জমি দখলমুক্ত করতে পুলিশ চান ইউএনও

দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭: ৩৪
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯: ১৭

সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার খলিশখালীতে প্রায় ৩০০ মালিকের রেকর্ডীয় ১ হাজার ৩২০ বিঘা জমি ৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে জবরদখলে রেখেছেন ভূমিদস্যুরা। এসব জমির দখল ছেড়ে দিতে উপজেলা প্রশাসন কিছুদিন আগে সাত দিনের সময় বেঁধে দেয়। কিন্তু সে সময় পার হয়ে গেলেও ভূমিদস্যুরা জমির দখল ছেড়ে দেননি। বরং জমি দখলে রাখতে তাঁরা এলাকায় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন।

এ অবস্থায় দেবহাটার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জমি দখলমুক্ত করতে খলিশখালিতে পুলিশ মোতায়েনের অনুমতি চেয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছেন।

জানা গেছে, গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ভোরে খলিশাখালীর আনারুল ও রবিউলের নেতৃত্বে ভূমিদস্যুরা গুলি ও বোমা বর্ষণের মধ্য দিয়ে এসব জমি ও মৎস্যঘের জবরদখলে নেয়।

এরপর থেকে জমির মালিকপক্ষ এবং প্রশাসনকে ঠেকাতে আকরাম বাহিনী, গফুর মাস্তানের বাহিনী, মুর্শিদ-শাহিনুরের বাহিনী এবং অহিদুল-মণি বাহিনীসহ আরও অস্ত্রধারী বাহিনীরা ঘের থেকে মাছ তুলে বিক্রি করছেন। এ ভূমিদস্যু বাহিনীর প্রধান আনারুল।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আনারুল ইসলাম বলেন, ‘এসব সরকারি জমি যা ভূমিহীনদের অধিকার। এতদিন জাল কাগজ করে প্রভাবশালীরা ভোগদখল করছিল। তাই আমরা এটি দখল করে ভূমিহীনদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করছি। দরকার হলে জীবন দেব। তবু আমরা জমি দখলে রাখব।’

এদিকে গত বছরের নভেম্বর মাসে উপজেলা প্রশাসন ভূমিদস্যুদের জমি ছেড়ে দিতে ৭ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেয়। তা প্রচারও করা হয়।

কিন্তু নির্ধারিত এ সময়ের মধ্যে অবৈধ দখলদাররা খলিশাখালীর জমি ছেড়ে না দেওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে উচ্ছেদাভিযান পরিচালনার জন্য পুলিশ ফোর্স চেয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন দেবহাটার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।

নির্বাহী কর্মকর্তার চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযানের জন্য পুলিশ মোতায়েনের ব্যাপারে শিগগির সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত