Ajker Patrika

৮১৭ পরিবার পেল মাথা গোঁজার ঠাঁই

সিলেট প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ৩১
৮১৭ পরিবার পেল মাথা গোঁজার ঠাঁই

ছোটবেলায় লিটন মিয়ার বাবা মারা যান। ভূমিহীন পরিবার হওয়ার কারণে তাঁদের মাথা গোঁজার কোনো ঠাঁই ছিল না। তাই তিন ভাই আর দুই বোনকে নিয়ে মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতেন।

একসময় মা মারা যান। থাকার জায়গা না পেয়ে তিনি পাড়া-প্রতিবেশীর বাড়িতে রাত কাটাতেন। এর মধ্যে শুনতে পান আশ্রয়ণ প্রকল্পের খবর। সেখানে আবেদন করার পর গতকাল মঙ্গলবার সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি নতুন ঘর পান লিটন মিয়া। এদিন নতুন করে আরও ৮১৭ পরিবার পেয়েছে মাথা গোঁজার ঠাঁই।

গতকাল লিটন মিয়া বলেন, ‘মাথা গোঁজার কোনো ঠাঁই ছিল না আমার। কিন্তু সরকারি উদ্যোগে এখন আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। পরিবার নিয়ে সেখানেই বাস করছি।’

ওসমানীনগর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আরেক সুবিধাভোগী ফারুক মিয়া জানান, ভূমিহীন এবং খুবই দরিদ্র পরিবারের একজন সদস্য তিনি। ফুটপাতে চানাচুর বিক্রি করে খুব কষ্ট করে নিজে লেখাপড়া করেছেন। পাশাপাশি লেখাপড়া করিয়েছেন তাঁর স্ত্রীকে। লেখাপড়ার খরচ আর সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু মুজিববর্ষে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়ে এখন তিনি আনন্দিত। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। ফারুক মিয়া বলেন, ‘আজ আমরা মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছি। এটা যে কতটুকু আনন্দের, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।’

লিটন ও ফারুকের মতো সিলেট বিভাগে এ পর্যন্ত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়েছে ৪ হাজার ৬৯টি গৃহ ও ভূমিহীন পরিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ভূমিহীনদের মাঝে জমির দলিলসহ এসব ঘর হস্তান্তর করেন। সিলেট বিভাগের মধ্যে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় ধাপে সিলেট জেলায় ৮১৭টি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছে। এর মধ্যে জেলার বালাগঞ্জে ৪২, বিয়ানীবাজারে ১২০, বিশ্বনাথে ৩৩, কোম্পানীগঞ্জে ৩৩, ফেঞ্চুগঞ্জে ১২, গোলাপগঞ্জে ৫০, গোয়াইনঘাটে ২২৪, জৈন্তাপুরে ৮৭, কানাইঘাটে ৮৪, সিলেট সদরে ৬০, জকিগঞ্জে ৩৫, দক্ষিণ সুরমায় ২৭ ও ওসমানীনগরে ১০টি পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান জানান, ঈদের আগে সিলেট বিভাগের চার হাজার ভূমিহীন পরিবারের মানুষ পেয়েছেন স্থায়ী ঠিকানা। তৃতীয় ধাপের প্রতিটি ঘরের নির্মাণ খরচ ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের তুলনায় তৃতীয় ধাপে কাঠামোতে এসেছে বেশ পরিবর্তন। ব্যয়ও বাড়ানো হয় আগের তুলনায় ৬৯ হাজার টাকা। যে কারণে ঘরগুলো মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হবে।

উল্লেখ্য, সিলেট জেলায় প্রথম পর্যায়ে ৩ হাজার ১৩৭ টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১৫টি ঘর উদ্বোধন করা হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়সহ সিলেট জেলায় মোট পুনর্বাসিত পরিবারের সংখ্যা হবে ৪ হাজার ৬৯।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত