আজিনুর রহমান আজিম, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট)
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে তিস্তা ও ধরলা নদীর বালুচরে এবার বেশি পলি পড়েছে। ফলে বিস্তৃত চরাঞ্চল ভরে গেছে ভুট্টা, গম ও আলুর মতো নানা ফসলের সমারোহে। কৃষকেরা এখন খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এবার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা এবং পাটগ্রাম পৌরসভা, জগৎবেড় ও জোংড়া ইউনিয়নের ধরলার চরে প্রায় ১৩০ হেক্টর জমি চাষের আওতায় এসেছে, যা অন্য বছরের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। এ চাষাবাদে দেড় হাজার টনের বেশি ফসল উৎপাদিত হবে। বাজারমূল্য পাওয়া যাবে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চরে আবার হয়েছে ভুট্টা, গম, বাদাম, আলু, মরিচ, মিষ্টি আলু, মিষ্টিকুমড়া, সরিষাসহ বিভিন্ন শাকসবজি। ফসলের খেতে কৃষক পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও কৃষিশ্রমিকেরা কাজ করছেন। কেউ ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র দিয়ে খেতে পানি দিচ্ছেন, কেউ খেতে নিড়ানি করছেন, আবার কেউ আগাছা তুলছেন সন্ধ্যা পর্যন্ত। তাঁরা খেতের পরিচর্যা করতে সকালে মাঠে যান, সঙ্গে নিয়ে যান খাবার ও পানি। দুপুরে খেতের আইলেই খেয়ে আবার কাজে ফেরেন।
কৃষকেরা জানান, আন্তসীমান্ত নদী তিস্তা ও ধরলার পানিপ্রবাহ নানাভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ৪ অক্টোবর ছেড়ে দেওয়া তিস্তার পানিতে দহগ্রামে প্রবল বন্যা দেখা দেয়। এতে ভেসে আসা পলি জমা হয় বালুচরে। এই পলির পরিমাণ ছিল এবার অনেক বেশি। তাই চরের দাবিদার স্থানীয় গ্রামবাসী এ বছর অনেক বেশি চাষাবাদ করছেন।
দহগ্রামের চরের কৃষক ফরহাদ মণ্ডল বলেন, ‘তিস্তা নদী যখন ভাঙে, তখন চরে ধু ধু বালু পড়ে। এতে আমরা আবাদ করি। এবার ভুট্টার আবাদ হয়েছে। আমরা খুব খুশি।’ একই এলাকার কৃষক আবু সাঈদ বলেন, ‘তিস্তা নদী দীর্ঘদিন ধরে ভাঙছে। এবারে পলি বেশি পড়েছে। সবাই বিভিন্ন ফসল আবাদ করেছেন, খেতও ভালো আছে। ফলন বেশি হবে বলে আশা করছি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পাটগ্রাম উপজেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, এবার তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চলের ৬৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদ হচ্ছে। এ ছাড়া গম ২৫ হেক্টর, আলু ১৫ হেক্টর, মিষ্টিকুমড়া ৮ হেক্টর, মরিচ ৬ হেক্টর, চিনাবাদাম ৫ হেক্টর ও মিষ্টি আলু ৪ হেক্টর জমিতে চাষ করা হচ্ছে। এতে ১ হাজার ৬৫৩ টন ফসল উৎপাদিত হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গাফফার বলেন, ‘এবারের মৌসুমে নদীর চরগুলোতে পলিমাটি বেশি পড়েছে। এতে স্থানীয় কৃষকেরা সবাই চাষাবাদ করছেন। ফলনও ভালো হবে। আমরা অনুমান করছি, এসব চরে উৎপাদিত ফসলের মূল্য প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা হবে। উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে চরাঞ্চলে চাষাবাদে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে তিস্তা ও ধরলা নদীর বালুচরে এবার বেশি পলি পড়েছে। ফলে বিস্তৃত চরাঞ্চল ভরে গেছে ভুট্টা, গম ও আলুর মতো নানা ফসলের সমারোহে। কৃষকেরা এখন খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এবার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা এবং পাটগ্রাম পৌরসভা, জগৎবেড় ও জোংড়া ইউনিয়নের ধরলার চরে প্রায় ১৩০ হেক্টর জমি চাষের আওতায় এসেছে, যা অন্য বছরের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। এ চাষাবাদে দেড় হাজার টনের বেশি ফসল উৎপাদিত হবে। বাজারমূল্য পাওয়া যাবে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চরে আবার হয়েছে ভুট্টা, গম, বাদাম, আলু, মরিচ, মিষ্টি আলু, মিষ্টিকুমড়া, সরিষাসহ বিভিন্ন শাকসবজি। ফসলের খেতে কৃষক পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও কৃষিশ্রমিকেরা কাজ করছেন। কেউ ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র দিয়ে খেতে পানি দিচ্ছেন, কেউ খেতে নিড়ানি করছেন, আবার কেউ আগাছা তুলছেন সন্ধ্যা পর্যন্ত। তাঁরা খেতের পরিচর্যা করতে সকালে মাঠে যান, সঙ্গে নিয়ে যান খাবার ও পানি। দুপুরে খেতের আইলেই খেয়ে আবার কাজে ফেরেন।
কৃষকেরা জানান, আন্তসীমান্ত নদী তিস্তা ও ধরলার পানিপ্রবাহ নানাভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ৪ অক্টোবর ছেড়ে দেওয়া তিস্তার পানিতে দহগ্রামে প্রবল বন্যা দেখা দেয়। এতে ভেসে আসা পলি জমা হয় বালুচরে। এই পলির পরিমাণ ছিল এবার অনেক বেশি। তাই চরের দাবিদার স্থানীয় গ্রামবাসী এ বছর অনেক বেশি চাষাবাদ করছেন।
দহগ্রামের চরের কৃষক ফরহাদ মণ্ডল বলেন, ‘তিস্তা নদী যখন ভাঙে, তখন চরে ধু ধু বালু পড়ে। এতে আমরা আবাদ করি। এবার ভুট্টার আবাদ হয়েছে। আমরা খুব খুশি।’ একই এলাকার কৃষক আবু সাঈদ বলেন, ‘তিস্তা নদী দীর্ঘদিন ধরে ভাঙছে। এবারে পলি বেশি পড়েছে। সবাই বিভিন্ন ফসল আবাদ করেছেন, খেতও ভালো আছে। ফলন বেশি হবে বলে আশা করছি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পাটগ্রাম উপজেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, এবার তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চলের ৬৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদ হচ্ছে। এ ছাড়া গম ২৫ হেক্টর, আলু ১৫ হেক্টর, মিষ্টিকুমড়া ৮ হেক্টর, মরিচ ৬ হেক্টর, চিনাবাদাম ৫ হেক্টর ও মিষ্টি আলু ৪ হেক্টর জমিতে চাষ করা হচ্ছে। এতে ১ হাজার ৬৫৩ টন ফসল উৎপাদিত হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গাফফার বলেন, ‘এবারের মৌসুমে নদীর চরগুলোতে পলিমাটি বেশি পড়েছে। এতে স্থানীয় কৃষকেরা সবাই চাষাবাদ করছেন। ফলনও ভালো হবে। আমরা অনুমান করছি, এসব চরে উৎপাদিত ফসলের মূল্য প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা হবে। উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে চরাঞ্চলে চাষাবাদে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে