পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
দীর্ঘ চার বছর বঙ্গোপসাগর জলদস্যুমুক্ত থাকলেও আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে জলদস্যুরা। গত পাঁচ দিনে অন্তত ১৫টি ট্রলারে ডাকাতি ও ৫ জেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। এ সময় জলদস্যুরা এক জেলেকে গুলি করে হত্যা ও শতাধিক জেলেকে পিটিয়ে আহত করেছে।
এ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন উপকূলীয় জেলেরা। মালিক সমিতি, আড়তদার সমিতি, ট্রলার শ্রমিক ও মৎস্যজীবী নেতাদের অভিযোগ এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
জানা যায়, গতকাল রোববার সকালে ২ জেলে, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ২ জেলে এবং শনিবার সকালে এক জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে জলদস্যুরা। এর আগে গত মঙ্গলবার মো. মুসা নামে এক জেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে তাঁরা।
এ নিয়ে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় দেশের বৃহত্তর মৎস্য বন্দর পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্যঘাটে ট্রলার মালিক সমিতি, জেলে সমিতি, আড়তদার সমিতি, পাইকার সমিতি, ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে পাথরঘাটা থানা–পুলিশ। এ সময় মৎস্য ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেন, ঘটনার পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম দেখা যায়নি। এতে ট্রলার মালিকসহ মৎস্যজীবীরা ক্ষুব্ধ।
অপহৃত জেলেরা হলেন পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কদম আলী খানের ছেলে নেছর খান, তাফালবাড়িয়া গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে জামাল হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কামাল হোসেন এবং শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা এলাকার এফবি আট ভাই ট্রলারের লোকমান হোসেন এবং এফবি শাওন ট্রলারের জাকির হোসেন।
মৎস্যজীবীরা অভিযোগ করেন, ঘটনা শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে। সে থেকে কোস্টগার্ডের বিভিন্ন স্টেশনে যোগাযোগ করলেও সমুদ্রে তাঁদের কোনো টহল দেখা যায়নি।
তাঁরা অভিযোগ করেন, পাথরঘাটা স্টেশনকে জানালে তাঁরা বলে ঘটনাস্থল মোংলা স্টেশনের দিকে, তাঁদের জানান। অপরদিকে মোংলা স্টেশনকে জানালে তাঁরা তাঁদের ঊর্ধ্বতন ভোলা স্টেশনকে জানাতে বলে। বঙ্গোপসাগরে ডাকাতির ঘটনায় সুষ্ঠু কোনো সমাধান না পেয়ে এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন জেলেরা। জেলেদের দাবি, যদি বঙ্গোপসাগরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো জাহাজ অথবা হেলিকপ্টার ঘটনার পরে টহল দিত তাহলে ৫ জন জেলে অপহরণের ঘটনা ঘটত না।
উপস্থিত জেলেরা বলেন, গত পাঁচ দিনে ১৫টি মাছ ধরার ট্রলারে হামলা করেছে ডাকাত দল। এ সময় ৫ জেলেকে অপহরণ করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে দস্যু বাহিনী। গতকাল রোববার পর্যন্ত দিনে–রাতে সমানতালে সাগরে ডাকাতি চললেও কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তেমন কোনো তৎপরতা দেখছেন না জেলেরা। এমনকি বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা মাছ শিকার করে নিয়ে গেলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
জরুরি সভায় উপস্থিত দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আলমগীর হোসেনের কাছে মৎস্যজীবীরা জানতে চেয়েছেন গত পাঁচ দিনে বঙ্গোপসাগর এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় তাঁরা কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি কন্টিনজেন্ট কমান্ডার। তিনি জানান, স্পিডবোট ছাড়া তাঁদের আর কোনো বাহন নেই। গভীর সমুদ্রে স্পিডবোট নিয়ে যাওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান পুলিশ প্রধান যখন র্যাবের প্রধান ছিলেন তখন তিনি দায়িত্ব নিয়ে সুন্দরবনে বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে জলদস্যু বাহিনী ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর থেকে আর কোনো অভিযান লক্ষ্য করা যায়নি।’
পাথরঘাটা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ সরকার বলেন, ‘পুলিশ প্রধানের নির্দেশেই মৎস্যজীবীদের সঙ্গে এই জরুরি বৈঠক। পুলিশ প্রধান সব সময় আমাদের কাছ থেকে তথ্য নিচ্ছেন।’
র্যাব–৮ এর কোম্পানি লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ইতিপূর্বে বঙ্গোপসাগর জলদস্যু মুক্ত হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে জলদস্যু দমনে কাজ শুরু করেছি।
দীর্ঘ চার বছর বঙ্গোপসাগর জলদস্যুমুক্ত থাকলেও আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে জলদস্যুরা। গত পাঁচ দিনে অন্তত ১৫টি ট্রলারে ডাকাতি ও ৫ জেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। এ সময় জলদস্যুরা এক জেলেকে গুলি করে হত্যা ও শতাধিক জেলেকে পিটিয়ে আহত করেছে।
এ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন উপকূলীয় জেলেরা। মালিক সমিতি, আড়তদার সমিতি, ট্রলার শ্রমিক ও মৎস্যজীবী নেতাদের অভিযোগ এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
জানা যায়, গতকাল রোববার সকালে ২ জেলে, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ২ জেলে এবং শনিবার সকালে এক জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে জলদস্যুরা। এর আগে গত মঙ্গলবার মো. মুসা নামে এক জেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে তাঁরা।
এ নিয়ে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় দেশের বৃহত্তর মৎস্য বন্দর পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্যঘাটে ট্রলার মালিক সমিতি, জেলে সমিতি, আড়তদার সমিতি, পাইকার সমিতি, ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে পাথরঘাটা থানা–পুলিশ। এ সময় মৎস্য ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেন, ঘটনার পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম দেখা যায়নি। এতে ট্রলার মালিকসহ মৎস্যজীবীরা ক্ষুব্ধ।
অপহৃত জেলেরা হলেন পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কদম আলী খানের ছেলে নেছর খান, তাফালবাড়িয়া গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে জামাল হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কামাল হোসেন এবং শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা এলাকার এফবি আট ভাই ট্রলারের লোকমান হোসেন এবং এফবি শাওন ট্রলারের জাকির হোসেন।
মৎস্যজীবীরা অভিযোগ করেন, ঘটনা শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে। সে থেকে কোস্টগার্ডের বিভিন্ন স্টেশনে যোগাযোগ করলেও সমুদ্রে তাঁদের কোনো টহল দেখা যায়নি।
তাঁরা অভিযোগ করেন, পাথরঘাটা স্টেশনকে জানালে তাঁরা বলে ঘটনাস্থল মোংলা স্টেশনের দিকে, তাঁদের জানান। অপরদিকে মোংলা স্টেশনকে জানালে তাঁরা তাঁদের ঊর্ধ্বতন ভোলা স্টেশনকে জানাতে বলে। বঙ্গোপসাগরে ডাকাতির ঘটনায় সুষ্ঠু কোনো সমাধান না পেয়ে এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন জেলেরা। জেলেদের দাবি, যদি বঙ্গোপসাগরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো জাহাজ অথবা হেলিকপ্টার ঘটনার পরে টহল দিত তাহলে ৫ জন জেলে অপহরণের ঘটনা ঘটত না।
উপস্থিত জেলেরা বলেন, গত পাঁচ দিনে ১৫টি মাছ ধরার ট্রলারে হামলা করেছে ডাকাত দল। এ সময় ৫ জেলেকে অপহরণ করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে দস্যু বাহিনী। গতকাল রোববার পর্যন্ত দিনে–রাতে সমানতালে সাগরে ডাকাতি চললেও কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তেমন কোনো তৎপরতা দেখছেন না জেলেরা। এমনকি বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা মাছ শিকার করে নিয়ে গেলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
জরুরি সভায় উপস্থিত দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আলমগীর হোসেনের কাছে মৎস্যজীবীরা জানতে চেয়েছেন গত পাঁচ দিনে বঙ্গোপসাগর এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় তাঁরা কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি কন্টিনজেন্ট কমান্ডার। তিনি জানান, স্পিডবোট ছাড়া তাঁদের আর কোনো বাহন নেই। গভীর সমুদ্রে স্পিডবোট নিয়ে যাওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান পুলিশ প্রধান যখন র্যাবের প্রধান ছিলেন তখন তিনি দায়িত্ব নিয়ে সুন্দরবনে বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে জলদস্যু বাহিনী ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর থেকে আর কোনো অভিযান লক্ষ্য করা যায়নি।’
পাথরঘাটা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ সরকার বলেন, ‘পুলিশ প্রধানের নির্দেশেই মৎস্যজীবীদের সঙ্গে এই জরুরি বৈঠক। পুলিশ প্রধান সব সময় আমাদের কাছ থেকে তথ্য নিচ্ছেন।’
র্যাব–৮ এর কোম্পানি লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ইতিপূর্বে বঙ্গোপসাগর জলদস্যু মুক্ত হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে জলদস্যু দমনে কাজ শুরু করেছি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে