জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিকের রুটি-রুজির মাধ্যম শ্রীপুর পাথর কোয়ারি। সরকার সেই কোয়ারি প্রায় ৫ বছর ধরে বন্ধ রেখেছে। কিন্তু অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ নেই। একটি চক্র বন্ধ রাখা কোয়ারি থেকে নিয়মিতই পাথর উত্তোলন করছে।
সাধারণ শ্রমিকদের দাবি, শ্রীপুর কোয়ারি থেকে চুরি ঠেকাতে সরকারিভাবে পাথর উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হোক।
শ্রীপুর পাথর কোয়ারিতে ঘুরে দেখা গেছে, চক্রের সদস্যরা কোয়ারির জিরোলাইন ১২৮০ নম্বর মেইন পিলারের ভেতরে প্রবেশ করে পাথর উত্তোলন করছেন। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, আমরা পেটের দায়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রীপুর কোয়ারির জিরো লাইন অতিক্রম করে পাথর উত্তোলন করে নির্দিষ্ট স্থানে জমা করে রাখি। সেই পাথরগুলো শ্রমিকদের অন্য একটি গ্রুপ সন্ধ্যার পর নৌকায় আসামপাড়া ও চার নম্বর বাংলাবাজার এলাকায় নিয়ে যান। কিছু পাথর অন্য একটি চক্র শ্রীপুর চা-বাগান এলাকা দিয়ে নিয়ে যায়। এভাবে কয়েকটি চক্রের মাধ্যমে পাথর উত্তোলন করি।
শ্রমিকেরা আরও জানান, পাথর ব্যবসায়ীরা প্রশাসন ও কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে লিয়াজোঁ করে শ্রমিকদের কোয়ারিতে পাঠান। কিন্তু ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাঁদের তাড়া করে। চুরি করার চেয়ে শ্রীপুর পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া হলে ৩০ হাজার শ্রমিক কোয়ারিতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন। তাতে সরকার রাজস্বও আদায় করতে পারবে।
শ্রীপুর এলাকার বাসিন্দা ইমন আহমদ, রাজিব আহমদ, গিয়াছ উদ্দিন, ইসমাইল আলী, মালিক লাল দাশ, হোসেন আহমদ, কুতুব আলী বলেন, একসময় শ্রীপুর কোয়ারিতে বৈধ পন্থায় আমরা পাথর উত্তোলন করেছি। বিনিময়ে সরকারকে প্রচুর রাজস্ব দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কোয়ারি বন্ধ থাকার পরও পাথরখেকো চক্র নৌকাপ্রতি বড় পাথর ১ হাজার ৬০০ টাকা এবং ছোট পাথর ১ হাজার ২০০ টাকা করে আদায় করছে।
জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, ‘জৈন্তাপুরে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সুধীজনের মতবিনিময় সভায় আমি বিষয়টি উত্থাপন করি। কিন্তু জেলা প্রশাসক মহোদয় কড়া ভাষায় বলেন, ‘‘সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী যে সব কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে সেখানে কোনো কাজ করতে যাওয়া চরম অন্যায়। তা কখনো করতে দেওয়া হবে না।’’ দুর্গাপূজা পরিদর্শনকালে আমি শ্রীপুর কোয়ারিতে রাতে গিয়ে দেখলাম শত শত শ্রমিক পাথর নিয়ে আসছেন। জেলা প্রশাসকের কড়া নির্দেশনার পরও রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-বশিরুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু আপনি ঘটনাটি জানালেন, আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিকের রুটি-রুজির মাধ্যম শ্রীপুর পাথর কোয়ারি। সরকার সেই কোয়ারি প্রায় ৫ বছর ধরে বন্ধ রেখেছে। কিন্তু অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ নেই। একটি চক্র বন্ধ রাখা কোয়ারি থেকে নিয়মিতই পাথর উত্তোলন করছে।
সাধারণ শ্রমিকদের দাবি, শ্রীপুর কোয়ারি থেকে চুরি ঠেকাতে সরকারিভাবে পাথর উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হোক।
শ্রীপুর পাথর কোয়ারিতে ঘুরে দেখা গেছে, চক্রের সদস্যরা কোয়ারির জিরোলাইন ১২৮০ নম্বর মেইন পিলারের ভেতরে প্রবেশ করে পাথর উত্তোলন করছেন। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, আমরা পেটের দায়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রীপুর কোয়ারির জিরো লাইন অতিক্রম করে পাথর উত্তোলন করে নির্দিষ্ট স্থানে জমা করে রাখি। সেই পাথরগুলো শ্রমিকদের অন্য একটি গ্রুপ সন্ধ্যার পর নৌকায় আসামপাড়া ও চার নম্বর বাংলাবাজার এলাকায় নিয়ে যান। কিছু পাথর অন্য একটি চক্র শ্রীপুর চা-বাগান এলাকা দিয়ে নিয়ে যায়। এভাবে কয়েকটি চক্রের মাধ্যমে পাথর উত্তোলন করি।
শ্রমিকেরা আরও জানান, পাথর ব্যবসায়ীরা প্রশাসন ও কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে লিয়াজোঁ করে শ্রমিকদের কোয়ারিতে পাঠান। কিন্তু ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাঁদের তাড়া করে। চুরি করার চেয়ে শ্রীপুর পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া হলে ৩০ হাজার শ্রমিক কোয়ারিতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন। তাতে সরকার রাজস্বও আদায় করতে পারবে।
শ্রীপুর এলাকার বাসিন্দা ইমন আহমদ, রাজিব আহমদ, গিয়াছ উদ্দিন, ইসমাইল আলী, মালিক লাল দাশ, হোসেন আহমদ, কুতুব আলী বলেন, একসময় শ্রীপুর কোয়ারিতে বৈধ পন্থায় আমরা পাথর উত্তোলন করেছি। বিনিময়ে সরকারকে প্রচুর রাজস্ব দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কোয়ারি বন্ধ থাকার পরও পাথরখেকো চক্র নৌকাপ্রতি বড় পাথর ১ হাজার ৬০০ টাকা এবং ছোট পাথর ১ হাজার ২০০ টাকা করে আদায় করছে।
জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, ‘জৈন্তাপুরে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সুধীজনের মতবিনিময় সভায় আমি বিষয়টি উত্থাপন করি। কিন্তু জেলা প্রশাসক মহোদয় কড়া ভাষায় বলেন, ‘‘সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী যে সব কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে সেখানে কোনো কাজ করতে যাওয়া চরম অন্যায়। তা কখনো করতে দেওয়া হবে না।’’ দুর্গাপূজা পরিদর্শনকালে আমি শ্রীপুর কোয়ারিতে রাতে গিয়ে দেখলাম শত শত শ্রমিক পাথর নিয়ে আসছেন। জেলা প্রশাসকের কড়া নির্দেশনার পরও রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-বশিরুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু আপনি ঘটনাটি জানালেন, আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে