষ্কারকারী ‘মেইন বায়োটার্বেটর’ বা জৈব রাসায়নিক পরিবর্তনকারী প্রধান প্রাণী হিসেবে বিবেচিত। কাঁকড়া বায়োটার্বেশনের মাধ্যমে মাটির ভৌত ও জৈব-রাসায়নিক গুণাগুণের বা বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটিয়ে খাদ্যশৃঙ্খলের বিভিন্ন জীব-অণুজীব ও উদ্ভিদের বেঁচে থাকার মতো পরিবেশ তৈরি করে। সৈকতের মাটির লবণাক্ততাও কমায় এরা। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে কাঁকড়া আহরণে পরিবেশ থেকে এসব উপকারী প্রাণী হারিয়ে যেতে বসেছে।
কক্সবাজারে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান বলেন, চাহিদার কারণে নীল সাঁতারু কাঁকড়ার আহরণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এ জন্য বিএফআরআই সমুদ্রসম্পদ সংরক্ষণের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই প্রকল্প গ্রহণ করে। এতে সাফল্য পাওয়া গেছে।
নীল সাঁতারু কাঁকড়ার প্রজনন ও পোনা উৎপাদন প্রকল্পের প্রধান গবেষক সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের জ্যৈষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আহমেদ ফজলে রাব্বি বলেন, গত ডিসেম্বর থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনটি ব্যাচে বাচ্চা ফুটেছে। একেকটি ব্যাচে প্রায় ৩ লাখ করে পোনা ফুটেছে। পোনাগুলো নানা ধাপ অতিক্রম করে এখনো অন্তত শতকরা ৬০ ভাগ বেঁচে আছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, সমুদ্রসম্পদের সংরক্ষণ ও অতি আহরণ থেকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে এবং দেশের সুনীল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উন্নয়ন, পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে নীল সাঁতারু কাঁকড়ার বাণিজ্যিক প্রজনন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে শীলা কাঁকড়ার পাশাপাশি নীল সাঁতারু কাঁকড়া রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
কক্সবাজারে মৎস্যবিজ্ঞানীরা নীল সাঁতারু কাঁকড়ার বাণিজ্যিক পোনা উৎপাদনে সাফল্য পেয়েছেন। দীর্ঘদিন গবেষণার পর বিপন্ন সামুদ্রিক এই কাঁকড়ার প্রজনন ও উৎপাদন শুরু হয়েছে। এই কাঁকড়ার পোনা বাণিজ্যিকভাবে চাষের জন্য খামারিদের সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংস্থা (আইইউসিএন) সম্প্রতি নীল সাঁতারু কাঁকড়াকে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা প্রাণী প্রজাতির লাল তালিকাভুক্ত করেছে। বিপন্ন এই কাঁকড়া খেতে খুবই সুস্বাদু। বিদেশেও জনপ্রিয় সি ফুড হিসেবে রপ্তানি হয়। সাম্প্রতিক চাহিদার কারণে এই কাঁকড়ার আহরণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ফলে কাঁকড়াটি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) কক্সবাজারের সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে ২০২১-২২ অর্থবছরে নীল সাঁতারু কাঁকড়ার প্রজনন ও পোনা উৎপাদন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এরই মধ্যে গত ডিসেম্বর থেকে তিন ব্যাচে সাঁতারু কাঁকড়ার ডিম থেকে পোনা ফোটানো হয়েছে। সেই বাচ্চা এখন কেন্দ্রের হ্যাচারিতে বড় হচ্ছে।
মৎস্যবিজ্ঞানীদের মতে, কাঁকড়া সমুদ্র উপকূলের দূষণ পরিষ্কারকারী ‘মেইন বায়োটার্বেটর’ বা জৈব রাসায়নিক পরিবর্তনকারী প্রধান প্রাণী হিসেবে বিবেচিত। কাঁকড়া বায়োটার্বেশনের মাধ্যমে মাটির ভৌত ও জৈব-রাসায়নিক গুণাগুণের বা বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটিয়ে খাদ্যশৃঙ্খলের বিভিন্ন জীব-অণুজীব ও উদ্ভিদের বেঁচে থাকার মতো পরিবেশ তৈরি করে। সৈকতের মাটির লবণাক্ততাও কমায় এরা। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে কাঁকড়া আহরণে পরিবেশ থেকে এসব উপকারী প্রাণী হারিয়ে যেতে বসেছে।
কক্সবাজারে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান বলেন, চাহিদার কারণে নীল সাঁতারু কাঁকড়ার আহরণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এ জন্য বিএফআরআই সমুদ্রসম্পদ সংরক্ষণের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই প্রকল্প গ্রহণ করে। এতে সাফল্য পাওয়া গেছে।
নীল সাঁতারু কাঁকড়ার প্রজনন ও পোনা উৎপাদন প্রকল্পের প্রধান গবেষক সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের জ্যৈষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আহমেদ ফজলে রাব্বি বলেন, গত ডিসেম্বর থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনটি ব্যাচে বাচ্চা ফুটেছে। একেকটি ব্যাচে প্রায় ৩ লাখ করে পোনা ফুটেছে। পোনাগুলো নানা ধাপ অতিক্রম করে এখনো অন্তত শতকরা ৬০ ভাগ বেঁচে আছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, সমুদ্রসম্পদের সংরক্ষণ ও অতি আহরণ থেকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে এবং দেশের সুনীল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উন্নয়ন, পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে নীল সাঁতারু কাঁকড়ার বাণিজ্যিক প্রজনন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে শীলা কাঁকড়ার পাশাপাশি নীল সাঁতারু কাঁকড়া রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪