হ্রদে মিলছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ

রাঙামাটি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২২, ১১: ৫৪
Thumbnail image

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে (কাপ্তাই লেক) মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার প্রথম রাতেই জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ ধরা পড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বামউক) অবতরণ ঘাটগুলোতে আনা হচ্ছে এসব মাছ। আরও কয়েক দিন জালে মাছ ধরা পড়বে আশা করছেন জেলেরা।

গতকাল সকাল থেকে বামউকের মৎস্য অবতরণকেন্দ্রগুলোয় চাপ বাড়তে থাকে। কাপ্তাই হ্রদের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছ রাঙামাটি, কাপ্তাই, বাঘাইছড়ি ও মহালছড়ি মৎস্য অবতরণ ঘাটে আনা হয়। প্রথম দিনে আশানুরূপ মাছ পেয়ে খুশি জেলেরা। তবে অবতরণকেন্দ্রগুলোতে ভিড় থাকায় মাছ ঠিকমতো নামাতে না পারছেন না। এতে বিপাকে পড়েছেন জেলেরা। ধরা পড়া মাছের মধ্যে অধিকাংশই কাচকি ও চাপিলা।

মাইনী থেকে আসা ইলিয়াস হোসেন (৪৫) বলেন, পন্টুনে মাছ রাখার জায়গা নেই। ফলে তাঁরা ট্রলার থেকে মাছ নামাতে পারছেন না। বন্দুকভাঙা থেকে আসা মিলন চাকমা (৩০) বলেন, ‘প্রথম দিনে সবার জালে মাছ ধরা পড়েছে। কিন্তু সময়মতো রাজস্ব আদায়ের রসিদ সংগ্রহ করতে না পারায় মাছ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।’

মাছ ব্যবসায়ী সুজন বড়ুয়া (৫৫) বলেন, কাপ্তাই হ্রদে পানি কম হওয়ায় এবার প্রচুর মাছ ধরা পড়েছে। এভাবে মাছ ধরা পড়লে আর কয়েক দিনের মধ্যেই মাছের সংকট দেখা দেবে। পানি বাড়লে এভাবে মাছ ধরা পড়ত না। তবে প্রথম দিনে যেভাবে মাছ ধরা হয়েছে, এটা আগামী দিনগুলোতে অব্যাহত থাকলে জেলেরা লাভবান হবেন।

রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনে গতকাল সকাল ৬টা থেকে মাছ অবতরণ শুরু হয়। প্রথম দিনে ৪টি মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে ১৫০ মেট্রিক টন মাছ আসার সম্ভাবনা দেখছে বামউক।

প্রতিষ্ঠানটির রাঙামাটি প্রধান কেন্দ্রের মার্কেটিং কর্মকর্তা শোয়েব সালেহীন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চারটি অবতরণকেন্দ্রে ১০০ মেট্রিক টন মাছ অবতরণ করা হয়েছে। এ থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ২২ লাখ টাকা। রাতে এটি আরও বাড়বে।’ তিনি জানান, স্থানীয় বাজারে এই মাছের মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা।

মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন জানায়, মাছের সুষ্ঠু প্রজননের স্বার্থে প্রতিবছর ১ মে থেকে পরবর্তী তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের মাছ আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। এ বছর হ্রদে পানি কম হওয়ায় এই সময় আরও ১৮ দিন বৃদ্ধি করা হয়। গত বুধবার মধ্যরাতে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

এদিকে মাছ শিকার বন্ধকালীন জেলে পরিবারগুলোকে রেশন দেয় সরকার। প্রায় ২৫ হাজার জেলে এই রেশনের আওতায় আসে। এ বছরও রেশন পেয়েছে জেলে পরিবারগুলো। এ ছাড়া মাছ শিকার বন্ধকালীন হ্রদে মাছের পোনা ছাড়া হয়। এ বছর হ্রদে ৬০ মেট্রিক টন পোনা ছাড়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বামউক রাঙামাটি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে কাপ্তাই হ্রদ থেকে মাছ আহরণ হয়েছে ২০ হাজার ২৮০ মেট্রিক টন। এ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় মাছ রপ্তানি হয়েছে ৬ হাজার ৫২৩ মেট্রিক টন। এতে ১১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

কিশোরগঞ্জে বিএনপি নেতা হত্যা: সাবেক চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত