খান রফিক, বরিশাল
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চার বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ ৩০ ডিসেম্বর। টানা চার বছরে বরিশালের ছয়টি নির্বাচনী আসনে ধানের শীষের কোনো কোনো প্রার্থী এলাকায়ই আসেননি। আবার কেউ আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকছেন। বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, কেউ কেউ নির্বাচনের পর কেবল এলাকা নয়, দেশও ছেড়েছেন।
আগামী নির্বাচনের গন্ধে এসব জনপ্রতিনিধি ভার্চুয়াল মাধ্যমে নতুন করে এলাকার খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছেন। ধানের শীষের তৎকালীন সংসদ সদস্য প্রার্থীরা অবশ্য দাবি করেছেন, ক্ষমতাসীন দলের হামলা-মামলার কারণে নির্বাচনী এলাকায় যেতে পারছেন না তাঁরা।
চার বছর ধরে ধানের শীষের প্রার্থী বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে জহির উদ্দিন স্বপন, বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে সরদার সরফুদ্দিন সান্টু ও বরিশাল-৪ (মেহেন্দীগঞ্জ-হিজলা) আসনে নাগরিক ঐক্যের নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর নির্বাচনী এলাকায় অনুপস্থিত। বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মাঝে মাঝে এলাকায় যান। এ ছাড়া বরিশাল-৫ (সদর) আসনের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার এবং বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনের প্রার্থী আবুল হোসেন খান গত ৫ বছরে ঢাকা-বরিশাল আসা-যাওয়ার মধ্যে রাজনীতিতে জড়িয়ে আছেন।
বরিশাল-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন দলটির মিডিয়া সেলের প্রধান জহির উদ্দিন স্বপন। তিনি এলাকায় আসেন না। কারণ হিসেবে তিনি সরকারি দলের বাধা দাবি করলেও একাংশ নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে জনগণের প্রতি এটি দায়িত্ব হতে পারে না। দলটির গৌরনদী এবং আগৈলঝাড়ার একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জহির উদ্দিন স্বপন বরিশাল নগরে অন্য সব কর্মসূচিতে এসে ঘন ঘন মহড়া দিচ্ছেন। অথচ নিজ এলাকায় জনগণের কাছে হামলার অজুহাতে যাচ্ছেন না। তাহলে তাঁর নেতা-কর্মীরা এলাকায় ঘরবাড়িতে কী করে থাকেন? তিনি দলে সংস্কারপন্থী নেতা ছিলেন বলে অনেকে মনে করিয়ে দেন।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির তৎকালীন প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, তাঁকে নির্বাচনী এলাকায় যেতে দেওয়া হয় না। তাঁর পারিবারিক-সামাজিক কাজেও সরকারি দলের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে সংঘাতে যেতে চান না, তাই এলাকায় যান না। এলাকায় না গেলে জনগণ এবং নেতা-কর্মীদের প্রতি দায়িত্ব পালন প্রসঙ্গে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনার সঙ্গে যেভাবে কথা বলছি (ফোনে), এভাবেই নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’
বরিশাল-২ আসনে গত নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন ধনাঢ্য সরফুদ্দিন সান্টু। তিনি নির্বাচনের পরপরই দেশ ছেড়েছেন। গত চার বছরে আর কোনো খবর নেই। উজিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান এ প্রসঙ্গে বলেন, সংসদ সদস্য প্রার্থী সরফুদ্দিন সান্টু মামলার কারণে দেশের বাইরে আছেন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই তিনি সিঙ্গাপুরে চলে যান। এরপর সেখান থেকে ফোনে যোগাযোগ করেন। নেতারা এলাকায় থাকলে কর্মীরা সাহস পান, জনগণ কষ্টের কথা বলতে পারে।
বরিশাল-৪ আসনের প্রার্থী ছিলেন নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর। ভোটের পর এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন রেখেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর বলেন, তিনি এলাকাতে গেলে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসা অনুসারীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জে বিএনপির একাধিক গ্রুপ থাকায় তিনি কোনো পক্ষের কাছেই যান না।
তবে এই আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাউদ্দিন ফরহাদ বলেন, ২০১৮ সালে নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর নাগরিক ঐক্য থেকে জোটের প্রার্থী হন। যদিও তাঁর বাড়ি ছিল চাঁদপুরের হাইমচরে। সর্বশেষ নির্বাচনের দিন তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, ওই সময় মনোনয়ন দেওয়া ভুল ছিল। জাহাঙ্গীর এজেন্টই দিতে পারেননি।
এসব বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বরিশাল-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, ‘২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নয়, নির্বাচন তো ২৯ ডিসেম্বর রাতে হয়েছিল। হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জে নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর ছিলেন জোটের প্রার্থী। আগামীতে হয়তো তাঁর মতো প্রার্থী আর দেওয়া হবে না। বরিশাল-১ আসনে আমাদের সাধারণ নেতা-কর্মীদেরই নিরাপত্তা নেই। এমপি প্রার্থী স্বপন এলাকায় আসেন না, আবার যেতেও পারেন না। বরিশাল-২ আসনের সান্টুর নামে মামলা আছে। তিনি বিদেশে থেকেও ভার্চুয়ালি
নেতা-কর্মীদের খোঁজ নেন। আর সদরে সরোয়ার ভাই প্রতি সপ্তাহেই এলাকায় আসেন। বরিশাল-৬ আসনের আবুল হোসেন এলাকাভিত্তিক রাজনীতি করেন।’
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চার বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ ৩০ ডিসেম্বর। টানা চার বছরে বরিশালের ছয়টি নির্বাচনী আসনে ধানের শীষের কোনো কোনো প্রার্থী এলাকায়ই আসেননি। আবার কেউ আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকছেন। বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, কেউ কেউ নির্বাচনের পর কেবল এলাকা নয়, দেশও ছেড়েছেন।
আগামী নির্বাচনের গন্ধে এসব জনপ্রতিনিধি ভার্চুয়াল মাধ্যমে নতুন করে এলাকার খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছেন। ধানের শীষের তৎকালীন সংসদ সদস্য প্রার্থীরা অবশ্য দাবি করেছেন, ক্ষমতাসীন দলের হামলা-মামলার কারণে নির্বাচনী এলাকায় যেতে পারছেন না তাঁরা।
চার বছর ধরে ধানের শীষের প্রার্থী বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে জহির উদ্দিন স্বপন, বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে সরদার সরফুদ্দিন সান্টু ও বরিশাল-৪ (মেহেন্দীগঞ্জ-হিজলা) আসনে নাগরিক ঐক্যের নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর নির্বাচনী এলাকায় অনুপস্থিত। বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মাঝে মাঝে এলাকায় যান। এ ছাড়া বরিশাল-৫ (সদর) আসনের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার এবং বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনের প্রার্থী আবুল হোসেন খান গত ৫ বছরে ঢাকা-বরিশাল আসা-যাওয়ার মধ্যে রাজনীতিতে জড়িয়ে আছেন।
বরিশাল-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন দলটির মিডিয়া সেলের প্রধান জহির উদ্দিন স্বপন। তিনি এলাকায় আসেন না। কারণ হিসেবে তিনি সরকারি দলের বাধা দাবি করলেও একাংশ নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে জনগণের প্রতি এটি দায়িত্ব হতে পারে না। দলটির গৌরনদী এবং আগৈলঝাড়ার একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জহির উদ্দিন স্বপন বরিশাল নগরে অন্য সব কর্মসূচিতে এসে ঘন ঘন মহড়া দিচ্ছেন। অথচ নিজ এলাকায় জনগণের কাছে হামলার অজুহাতে যাচ্ছেন না। তাহলে তাঁর নেতা-কর্মীরা এলাকায় ঘরবাড়িতে কী করে থাকেন? তিনি দলে সংস্কারপন্থী নেতা ছিলেন বলে অনেকে মনে করিয়ে দেন।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির তৎকালীন প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, তাঁকে নির্বাচনী এলাকায় যেতে দেওয়া হয় না। তাঁর পারিবারিক-সামাজিক কাজেও সরকারি দলের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে সংঘাতে যেতে চান না, তাই এলাকায় যান না। এলাকায় না গেলে জনগণ এবং নেতা-কর্মীদের প্রতি দায়িত্ব পালন প্রসঙ্গে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনার সঙ্গে যেভাবে কথা বলছি (ফোনে), এভাবেই নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’
বরিশাল-২ আসনে গত নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন ধনাঢ্য সরফুদ্দিন সান্টু। তিনি নির্বাচনের পরপরই দেশ ছেড়েছেন। গত চার বছরে আর কোনো খবর নেই। উজিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান এ প্রসঙ্গে বলেন, সংসদ সদস্য প্রার্থী সরফুদ্দিন সান্টু মামলার কারণে দেশের বাইরে আছেন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই তিনি সিঙ্গাপুরে চলে যান। এরপর সেখান থেকে ফোনে যোগাযোগ করেন। নেতারা এলাকায় থাকলে কর্মীরা সাহস পান, জনগণ কষ্টের কথা বলতে পারে।
বরিশাল-৪ আসনের প্রার্থী ছিলেন নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর। ভোটের পর এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন রেখেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর বলেন, তিনি এলাকাতে গেলে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসা অনুসারীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জে বিএনপির একাধিক গ্রুপ থাকায় তিনি কোনো পক্ষের কাছেই যান না।
তবে এই আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাউদ্দিন ফরহাদ বলেন, ২০১৮ সালে নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর নাগরিক ঐক্য থেকে জোটের প্রার্থী হন। যদিও তাঁর বাড়ি ছিল চাঁদপুরের হাইমচরে। সর্বশেষ নির্বাচনের দিন তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, ওই সময় মনোনয়ন দেওয়া ভুল ছিল। জাহাঙ্গীর এজেন্টই দিতে পারেননি।
এসব বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বরিশাল-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, ‘২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নয়, নির্বাচন তো ২৯ ডিসেম্বর রাতে হয়েছিল। হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জে নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর ছিলেন জোটের প্রার্থী। আগামীতে হয়তো তাঁর মতো প্রার্থী আর দেওয়া হবে না। বরিশাল-১ আসনে আমাদের সাধারণ নেতা-কর্মীদেরই নিরাপত্তা নেই। এমপি প্রার্থী স্বপন এলাকায় আসেন না, আবার যেতেও পারেন না। বরিশাল-২ আসনের সান্টুর নামে মামলা আছে। তিনি বিদেশে থেকেও ভার্চুয়ালি
নেতা-কর্মীদের খোঁজ নেন। আর সদরে সরোয়ার ভাই প্রতি সপ্তাহেই এলাকায় আসেন। বরিশাল-৬ আসনের আবুল হোসেন এলাকাভিত্তিক রাজনীতি করেন।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে