হিলি স্থলবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
ভারতের অভ্যন্তরে পার্কিং ভাড়া বৃদ্ধি ও ওভারলোডিং বন্ধসহ নানা কারণে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১২ দিন ধরে ছোট পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন পাথর আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে উন্নয়নকাজ বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কাসহ বন্দরের রাজস্ব আয় কমে গেছে।
হিলি স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা এসএম নুরুল আলম খান জানান, গত জুলাই থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ১৮৭ টন চিপস পাথর আমদানি হয়। যা থেকে সরকারের রাজস্ব আসে ৪৪ কোটি ৯১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৫৭ টাকা। বন্দরের রাজস্ব আহরণের মূল উপাদান হলো পাথর। কিন্তু এখন শুধু বোল্ডার পাথর আমদানি হচ্ছে। এতে গড়ে প্রতিদিন চিপস পাথর থেকে যে ২০ লাখ টাকার মতো রাজস্ব আসত সেটি বন্ধ রয়েছে।
জানা যায়, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চিপস বা ছোট পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। মাঝে দুদিন কিছু পাথর আমদানি হলেও এর পর থেকে একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। আমদানি বন্ধের কারণে দেশের বাজারে পাথরের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। ৫/৮ ও ৩/৪ সাইজের পাথর ৩ হাজার ৪০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩ হাজার ৮০০ টাকা বিক্রি হয়। এখন তা আরও বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৬০০ টাকা দরে।
বন্দরে পাথর নিতে আসা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘একটি চার লেনের সড়কে পাথর সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। এত দিন হিলি স্থলবন্দর থেকে পাথর ক্রয় করে সেখানে সরবরাহ করেছি। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই বন্দরে পাথরের দাম বাড়তে থাকে। কিন্তু কোম্পানির সঙ্গে যে দামে পাথর সরবরাহ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি, দাম বাড়ার কারণে ওই দামে পাথর সরবরাহ করতে সমস্যা হচ্ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগের বকেয়া বিল থাকার কারণে লোকসান জেনেও বাড়তি দামে পাথর সরবরাহ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কিন্তু দুই সপ্তাহ ধরে হিলিতে কোনো পাথর পাওয়া যাচ্ছে না। এতে খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি।’
বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ও পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, ‘বন্দর দিয়ে ভারত থেকে সব ধরনের পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে; শুধু চিপস পাথর আসছে না। এ বিষয়ে ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা আমাদের জানিয়েছেন, তাঁদের দেশে ট্রাকের পার্কিং চার্জ যেটি দিনে ১০০ টাকা নেওয়া হতো, সেটি বাড়িয়ে ৪০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া হল্টেজ চার্জ যেটি নেওয়া হতো সারা দিনে ৩০ টাকা, এখন সেটি ঘণ্টাপ্রতি ৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট তাঁদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এটি সমাধান হলে আবারও বাংলাদেশে চিপস পাথর রপ্তানি শুরু হবে বলে তাঁরা আমাদের জানিয়েছেন।’
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি করেন রাজীব কুমার দত্ত। তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন উন্নয়নকাজ, বিশেষ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পদ্মা সেতুসহ চলমান মেগা প্রকল্পগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পাথরের চাহিদা রয়েছে। বন্দরের আমদানিকারকেরা এসব প্রকল্পে পাথর সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে ভারত থেকে হাজার হাজার টন পাথর আমদানি করেন। কিন্তু ভারতে ওভারলোডিং ও স্থানীয় ট্রাক সিন্ডিকেটের দ্বন্দ্বের কারণে বন্দর দিয়ে চিপস পাথর আমদানি একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।’
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চিপস পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে, শুধু বোল্ডার পাথর আমদানি অব্যাহত রয়েছে। আগে যেখানে বন্দর দিয়ে ১২০ ট্রাক চিপস ও বোল্ডার পাথর আমদানি হতো এখন সেখানে শুধু ১৫ থেকে ১৮ ট্রাক বোল্ডার পাথর আমদানি হচ্ছে। চিপস পাথর আমদানি বন্ধের কারণে সরকার যেমন রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষ দৈনন্দিন আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ভারতের অভ্যন্তরে পার্কিং ভাড়া বৃদ্ধি ও ওভারলোডিং বন্ধসহ নানা কারণে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১২ দিন ধরে ছোট পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন পাথর আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে উন্নয়নকাজ বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কাসহ বন্দরের রাজস্ব আয় কমে গেছে।
হিলি স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা এসএম নুরুল আলম খান জানান, গত জুলাই থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ১৮৭ টন চিপস পাথর আমদানি হয়। যা থেকে সরকারের রাজস্ব আসে ৪৪ কোটি ৯১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৫৭ টাকা। বন্দরের রাজস্ব আহরণের মূল উপাদান হলো পাথর। কিন্তু এখন শুধু বোল্ডার পাথর আমদানি হচ্ছে। এতে গড়ে প্রতিদিন চিপস পাথর থেকে যে ২০ লাখ টাকার মতো রাজস্ব আসত সেটি বন্ধ রয়েছে।
জানা যায়, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চিপস বা ছোট পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। মাঝে দুদিন কিছু পাথর আমদানি হলেও এর পর থেকে একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। আমদানি বন্ধের কারণে দেশের বাজারে পাথরের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। ৫/৮ ও ৩/৪ সাইজের পাথর ৩ হাজার ৪০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩ হাজার ৮০০ টাকা বিক্রি হয়। এখন তা আরও বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৬০০ টাকা দরে।
বন্দরে পাথর নিতে আসা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘একটি চার লেনের সড়কে পাথর সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। এত দিন হিলি স্থলবন্দর থেকে পাথর ক্রয় করে সেখানে সরবরাহ করেছি। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই বন্দরে পাথরের দাম বাড়তে থাকে। কিন্তু কোম্পানির সঙ্গে যে দামে পাথর সরবরাহ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি, দাম বাড়ার কারণে ওই দামে পাথর সরবরাহ করতে সমস্যা হচ্ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগের বকেয়া বিল থাকার কারণে লোকসান জেনেও বাড়তি দামে পাথর সরবরাহ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কিন্তু দুই সপ্তাহ ধরে হিলিতে কোনো পাথর পাওয়া যাচ্ছে না। এতে খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি।’
বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ও পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, ‘বন্দর দিয়ে ভারত থেকে সব ধরনের পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে; শুধু চিপস পাথর আসছে না। এ বিষয়ে ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা আমাদের জানিয়েছেন, তাঁদের দেশে ট্রাকের পার্কিং চার্জ যেটি দিনে ১০০ টাকা নেওয়া হতো, সেটি বাড়িয়ে ৪০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া হল্টেজ চার্জ যেটি নেওয়া হতো সারা দিনে ৩০ টাকা, এখন সেটি ঘণ্টাপ্রতি ৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট তাঁদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এটি সমাধান হলে আবারও বাংলাদেশে চিপস পাথর রপ্তানি শুরু হবে বলে তাঁরা আমাদের জানিয়েছেন।’
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি করেন রাজীব কুমার দত্ত। তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন উন্নয়নকাজ, বিশেষ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পদ্মা সেতুসহ চলমান মেগা প্রকল্পগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পাথরের চাহিদা রয়েছে। বন্দরের আমদানিকারকেরা এসব প্রকল্পে পাথর সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে ভারত থেকে হাজার হাজার টন পাথর আমদানি করেন। কিন্তু ভারতে ওভারলোডিং ও স্থানীয় ট্রাক সিন্ডিকেটের দ্বন্দ্বের কারণে বন্দর দিয়ে চিপস পাথর আমদানি একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।’
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চিপস পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে, শুধু বোল্ডার পাথর আমদানি অব্যাহত রয়েছে। আগে যেখানে বন্দর দিয়ে ১২০ ট্রাক চিপস ও বোল্ডার পাথর আমদানি হতো এখন সেখানে শুধু ১৫ থেকে ১৮ ট্রাক বোল্ডার পাথর আমদানি হচ্ছে। চিপস পাথর আমদানি বন্ধের কারণে সরকার যেমন রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষ দৈনন্দিন আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে