কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলির শহর ঢাকা। হরেক রকমের মানুষের বাস এ শহরে। তাঁদের পেশাও হরেক রকম। আবার কেউ মৌসুমের সঙ্গে পেশাও বদলে ফেলেন। এমনই কয়েকটি পেশার মানুষের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।
ভোরে কুয়াশার চাদর ভেদ করে সাইকেলে মৌসুমি সবজি নিয়ে রাজধানীতে আসেন ২১ বছর বয়সী রতন আলী। রতনের বাড়ি রূপগঞ্জে। তিনি সপ্তাহের দুই দিন ফার্মগেটের তেজকুনীপাড়ার বিভিন্ন অলিগলিতে সবজি বিক্রি করেন। রতনের মতে, বাজারে সবজি নিয়ে বসার মতো এত সবজি তাঁর কাছে নেই। তাঁর জমিতে যতটুকু সবজি ফলে, তা নিয়ে তিনি আসেন শহরে। রতন বলেন, তিনি মূলত ভ্যান চালান। পাশাপাশি সামান্য জমিতে ফলানো সবজি শহরে এনে বিক্রি করেন।
শীতের সবজির পাশাপাশি শীতের কাপড়, শীতের খাবারেও থাকে ভিন্নতা। শীতকালে শহরের অলিগলিতে দেখা যায় শীতের কাপড়ের সারি সারি দোকান। গ্রামাঞ্চলে শীতের সকালেই রাস্তার পাশে বসতে দেখা যায় ভাপা, চিতইসহ হরেক রকম পিঠার দোকান। কিন্তু শহরে এই দোকানগুলো মূলত বসে বিকেলের দিকে।
আমেনা বেগম গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করেন চারটি বাড়িতে। এরপর সন্ধ্যায় মেয়েকে নিয়ে সড়কের পাশে বসেন পিঠার দোকানে। সেই দোকানে বেচাকেনা চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। আমেনা বলেন, ‘সন্ধ্যার পর এখানে বসি। যতক্ষণ পিঠা বানানোর সরঞ্জাম থাকে, ততক্ষণ এই দোকান থাকে। বাসাবাড়িতে কাজ কইরা যে সময় পাই, সেই সময়টায় পিঠা বিক্রি করে বাড়তি কিছু আয় হয়।’
ফার্মগেট এলাকার তেজকুনীপাড়ায় একটা ঘরে সকালের নাশতা বিক্রি করেন তোফাজ্জল। আর বিকেলে বসেন হরেক রকমের পিঠা নিয়ে। তোফাজ্জল বলেন, ‘এটা আমাদের মৌসুমি ব্যবসা। সকালে হোটেল চলে আর পাশাপাশি মৌসুম অনুযায়ী কখনো পিঠা, কখনো আম বা অন্য মৌসুমি ফল বিক্রি হয়।’
ঢাকা উদ্যানের বাজারে পিঠা বিক্রি করেন রাহেলা। ষাটোর্ধ্ব রাহেলা জানান, আগে ছেলের বউ এখানে পিঠার দোকান নিয়ে বসতেন। তিনি মারা যাওয়ায় এবার তাঁকেই বসতে হয়েছে পিঠা নিয়ে। বেচাবিক্রিও খারাপ না।
বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে ফুটপাতে মোফাজ্জল মিয়ার টুপির দোকান। মূলত ফুটপাতে তিনি জিনসের প্যান্ট বিক্রি করেন। আর শীতে টুপির দোকান নিয়ে বসেন তিনি। মোফাজ্জল বলেন, ‘টুপিগুলো গাজীপুরের কারখানা থেকে কিনা আনি। গতবার করোনার কারণে বেচাকেনা ভালো হয় নাই। এবার ভাবছিলাম বিক্রি হবে; কিন্তু শীতই নাই শহরে, বিক্রি হবে কীভাবে?’
রবিউল আলম চা বিক্রির পাশাপাশি কাপড়ও বিক্রি করেন। তিনি জানান, এটা তাঁর মৌসুমি ব্যবসা। শীত ও গরম দুই মৌসুমেই তিনি কাপড় বিক্রি করেন। বিকিকিনিও মন্দ না।
ভ্যানে কাপড় বিক্রি করছে রবিউলের ছোট ভাই মোশতাক। সে গ্রামে লেখাপড়া করত। কিন্তু করোনার কারণে তা বন্ধ হওয়ায় রবিউল তাকে নিয়ে এসেছেন।
বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলির শহর ঢাকা। হরেক রকমের মানুষের বাস এ শহরে। তাঁদের পেশাও হরেক রকম। আবার কেউ মৌসুমের সঙ্গে পেশাও বদলে ফেলেন। এমনই কয়েকটি পেশার মানুষের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।
ভোরে কুয়াশার চাদর ভেদ করে সাইকেলে মৌসুমি সবজি নিয়ে রাজধানীতে আসেন ২১ বছর বয়সী রতন আলী। রতনের বাড়ি রূপগঞ্জে। তিনি সপ্তাহের দুই দিন ফার্মগেটের তেজকুনীপাড়ার বিভিন্ন অলিগলিতে সবজি বিক্রি করেন। রতনের মতে, বাজারে সবজি নিয়ে বসার মতো এত সবজি তাঁর কাছে নেই। তাঁর জমিতে যতটুকু সবজি ফলে, তা নিয়ে তিনি আসেন শহরে। রতন বলেন, তিনি মূলত ভ্যান চালান। পাশাপাশি সামান্য জমিতে ফলানো সবজি শহরে এনে বিক্রি করেন।
শীতের সবজির পাশাপাশি শীতের কাপড়, শীতের খাবারেও থাকে ভিন্নতা। শীতকালে শহরের অলিগলিতে দেখা যায় শীতের কাপড়ের সারি সারি দোকান। গ্রামাঞ্চলে শীতের সকালেই রাস্তার পাশে বসতে দেখা যায় ভাপা, চিতইসহ হরেক রকম পিঠার দোকান। কিন্তু শহরে এই দোকানগুলো মূলত বসে বিকেলের দিকে।
আমেনা বেগম গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করেন চারটি বাড়িতে। এরপর সন্ধ্যায় মেয়েকে নিয়ে সড়কের পাশে বসেন পিঠার দোকানে। সেই দোকানে বেচাকেনা চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। আমেনা বলেন, ‘সন্ধ্যার পর এখানে বসি। যতক্ষণ পিঠা বানানোর সরঞ্জাম থাকে, ততক্ষণ এই দোকান থাকে। বাসাবাড়িতে কাজ কইরা যে সময় পাই, সেই সময়টায় পিঠা বিক্রি করে বাড়তি কিছু আয় হয়।’
ফার্মগেট এলাকার তেজকুনীপাড়ায় একটা ঘরে সকালের নাশতা বিক্রি করেন তোফাজ্জল। আর বিকেলে বসেন হরেক রকমের পিঠা নিয়ে। তোফাজ্জল বলেন, ‘এটা আমাদের মৌসুমি ব্যবসা। সকালে হোটেল চলে আর পাশাপাশি মৌসুম অনুযায়ী কখনো পিঠা, কখনো আম বা অন্য মৌসুমি ফল বিক্রি হয়।’
ঢাকা উদ্যানের বাজারে পিঠা বিক্রি করেন রাহেলা। ষাটোর্ধ্ব রাহেলা জানান, আগে ছেলের বউ এখানে পিঠার দোকান নিয়ে বসতেন। তিনি মারা যাওয়ায় এবার তাঁকেই বসতে হয়েছে পিঠা নিয়ে। বেচাবিক্রিও খারাপ না।
বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে ফুটপাতে মোফাজ্জল মিয়ার টুপির দোকান। মূলত ফুটপাতে তিনি জিনসের প্যান্ট বিক্রি করেন। আর শীতে টুপির দোকান নিয়ে বসেন তিনি। মোফাজ্জল বলেন, ‘টুপিগুলো গাজীপুরের কারখানা থেকে কিনা আনি। গতবার করোনার কারণে বেচাকেনা ভালো হয় নাই। এবার ভাবছিলাম বিক্রি হবে; কিন্তু শীতই নাই শহরে, বিক্রি হবে কীভাবে?’
রবিউল আলম চা বিক্রির পাশাপাশি কাপড়ও বিক্রি করেন। তিনি জানান, এটা তাঁর মৌসুমি ব্যবসা। শীত ও গরম দুই মৌসুমেই তিনি কাপড় বিক্রি করেন। বিকিকিনিও মন্দ না।
ভ্যানে কাপড় বিক্রি করছে রবিউলের ছোট ভাই মোশতাক। সে গ্রামে লেখাপড়া করত। কিন্তু করোনার কারণে তা বন্ধ হওয়ায় রবিউল তাকে নিয়ে এসেছেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে